লোভ আর লালশার মাঝে রাজনীতি খুঁজে পাওয়া যাবে না। রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বের সফলতার সন্ধান দিতে পারে ত্যাগে।ভোগের জন্য রাজনীতির ইতিহাসে আছে কন্টেকটার, মাদক কারবারী সহ পুঁজিপতির। নিবে, দিবে না। জনগণ কিন্তু তাদেরকে ইতিহাসের অংশ করে না। রাজনীতির জন্য মহানায়ক হতে চাইলে সুস্থ জীবন যাপন, লালশাহীন কর্ম, দেশপ্রেম থাকতে হবে। মহাত্মা গান্ধী, নেস্যলে মেন্ডেলা,মাওসেতুন, বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানদের ইতিহাস ঐতিহ্য পড়তে হবে। যারা জীবনকে উৎসর্গ করে রাজনীতির ইতিহাস হয়েছেন।
ভোগের জন্য বেগম খালেদা জিয়া, রওশন এরশাদের ইতিহাস কারো অজানা নয়। বন্দুকের নলের ফাঁসলেডি ছিলেন। জিএম কাদের কি নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছেন ? নিজের দলের কাছে গ্রহনযোগ্যতা অর্জন করতে পারছেন না। তারেক রহমানের নির্বাসন, রাজনীতির জন্য ইতিবাচক নয়। নিজের চাওয়ার সাথে জনগণের চাওয়ার মিল খুঁজে পাবেন না। রাজনীতির জন্য ত্যাগ করতে না পারলে, রাজনীতি আপনার জন্য অপেক্ষা করবে না। ইউনুস সাহেব ডক্টর হয়েছেন, বিশ্বের কাছে অতিপরিচিতি লাভ করলেও বাংলার জনগণ তাকে গ্রহন করছে না। শুরুটা ছিলো ভোগের, রাজনৈতিক ত্যাগ করার আগে আমেরিকার দারস্থ প্রমান করে, তিনি কতোটা অসুস্থ। জনগণ রাষ্ট্রের মালিক, আপনি মালিকানা চাইবেন বিদেশীদের কাছে। অগ্নিসংযোগ কারীদের সহায়তায় অসুস্থ রাজনীতির ধারক বাহক হবেন ? গনতন্ত্রের কথা বলবেন, বিদেশীদের কাছে নালিশ করবেন, বিচার চাইবেন, দেশের মানুষের কাছে ভোট চাওয়ার মন,মানসিকতা নাই ? বন্দুকের নলের মাধ্যমে যারা ক্ষমতা ভোগী, তাদের জন্য গনতন্ত্র আবিস্কার হয় নাই। গনতন্ত্রের জন্য নিজেকে গনতান্ত্রিক হতে হবে। সমাজতন্ত্রের জন্য আগে নিজেকে সমাজতান্ত্রিক ধারায় গড়ে তুলতে হবে। বিশ্বের কোনো তন্ত্র আপনাকে তান্ত্রিক বানাতে পারবে না।
রাজনীতিতে আসার আগেই আপনাকে একটি তন্ত্র বেছে নিতে হবে। ভোগতন্ত্র ত্যাগ করতে না পারলে রাজনীতির জন্য আপনি যন্ত্রণা তন্ত্র হবেন, দেশের জন্য জাতির জন্য। বিএনপির ভোট বর্জন, জাতীয় পার্টির,পার্টি বর্জনের জন্য বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাস,এখন বিশ্বের কলঙ্কের ইতিহাস হতে চলেছে।অথচ বাংলার স্বাধীনতার ইতিহাসের জন্য বাঙালি জাতি বিশ্বে গর্বিত। ভাষা আন্দোলনের সূতিকাগার এই বাঙালির জীবদানের মাধ্যমে অর্জিত।বঙ্গবন্ধুর ভাষন জাতিসংঘে সংরক্ষিত, দেশাত্মবোধের গান, কবিতা, চলচ্চিত্র, মুক্তিযুদ্ধ, ৯ মাসের মুক্তির বার্তা বাঙালির ইতিহাস বহন করে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনোনয়ন মনোনীতরা স্বাধীনতার ইতিহাস,ত্যাগের রাজনীতিকে জীবিত রাখতে চাইলে ভোটাদের কে সময় দিতে হবে। রাজনীতির দায়ীত্ব যারা পেয়েছেন, যারা পাবেন, তাদের জন্য ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে হবে। মনে রাখবেন, অসুস্থ নেতৃত্ব কখনো সুস্থ রাজনীতির ধারক বাহক হতে পারে না।
অসুস্থ রাজনীতির সাথে প্রতিযোগীতা চলে না। অসুস্থদের জন্য চিকিৎসার প্রয়োজন। পাগলের জন্য হাতুর, ক্ষমতার জন্য ক্ষমতা দেখাতে হয়,না-হয় আপনাকে তাদের মতো করে বানিয়ে ছাড়বে। জাতির জন্য রাজনীতি একমাত্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব, রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও খাস খবর বাংলাদেশ পত্রিকার সম্মানিত উপদেষ্টা মন্ডলী জনাব রবিউল আলম।