নিয়ন্ত্রণ শব্দটির কোনো উত্তর পুরো সভায় পাওয়া না গেলেও আহ্বান পাওয়া গেছে। ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে কিছু সমস্যার সমাধান চাওয়া হয়েছে। সমাধানের অঙ্গিকারে আন্তরিকতার অভাব ছিলো না। মাংস ব্যবসায়ী সমিতি’র পক্ষে মহাসচিব রবিউল আলম বলেন বিগত তিন বছর মাংসের মুল্য নির্ধারন না হওয়াতে গরুর হাটে অবৈধ, অতিরিক্ত খাজনা আদায় হচ্ছে। শত অভিযোগের পরেও উত্তর সিটি করপোরেশন নিরব। বিকল্প গরুর হাটের বাস্তবায়নে ধীরগতি রহস্য দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের। প্রানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের মাংস বিক্রি দেশের জনগণের সাথে পত্যারনা মনে হয়। গরু,গাড়ীর ভাড়া ও জনবলের খরচ সরকারের। কোটি টাকা সরকারের ভুর্তুকি দিয়ে বিশ হাজার হতদরিদ্র মানুষকে এক কেজি করে মাংস বিনেপয়সাতে দেওয়া যেতো। তা না করে ডেইরি ফার্মা সমিতি’র পাতা ফাঁদে পা দিতে হয়েছে।১০ টি গাড়ীতে এক হাজার কেজি মাংস বিক্রি করে না-কি বাজার নিয়ন্ত্রণ করা হবে। লাভের অংশ সাদেক ডেইরির। প্রানি সম্পদ মন্ত্রণালয় চাইলে বিশ্বকে মাংস খাওয়াতে পারে চরঞ্চলকে পশুপালনের আওতায় এনে। বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ট আবহাওয়া ও মিষ্টি পানির দেশ, আমার বাংলাদেশ। পশুপালনের উপযুক্ত। উন্নত জাতের প্রজ্জলনের মাধ্যমে একটি বাড়ী একটি খামারে ও চরঞ্চল পশুপালনের আওতায় এনে। সেনাবাহিনী সুবর্ণ চর, কালাইয়ার চরে সমবায়ের মাধ্যমে পশুপালন হচ্ছে। প্রানি সম্পদ মন্ত্রণালয় শুরু করলে, ৫০ থেকে ৬০ হাজার কোটি টাকা ভারতে পাচার বন্দ করা সম্ভব। লক্ষ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব মাংস ও পশুর বর্জ্য রপ্তানী করে,দেশীয় চাহিদা পুরণের পরেও। ছোট্ট একটা পদ্মানদীর ইলিশ মাছ, আমরা খাচ্ছি, বিশ্বকে খাওয়াচ্ছি। দুইশত কোটি টাকার কৃষি ঋণ দিয়ে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। শুরু করতে হবে বিশ থেকে পঁচিশ হাজার কোটি টাকার মাধ্যমে। বিনে পয়সায় বীচ সরবরাহ করে কৃষক কে উৎসাহিত করতে হবে। পনেরো থেকে বিশটি চর পশুপালনের আওতায় আনতে পারলে, ভারতীয় মাংস ও পশু প্রয়োজন হবে না। মাংসের চাহিদা আমরা বিশ্বকে পুরণ করবো, ইনশাআল্লাহ। ঈদ আসলে বিশ্বে পন্যের মুল্য কমে, বাংলাদেশে বারে। অনেকটা লজ্জার বিষয়। রবিউল আলম বলেন, এ জন্য সিটি করপোরেশন ও স্থানীয় সরকার জনকের ভুমিকায়। পৃথিবীর কোনো দেশে কোরবানির গরু খাজনা শতকরা পাঁচ টাকা নির্ধারন করেছে ? ইতিহাস উল্টো পথে চলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সারা বছর তিন টাকা, কোরবানীর জন্য পাঁচ টাকা শতকরা খাজনা। সরকারকে অপরাধীর কাঠগড়ায় দার করিয়ে বিশ্বের উদাহরণ লজ্জা জনক। প্রানি সম্পদ মন্ত্রণালয় রাজাকারদের ফাঁদে। পঁচা মাংস বিক্রির সংবাদ এখন একাধিক পত্রিকায়। মনে হচ্ছে প্রানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের গরু সাদেক ডেইরি ফার্মে আর ভারতীয় পঁচা মাংস মিলিয়ে বিক্রি হচ্ছে। তদন্ত কমিটি হলে আসল সত্য বেরিয়ে আসবে। দক্ষিণের মেয়র বিকল্প গরুর হাট ও খাজনার এবং সমস্যা চিহ্নিত করে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আশ্বাসের প্রদান করেন।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।