মোঃ ইব্রাহিম হোসেন, নির্বাহী সম্পাদকঃ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকী ও ‘জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মোহাম্মদপুর থানার ৩১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৫ আগস্ট ২০২০ রোজ শনিবার রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কার্যালয়ে এ আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল, দুঃস্থদের মাঝে খাদ্য বিতরণ ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু’সহ পরিবারের সকল শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি লায়ন এম এ লতিফ এবং সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. জাহিদুল হক বাবু, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মোহাম্মদপুর থানা ৩১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অলি উল্লাহ মাস্টার।
উক্ত অনুষ্ঠান সভাপতিত্ব করেন, ৩১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এমএ খালেক, অনুষ্ঠান সঞ্চলনা করেন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইমরান (ইথার)।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মোহাম্মদপুর থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃবৃন্দ, আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ, ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ’সহ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ১৯৭৫ সালের এই দিনে স্বাধীনতার মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যা করে। ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল।
পৃথিবীর এই জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছেলে আরিফ ও মেয়ে বেবি, সুকান্তবাবু, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে যুবনেতা ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর দু’কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান।
অনুষ্ঠানে বক্তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রবিরোধী সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করার আহ্বান জানান।
অতঃপর ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ডে শাহাদাত বরণকারী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয় এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করা হয়। চলমান করোনা মহামারিতে মৃত্যুবরণকারীদের শহীদের মর্জাদা দান ও আক্রান্তদের আরোগ্য দানের জন্য মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নিকট দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।