ঢাকার অবৈধ খাল উদ্ধারের অভিযানে ঘোষণা করা হয়েছিলো ৪৮ টি খাল উদ্ধার করা হবে। সিএসএ ৫২ খাল ছিলো, এসএ ৪৮ টি, আরএসএ ৪২। বর্তমানে ৮ থেকে ১০ খাল আছে সরজমিনে। খালগুর অধিকাংশ দখল করেছে সরকার। ধৌলাই খাল, গেন্ডারিয়া, পান্থপথ, রায়ের বাজার, আরামবাগ সহ অনেকটাই রাস্তায় পরিনত হয়েছে। বাকী অংশ স্বৈরাচার, স্বেচ্ছাচারের সরকাররা দোকানের জন্য লিজ ও অবৈধ দখলদারের অধিনে আছে, যা উচ্ছেদের মাধ্যমে রাস্তা সম্পসারন করা যায়। ৪৮/৪২ টা খাল কখনো উদ্ধার করা যাবে না।
উদ্ধার করতে চাইলে সেই আগে জরাজীর্ণ গরুর গাড়ীতে সিটি করপোরেশনের ময়লা পরিস্কার করতে হবে। লাউতলা খাল উদ্ধারে সেই অবস্থায় ফিরিয়ে আনার ইঙ্গিত বহন করে। লাউতলা খালের বিশাল জমি উদ্ধারের মাধ্যমে বিশাল রাস্তা, স্কুল, কলেজ, স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র সহ সমাজ সেবা ও শহিদ বুদ্ধিজীবীদের রক্তে ভেজা বটগাছটি সংরক্ষণ করা যেতো।
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষণের জন্য মাননীয় মেয়র আতিকুল ইসলাম ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এবং এমপি ইতিহাসের অংশ হতে পারতেন। শেখ হাসিনার সরকার মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে প্রমানের প্রয়োজন নাই। দুঃখজনক হলেও সত্য, এখন লাউতলা খাল উদ্ধারের সমালোচনা অভাব হচ্ছে না। গতকাল লাউতলা খালের পারে দিয়ে হাটার সময়, বিরুদ্ধবাদীরা ১০ তলা বিল্ডিং আঙুল দিয়ে দেখাচ্ছে। এই বিল্ডিং না টেলিভিশনে দেখানো হলো, লাউতলা খালের উপর। কবে উদ্ধার হবে ? একজন আর একজনকে প্রশ্ন করেই চলেছে।
আমার প্রশ্ন ছিলো মন্ত্রী ও মেয়রের কাছে, লাউতলা খাল কি এখানেই উদ্ধার অভিযানের সমাপ্ত ? না-কি খালের পুরো অংশ উদ্ধার হবে ? খালের পারে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের রক্তে ভেজা বটগাছটি সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি-না ? উত্তর ছিলো পানি ও নৌকা চলতে দেখবেন। কি হবে জানিনা। তবে লাউতলায় গর্থ দেখছি, খাল ও নৌকা চলতে দেখছি না। আলহাজ্ব মোঃ সাদেক খান এমপি একটি কথা বলতেন, রবিউল কোনো কাজে খামচা খামচি করো না পরিকল্পনা ছাড়া। আমি মেয়র আতিকুল ইসলামকে একি কথা বলতে চাই। কাজের জন্য স্থানীয় মতামত জরুরী, কি করলে ভালো হয়। সমাপ্ত করতে পরিকল্পনা ও অর্থনীতির সামর্থ থাকতে হবে। না হয় খামচি দিবেন না।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।