রাজনীতির জন্য এরা কারা? মজলুম জননেতার উপাধি থেকে শুরু জাতির জনকে শেষ
রিপোর্টারের নাম
আপডেট সময় :
Saturday, August 28, 2021
190 Time View
জনাব রবিউল আলমঃ
রাজনীতি একটি বিশ্বাসের উপাধি বলতে পারেন, রাজনীতিকে আত্নত্যাগের মাধ্যমে বলা হয়। রাজনীতিতে বিশ্বাসঘাতকতা হয়। ৭৫-১৫ আগস্ট ও তেশরা নম্বরের জেলহত্যার মাধ্যমে রাজনীতির ইতিহাস পরিবর্তন হয়েছে। বাঙালি জাতির চির পরিচিত উপাধি মির্জাফর পুর্ণবাস্তবায়ন করেছেন খন্দকার মোশতাক, তাকে সহায়তার জন্য মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর উপাধি কি হতে পারে ? আমরা নির্ধারন করতে পারিনি অথবা করিনি। জিয়ার কাছে ধানের শীষের মার্কা বিক্রি করেছেন, মজিব হত্যায় জরিত না হয়েও বাঙালি রাহু মুক্ত হয়েছেন বলে ঘোষণা করেছিলেন,রাজনীতির শেষ কথা নাই এখানেই। যে মজিব পায়ে হাত দিয়ে সালাম করতো, বুকের মাঝে মুখ লুকিয়ে পিতার মত ভালো বাসতো। বাঙালির মুক্তির জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছিলো। তাকে হত্যার পরের ভুমিকা ভাসানীর কি ছিলো ? আজও সেই পাপ আমরা বাঙালি জাতির মাঝে লক্ষ্য করছি, রাজনীতিতে কাপুরুষ কখনো লক্ষ্য অর্জন করতে পারেন না। ৬ দফার বিরোধিতা থেকেই মতপার্থক্য। এতটা গুরুত্বপূর্ণ হয়েও জাতি তাকে গ্রহন না করার জন্য তার মাঝে প্রতিহিংসা কাজ করেছে। বাঙালি জাতির পিতার আসনে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানকে মেনে নিতে পারেনি বলেই ভাসানীর আসল রূপ জাতির কাছে প্রকাশিত হয়েছে। তবু তাকে শ্রদ্ধা করতে চাই। এখনো নিজের অজান্তে শ্লোগানে উচ্চারণ করি, হক-ভাসানীর নৌকা,সোহরাওয়ার্দীর নৌকা। সম্মানের এই স্থানটি বাঙালির কাছে অমরত্ব থাকবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ছুয়া ভাসানীর গায়ে আছে বলে। আওয়ামীলীগের নামে অনেকেই অপকর্ম করে, করছে। বাঙালি কিন্তু তাদেরকে গ্রহন করেন না। তাকিয়েছিলেন জাতির জনকের আঙ্গুলিরনদিকে, তাকিয়ে থাকেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশের অপেক্ষায়। কে মন্ত্রী-এমপি, কে মেয়র কাউন্সিলর। কারা ক্যাসিনো মাস্টার। কারা মাদক সম্রাট, সবাইতো বিচারের আওতায়। বাঙালি জাতির ভাবনার সময় কোথায়। বাঙালি জাতির মুক্তির নির্দেশক মজিব। হক,ভাসানী, সোহরাওয়ার্দী সহ জাতীয় নেতাদের অবস্থান জাতি ঠিক করে দিয়েছে। কাজী নজরুল ইসলাম, রবিন্দ্র নাথ ঠাকুর সহ সংস্কৃতি অঙ্গনের ঋন রাখেন নাই। সাংবাদিক, সাহিত্যিক, লেখক সহ মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখার জন্য জাতি তাদের স্মরণীয় করে রেখেছেন। জিয়ার মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। একজন সেক্টর কমান্ডারের দায়ীত্বে থেকেও কোন রঙ্গান গনে যুদ্ধ করলেন ? আজও তার হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী থাকা অবস্থায় পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর কমান্ডার মেজর জানজুয়ার মৃত্যুত্বে শোক প্রকাশ করলেন ? রাজনীতির জন্য এরা কারা ? জাতির কাছে অনেক প্রশ্ন জমানো। উত্তর কোথাও, কারো কাছে নাই। শোকের মাস, মজিব জন্মশতবার্ষিকী পেরিয়ে যাচ্ছে। করোনা থেকে মুক্তি আশায় দোয়া হচ্ছে। খাদ্য সামগ্রী বিতরন হচ্ছে বাংলার মেহনতী মানুষের মাঝে। শেখ হাসিনার একটি নির্দেশে লাক্ষো মানুষের পুর্ণবাসন, একটি নির্দেশে কোটি মানুষের খাদ্যভাব পুরন। ১৫ আগস্ট শহীদদের আত্নাও বাংলার মানুষের সেবা করতে পারে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রমান করেছেন। বিরিয়ানি, তেহারী, খিচুড়ির পরিবর্তে চাল ডাল নিত্যপন্য, অসহায় হতদরিদ্র মানুষকে পুর্ণবাসন করে। তবুও কিছু জঙ্গাল আমাদের মাঝে লুকিয়ে অসামাজির কার্যকলাপ নিয়ে। মুক্ত হবে, মুক্তির আশায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে থাকতে হবে। যতদিন শেখ হাসিনার হাতে দেশ, ভয় নাই, ভয় নাই একদিন হয়ে সোনার বাংলা, সেদিনও বেশী দুরে নাই।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।