খাস খবর বাংলাদেশঃ কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার একটি প্রতিবেদনকে ভুয়া আখ্যা দিয়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হল এলাকায় মানববন্ধন করেছেন সাধারণ মানুষ।
মোহাম্মদপুর সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে আজ ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ রোজ সোমবার দুপুর দুইটায় স্থানীয় টাউনহল রোডে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধনে সাধারণ মানুষ আল জাজিরার অসত্য সংবাদের প্রতিবাদ করে সংবাদমাধ্যমটির ধারাবাহিক অপসাংবাদিকতা বন্ধের দাবি জানান।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীদের হাতে প্রতিবাদী স্লোগান লেখা বিভিন্ন ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। বয়কট আল জাজিরা, নিন্দুকের মুখে ছাই দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ এ জাতীয় লেখা প্যানাফ্লেক্স হাতে রাস্তার পাশে দাঁড়ান নানা শ্রেণি পেশার মানুষ।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে নাঈমুল ইসলাম রাসেল বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারকে হেয় করতে আল জাজিরা উদ্দ্যেশ্যমূলকভাবে প্রোপাগান্ডা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা সচেতন নাগরিক সমাজ এই কর্মকাণ্ডের ধিক্কার জানাচ্ছি।’
রাসেল আরো বলেন, ‘আল জাজিরা সাংবাদিকতার নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ভুয়া সংবাদ পরিবেশন করেছে।যারা সেখানে বক্তব্য দিয়েছেন,সবাই চিহ্নিত অপরাধী। প্রায়ই তারা বাংলাদেশকে নিয়ে অপপ্রচার চালান। দুর্দান্ত গতিতে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এই অগ্রযাত্রা থামাতে ষড়যন্ত্রকারীদের হয়ে কাজ করছে আল জাজিরা। আগেও তারা বাংলাদেশকে নিয়ে মনগড়া সংবাদ পরিবেশন করেছে। কোনো ষড়যন্ত্রই বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা থামাতে পারবে না।’
আল জাজিরা সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং সেনাবাহিনীর প্রধানকে জড়িয়ে ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার্স মেন’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন করে। প্রতিবেদনটিতে সরকার এবং প্রশাসনের বিরুদ্ধে যারা বক্তব্য দিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ অনেক পুরোনো।
ভিডিওটিতে ডেভিড বার্গম্যান নামের এক ব্যক্তিকে দেখা গেছে, যিনি এক সময় বাংলাদেশের দুটি শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমে কাজ করেছেন। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার কারণে কোনোটিতেই তিনি বেশিদিন টিকতে পারেননি। এই বার্গম্যান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে দণ্ডিত একজন অপরাধী।
বার্গম্যান কাজ করেন বাংলাদেশের প্রথম অনলাইন গণমাধ্যম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ইংরেজি বিভাগে। সেখানে ছয় মাসের কিছু কম সময় ছিলেন। গণমাধ্যমটির প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী গত শনিবার রাতে একটি টেলিভিশনের আলোচনা অনুষ্ঠানে বার্গম্যানের বিষয়ে কথা বলেন। ওই অনুষ্ঠানে খালিদি বলেন, যখন যুদ্ধাপরাধের বিচার হচ্ছিল, সেই বিচার নিয়ে তার অসম্ভব উৎসাহ ছিল। উৎসাহটা আমার কাছে অস্বাভাবিক মনে হয়েছে।
তৌফিক ইমরোজ খালিদীর বিচারে, বার্গম্যানের কাজে ‘সাংবাদিকতার চেয়ে অ্যাক্টিভিজম’ বেশি গুরুত্ব পায় এবং ‘পক্ষপাতের’ কিছু বিষয়ও সেখানে আছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে জুলকারনাইন সায়ের খান (সামি ছদ্মনামধারী) নামের একজনকে দেখা গেছে। তিনি মাদকাসক্তির অপরাধে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি থেকে বহিষ্কৃত ক্যাডেট। তাসনিম খলিল অখ্যাত নেত্র নিউজের প্রধান সম্পাদক, গুজব ছড়ানোর জন্য যিনি অনেক আগে থেকেই সমালোচিত।