October 1, 2023, 3:17 am
শিরোনামঃ
শিগগিরই বিএনপির রাজনীতি গোরস্থানে চলে যাবে: ওবায়দুল কাদের কৃষক লীগের মহাসমাবেশে মির্জা ফখরুলকে মৌখিক নিমন্ত্রণ তথ্যমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষে বাউফল উপজেলা কৃষক লীগের  উদ্যোগে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল শেখ হাসিনা ছাড়া নির্বাচন মানি না, হতে দেব না: ওবায়দুল কাদের তত্বাবদায়ক সরকার চাই,এই সরকারের পদত্যাগ চাই সফু ভাইকে এমপি দেখতে চাই শেখ হাসিনার একটি সিদ্ধান্ত, বাংলাদেশের অর্থনীতির পরিবর্তন ও পরিবেশ রক্ষার সহায়ক একটি জন্মদিন জাতির জন্য বিতর্ক সৃষ্টি করেছে , একটি জন্মদিন ঐক্যের প্রতিক যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় মায়ের জন্মদিন উদযাপন করলেন জয় ঈদে মিলাদুন্নবী ও শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে ৩১ নং ওয়ার্ড আ.লীগের উদ্যোগে দোয়া ও মিলাদ অনুষ্ঠিত ঈদে মিলাদুন্নবী ও শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে ৩৪ নং ওয়ার্ড আ.লীগের উদ্যোগে দোয়া ও মিলাদ অনুষ্ঠিত

রাজধানী মোহাম্মদপুরে আল জাজিরার ‘অপসাংবাদিকতার’ বিরুদ্ধে মানববন্ধন

Reporter Name
  • Update Time : Friday, February 12, 2021
  • 278 Time View

মোঃ ইব্রাহিম হোসেনঃ কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার একটি প্রতিবেদনকে অসত্য ভুয়া আখ্যা দিয়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল স্কুল ও কলেজ এলাকায় মানববন্ধন করেছেন সচেতন নাগরিক সমাজ।

মোহাম্মদপুর সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে আজ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ রোজ শুক্রবার দুপুর তিনটায় ঢাকা রেসিডেনসিয়াল স্কুল ও কলেজ এলাকায় এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী মোহাম্মদপুর সচেতন নাগরিকরা বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারকে হেয় করতে আল জাজিরা উদ্দ্যেশ্যমূলকভাবে প্রোপাগান্ডা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা সচেতন নাগরিক সমাজ এই কর্মকাণ্ডের ধিক্কার জানাচ্ছি।’

১৯৯৬ সালে আরব বিশ্বের প্রথম ২৪ ঘণ্টার সংবাদ চ্যানেল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা আল জাজিরা একদা বাংলাদেশের ইতিহাস বিকৃতিতে অপরাধের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিল, বর্তমানে পুনরায় উস্কানিমূলক সংবাদ পরিবেশন করে শান্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে অশান্ত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। সন্ত্রাসবাদী মতাদর্শে বিশ্বাসী কাতারভিত্তিক এই টিভি চ্যানেল এখন বিশ্বের বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠীর পৃষ্ঠপোষক হিসেবে পরিচিত।

২০০৯ সালের পর শেখ হাসিনা সরকারের আমলে বাংলাদেশের নানা ঘটনা নিয়ে অপপ্রচার করে চলেছে আল জাজিরা। তাদের সংবাদ পরিবেশনায় বর্তমান সরকার সম্পর্কে নেতিবাচক খবর সবসময় স্থান জুড়ে বসেছে। তবে বিশ্বব্যাপী অনেক আগে থেকে সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে এই চ্যানেলটি পক্ষপাতমূলক কার্যক্রমে লিপ্ত। উস্কানিমূলক ও বিতর্কিত সংবাদ পরিবেশনের জন্য ২০১৭ সালের মে মাসের শেষ দিকে আল জাজিরার ওয়েবসাইট ব্লক করে দেয় সৌদি আরব, আরব আমিরাত, মিশর এবং বাহরাইন।

আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের ইতিহাসে অপসাংবাদিকতার নাম আল জাজিরা। এমনকি মিশরে বর্তমানে নিষিদ্ধ ঘোষিত উগ্রপন্থি সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুডের পক্ষে সংবাদ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিল এই টিভির সাংবাদিকদের। ফলে একাধিক সাংবাদিক চাকরি ছেড়ে দেন। এই চ্যানেলটির বিরুদ্ধে মিশর ও অন্য আরব দেশগুলো নিয়ে গোপন তৎপরতার কথাও জানা গেছে একাধিক সূত্রে।

২০১৪ সালে দোহায় আল জাজিরার সম্পাদকীয় বোর্ড থেকে পদত্যাগ করেন চার সদস্য। মিশর নিয়ে আল-জাজিরার ‘পক্ষপাতমূলক সম্পাদকীয় নীতি’কে নিজেদের পদত্যাগের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন তারা।

পশ্চিমা বিশ্বেও এই টেলিভিশন চ্যানেলটিকে দেখা হয় সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ডের পরোক্ষ কিংবা কখনও প্রত্যক্ষ মদদদাতা হিসেবে। এজন্য যুক্তরাষ্ট্রে এর জনপ্রিয়তা একেবারে তলানিতে পৌঁছেছে। বলা হয়ে থাকে, এর রয়েছে টেররিস্ট নেটওয়ার্ক৷ আল জাজিরার বিরুদ্ধে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে।

উস্কানিমূলক সংবাদ প্রচারের কারণে ২০১০ সালে আল জাজিরা টেলিভিশনের কুয়েত শাখার কার্যালয় বন্ধ করে দেয় সেখানকার সরকার। এর আগেও একবার ২০০২ সালের নভেম্বরে আল জাজিরা কার্যালয় বন্ধ করে দিয়েছিল কুয়েত সরকার। দীর্ঘ আড়াই বছর পর ২০০৫ সালের মে মাসে কার্যালয়টি পুনরায় চালুর অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।

মিথ্যা সংবাদ পরিবেশনের অভিযোগে আল-জাজিরার একাধিক সাংবাদিককে কারাদণ্ড দেয় মিশরের আদালত। অভিযুক্ত সকলেই জঙ্গি সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুডের সমর্থন ও মিথ্যা সংবাদ পরিবেশনের অভিযোগে দোষী ছিল।

২০১৫ সালে ‘মিথ্যা সংবাদ ছড়ানোর’ অভিযোগে আল জাজিরার তিনজন সাংবাদিককে দোষী সাব্যস্ত করে মিশর। ২০০২ সালে আল জাজিরায় সৌদিদের ফিলিস্তিন-ইসরায়েল শান্তি পরিকল্পনার কভারেজ নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে কাতার থেকে রাষ্ট্রদূতকে ফিরিয়ে নেয় সৌদি আরব। ২০০৮ সালে রাষ্ট্রদূতকে ফেরত পাঠানো হয়।

পত্রিকান্তরে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, সাংবাদিকদের হলুদ সাংবাদিকতায় বাধ্য করা, জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ করার নির্দেশ এবং অনৈতিকভাবে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা ইত্যাদি অভিযোগ এনে আল জাজিরার ব্যুরো প্রধান মোহাম্মদ ফাহমিসহ মিশরে ২২ জন সাংবাদিক পদত্যাগ করেন। একই অভিযোগ এনে এবং জাজিরাকে অপপ্রচারের মেশিন হিসেবে অভিহিত করে পদত্যাগ করেন লিবিয়া প্রতিনিধি আলী হাশেম, বার্লিন প্রতিনিধি আখতাম সুলেমান।

ধর্মীয় উস্কানি, জিহাদের অপব্যাখ্যা দিয়ে উগ্রবাদী ধারণা প্রচার, জঙ্গিদের দেশপ্রেমিক হিসেবে আখ্যা দেয়া, বোমা হামলা ও আত্মঘাতী হামলাকে জান্নাতের সফর বলে উল্লেখ করাসহ নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে বিতর্কিত অনুষ্ঠান প্রচারের কারণে বিশ্বে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে এই মিডিয়া। মূলত আল জাজিরা আরববিশ্বের কলঙ্ক। পৃথিবীর মানুষ যেখানে শান্তির পক্ষপাতী সেখানে একটি টিভি চ্যানেল রাতদিন ২৪ ঘণ্টা সম্প্রচার করে চলেছে অশান্তির বার্তা। এই মিডিয়ার সকল কার্যক্রম সম্পর্কে আমাদের সচেতন ও সতর্ক থাকা অতিজরুরি। গণতন্ত্র ও মানবতাকে রক্ষা করতে হলে আল জাজিরার বিরুদ্ধে কথা বলতেই হবে।

‘আল জাজিরা সাংবাদিকতার নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ভুয়া সংবাদ পরিবেশন করেছে।যারা সেখানে বক্তব্য দিয়েছেন, সবাই চিহ্নিত অপরাধী। প্রায়ই তারা বাংলাদেশকে নিয়ে অপপ্রচার চালান। দুর্দান্ত গতিতে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এই অগ্রযাত্রা থামাতে ষড়যন্ত্রকারীদের হয়ে কাজ করছে আল জাজিরা।

আল জাজিরা সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং সেনাবাহিনীর প্রধানকে জড়িয়ে ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার্স মেন’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন করে। প্রতিবেদনটিতে সরকার এবং প্রশাসনের বিরুদ্ধে যারা বক্তব্য দিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ অনেক পুরোনো।

ভিডিওটিতে ডেভিড বার্গম্যান নামের এক ব্যক্তিকে দেখা গেছে, যিনি এক সময় বাংলাদেশের দুটি শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমে কাজ করেছেন। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার কারণে কোনোটিতেই তিনি বেশিদিন টিকতে পারেননি। এই বার্গম্যান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে দণ্ডিত একজন অপরাধী।

বার্গম্যান কাজ করেন বাংলাদেশের প্রথম অনলাইন গণমাধ্যম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ইংরেজি বিভাগে। সেখানে ছয় মাসের কিছু কম সময় ছিলেন। গণমাধ্যমটির প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী একটি টেলিভিশনের আলোচনা অনুষ্ঠানে বার্গম্যানের বিষয়ে কথা বলেন। ওই অনুষ্ঠানে খালিদি বলেন, যখন যুদ্ধাপরাধের বিচার হচ্ছিল, সেই বিচার নিয়ে তার অসম্ভব উৎসাহ ছিল। উৎসাহটা আমার কাছে অস্বাভাবিক মনে হয়েছে। তৌফিক ইমরোজ খালিদীর বিচারে, বার্গম্যানের কাজে ‘সাংবাদিকতার চেয়ে অ্যাক্টিভিজম’ বেশি গুরুত্ব পায় এবং ‘পক্ষপাতের’ কিছু বিষয়ও সেখানে আছে।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে জুলকারনাইন সায়ের খান (সামি ছদ্মনামধারী) নামের একজনকে দেখা গেছে। তিনি মাদকাসক্তির অপরাধে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি থেকে বহিষ্কৃত ক্যাডেট। তাসনিম খলিল অখ্যাত নেত্র নিউজের প্রধান সম্পাদক, গুজব ছড়ানোর জন্য যিনি অনেক আগে থেকেই সমালোচিত।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

Dairy and pen distribution

ডিজাইনঃ নাগরিক আইটি ডটকম
themesba-lates1749691102