যে-সম্পর্ক অংসান সুচি কাজে লাগাতে পারলেন না, পারলেন না মিয়ারমার জনগণকে মুক্ত করতে
রিপোর্টারের নাম
আপডেট সময় :
Tuesday, December 28, 2021
181 Time View
জনাব রবিউল আলম
স্বাধীনতার ৫০ বছরেও যেকথা বার বার মনে পরে, পাকিস্তানের কারাগার ও নিজে মৃত্যুকেই বেছে নিয়ে ছিলো শেখ মজিবুর রহমান , ইন্দিরা গান্ধীর সহায়তা কাজে লাগিয়ে বাংলার স্বাধীনতা, বাঙালির মুক্তি আদায় করেছিলো অন্ধকার কারাগারে থেকেও। প্রধান মন্ত্রীর লোভনীয় অফার প্রত্যাক্ষান করেছিলেন বলেই বাঙালি জাতির পিতার আসনে। বিষর্জন ছাড়া অর্জন হয় না। মজিব-ইন্দ্রিরা সম্পর্কে বাংলার স্বাধীনতা। সুচি-হাসিনা সম্পর্কে একটা কিছু হতে পারতো। বিশ্ব অংসান সুচিকে সেই সুযোগ দিয়েছিলো। ক্ষমতার লোভ সবাই ত্যাগ করতে পারে না, সুচি ও পারে নাই। মিয়ারমার জনগণের ভোট বিক্রি করা হয়েছে সামরিক জান্তার কাছে, ক্ষমতার ভাগবাটোয়ারা মাধ্যমে। উপরন্তু রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে বাংলাদেশ সহ বিশ্বেকে নাড়িয়ে তুলেছিলো। এমনকি আন্তর্জাতিক আদালতে হাজির হয়েছে আইনজীবী সেজে। সুচির অপরিকল্পিত রাজনীতির জন্য একের পর এক আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি হাত ছাড়া হয়েছে, নোবেল পুরষ্কার প্রশ্নবৃদ্ধ হয়েছে, শেখ হাসিনার মতো মানবিক নেতা ও বন্ধু হারিয়েছেন সুচি। আন্তর্জাতিক চাপে মিয়ারমার সামরিক জান্তা নির্বাচন দিতে বাদ্য হয়েছিলেন, গৃহবন্দী থেকে মুক্ত হয়েছিলেন সুচি। জনগণের ভোটের অধিকার সামরিক জান্তার প্রস্তাবে কাছে, ক্ষমতার কাছে বিক্রি করা না হলে, সুচির অবস্থানে জান্তা সরকার ভেষে যেতো, সুচি পেতেন অমরত্ব। রোহিঙ্গাদের অভিশাপ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমেরিকার জোটকে প্রত্যাক্ষান, সুচির জন্য কালকুঠরী সৃষ্টি করেছে। পৃথিবীর কোনো দেশেই সুচির অস্থায়ী সরকারের জন্য একটুকু স্থান নাই। ক্ষমতার মোহ থেকে জনতার ভালোবাসা একসাথে অর্জন করা যায় না। শেখ হাসিনার সাথে যে সম্পর্ক সৃষ্টি হয়েছিলো অংসান সুচির , সেই সম্পর্কে কাজে লাগিয়ে মিয়ারমার জনগণকে মুক্ত করতে পারলেন না।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।