জনাব রবিউল আলমঃ
বিশ্ব যখন একটি তীরের আগায়, তখন মরন আর বাচনের আশায় একটি কুল খুঁজে নিতে হয়। সেই কুল আর ঢাল, যাকিছু বলি না কেনো, রাশিয়াকে বলতে হবে। ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্বকে সেই বার্তাই দিচ্ছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে, বিশ্ব অনেক পরিবর্তন হয়েছে। পরিবর্তন হয়েছে তুর্কী সাম্রাজ্য পতনের পরে, সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পরে। আমেরিকার রক্তচক্ষু, ইসরায়েলের হুংকারে মুসলিম বিশ্ব ততস্থ, ইরাক লিবিয়ার আক্রমণ সাম্রাজ্যবাদের স্বরূপ উম্মুচন হয়েছে। সোভিয়েত ইউনিয়নের মিত্রশক্তি হারিয়ে পৃথিবীকে একক সাম্রাজ্যবাদে তাবেদারে পরিনত করেছিলো। সিরিয়া জয় করতে পারলে আমেরিকা একক বিদাতার ভুমিকা নিতে চাইতো। তালেবানের প্রতিবন্ধকতা দিয়ে শুরু, যুক্তরাষ্ট্রের দুর্বলতা প্রকাশিত হয়। ইউক্রেন সীমান্তে প্রতিরোধে পরে এখন দিশেহারা। রাশিয়ার প্রতি নিষেধাজ্ঞায় বিশ্বে ডলার, পাউন্ডের বাজার রাজত্ব হারাচ্ছে। গ্যাস ও তেল নিয়ে তেলেসমাতি চলছে। বিশ্বের অবহেলিত তেল উৎপাদন কারী মুসলিম দেশের কদর বেরেই চলেছে। যুদ্ধ দীর্ঘায়ীত হলে পরাশক্তির অহংকার চুর্ণ হতে পারে, অথবা পৃথিবী ধ্বংস ডেকে আনতে পারে। যুদ্ধ আমাদের কারোই কাম্ম হতে পারে না। একক সাম্রাজ্যে পৃথিবীও চলতে পারে না। ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধ প্রমান করেছে। বিশ্ব এখন একক নেতৃত্বের দাবীদার নয়। জয় পরাজয় যা-কিছু হউক। বিশ্ব এখন দুই ভাগে। দরকষাকষি চলবে, আমাদের পছন্দের পরাশক্তির দেশটি বেছে নেওয়ার অধিকার সংরক্ষিত থাকবে।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।