যশোরে যথাযোগ্য মর্যাদায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১৭ মার্চ ২০২১ রোজ বুধবার যশোরে গাড়ীখানা রোড়, চিত্রা মোড়ে যশোর জেলা যুব মহিলা লীগের আয়োজনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন, সভাপতি যশোর জেলা আওয়ামী লীগ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মাননীয় সংসদ সদস্য, যশোর-০৬ ও যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার, মাননীয় সংসদ সদস্য, যশোর-০৩ ও যশোর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার গনি খাঁন পলাশ, মেয়র প্রার্থী ও সহ-সভাপতি যশোর জেলা আওয়ামী লীগ, আকলিমা আকতার লাকি ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক, যুব মহিলা লীগ, যশোর জেলা শাখা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, মঞ্জুন্নাহার নাজনীন সোনালী, সভাপতি, যুব মহিলা লীগ, যশোর জেলা শাখা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগ এবং তাদের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া সাংবাদিকবৃন্দ এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান। শুধু একটি নাম নয়, একটি দেশের ইতিহাস লুকিয়ে রয়েছে এই একটি নামেই। মানুষকে ভালোবেসে তিনি হয়েছিলেন ‘বঙ্গবন্ধু’। শত বছর শোষণ আর নিপীড়নের বেড়াজালে আবদ্ধ একটি জাতিকে মুক্তির দিশা দেখিয়ে এনে দিয়েছিলেন স্বাধীনতা। তাই তিনি জাতির পিতা।
বক্তারা আরো বলেন, ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ যদি বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হতো, তাহলে আমরা এই স্বাধীন ভূখণ্ড পেতাম না। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ শেষে দেশকে যখন নতুনভাবে বঙ্গবন্ধু গড়ার উদ্যোগ নেন, সেই মুহূর্তে মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তি তাকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করে। কিন্তু তার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদৃঢ় ও সুদূরপ্রসারী নেতৃত্বের কারণে আজ আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি।
পরে কেক কেটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করা হয়।