মোঃ ইব্রাহিম হোসেনঃ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সারা দেশে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় সামর্থ্যবান মুসলমানরা ত্যাগের মহিমায় নামাজের পরপরই পশু কোরবানি শুরু করেছেন।
সোমবার (১৭ জুন) সকালে মহল্লায় মহল্লায় নামাজ শেষে নিজ-নিজ পশু কোরবানি করছেন মুসলমানরা। ঢাকার প্রতিটি অলিগলিতেই পশু কোরবানির দৃশ্য চোখে পড়ে।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও বাসার সামনের রাস্তায়, কোথাও বাসার নিচের গ্যারেজে, আবার কোথাও এলাকার ফাঁকা মাঠের মধ্যে পশু কোরবানি চলছে।এদিকে, চুক্তিতে পশুর মাংস কাটতে আসা কসাইরাও ব্যস্ত সময় পার করছেন। একটার পর একটা পশুর চামড়া ছাড়িয়ে মাংস প্রস্তুত করে দিচ্ছেন তারা।
রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল হক খান রনি খাস খবর বাংলাদেশকে বলেন, আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় আমরা পশু কোরবানি করি। আল্লাহ তৌফিক দিয়েছেন তাই প্রতিবার চেষ্টা করি কোরবানি দেওয়ার। নিজেদের আনন্দ অন্যদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার। পশু কোরবানির মাধ্যমে মনের পশুত্ব কোরবানি হোক সেই প্রার্থনা করি। সকালে নামাজ পড়ে এসেই পশু কোরবানি করা হয়েছে। এখন চামড়া ছাড়ানোর কাজ করছেন কসাইরা। গোশত কাটা শেষ হলে গরিবদের মাঝে মাংস বিতরণ করবো, আত্মীয়দের বাসায় পাঠাবো।
এদিকে, কোরবানির জন্য পশু কিনলেও সবাই আজকে কোরবানি করছেন না। কেউ কেউ ঈদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনও পশু কোরবানি দেবেন। এরমধ্যে অধিকাংশই কসাই না পাওয়ায় প্রথম দিন পশু কোরবানি করছেন না।
হজরত ইবরাহিমের (আ.) দেখানো পথে ত্যাগের মহিমা ও উৎসর্গের আনন্দ নিয়ে সোমবার এ ধর্মীয় উৎসব উদযাপিত হচ্ছে।
‘আল্লাহু আকবার. আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, ওয়ালিল্লাহিল হামদ’ তাকবির ধ্বনি দিতে দিতে ঈদ জামাতে হাজির হন মুসল্লিরা। নামাজের পর মোনাজাতে দেশ-জাতি তথা বিশ্ব মুসলিমের জন্য দোয়া করা হয়।