জনাব রবিউল আলমঃ জীবনের গল্প, বাকী আছে অল্প। অল্প দিয়েই শুরু করতে হয়, যার যেটুকু সামর্থ। অর্থবিত্ত, শিহ্মা, সেবা ও আত্নত্যাগের গল্প আমরা অনেক শুনেছি, দেখেছি ত্যাগের মহিমান্বিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে, দেখার সুভাগ্য বলতেন পারেন মিসেস ইন্দ্রিরা গান্ধীকে। সকালে আমাদের নতুন সময় পত্রিকার ৪ পাতায় ব্যারিস্টার রফিক উল হকের জন্য নির্ধারিত ছিলো, জানার আগ্রহ থেকে পড়া শুরু। জীবনের গল্প বাকী আছে অল্প কথার অর্থ বুঝতে পারলামনা। জানার বাকী যে কত ছিলো এবং আছে লিখে শেষ করা যাবে না, ব্যারিস্টার রফিক সম্পর্কে।
মুজিব, ইন্দিরা সাহাচার্য, নিজেদের জমিদারী ত্যাগ, জীবনের অর্জিত অর্থবিত্ত নিরবে সব ত্যাগ করতে পারেন মানব সেবায় ? এত সুখের মাঝেও অর্জনের নেশা কেউ থামাতে পারেন নাই, নিজের জন্য কিছুই রাখেন নাই। এই মহামানব নিজের অর্জন যা নিয়ে গেলেন, আমি মনে করি খুব কম মানুষই নিয়ে যেতে পারবেন, মানুষের ভালোবাসা। নাঈমুল ইসলাম খানকে আমরা, আমাদের নতুন সময়ের সাথে যুক্ত এবং মিডিয়া জগতের অধিকাংশ অন্তরের অন্তস্তলে বন্দী করে রেখেছি মনের ভাষা বুঝেন বলে। এ দেশের পাঠক কি চায়, কার কতটুকু সম্মান প্রাপ্প, দিতে কার্পণ্য নয়।
ব্যারিস্টার রফিক উল হকের জীবনের গল্প নিয়ে জাতিকে অভিহিত করার জন্য একটি পাতাই উৎসর্গ করা হয়েছে। আতিক খানের, যার যা বলা দরকার, অবলীলায় বলেছেন, কাউকে মাথায় তুলেনি। শাওনের, আলতাব মাহমুদের মেয়ের সমস্যা মানে আমার সমস্যা। এরতেজা হাসান, বঙ্গবন্ধুর রাশিয়া সফর ও ব্যারিস্টার রফিক উল হক:স্মৃতি কথন। সিদ্দিক মাহমুদ, কত ছেলে মেয়ের যে চাকুরী দিয়েছেন রফিক দুলাভাই। ব্যারিস্টার আন্দালিভ রহমান পার্থ, জিল্লুর রহমান, জ,ই, মামুন, প্রভাষ আমিন, মাহবুব মোর্শেদ, রিফাত হাসনা সহ আজ লেখক সমাজ ব্যারিস্টার রফিকের জীবন কাহিনী নিয়ে লেখায় ব্যাস্ত।
প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির শোক বার্তা দিয়েছেন। কত অর্থের বিনিময় এ সম্মান আপনারা সঙ্গে করে নিতে পারবেন, অর্থপিপাসুদের কাছে আমার এই প্রশ্ন। সমাজ, রাষ্ট্র ও জাতিকে কিছু দেওয়ার জন্য আমাদের জন্মকে স্বার্থক করতে হয়। ত্যাগের মাধ্যমেই আমরা চির বিদায়কে স্মরণীয় করতে পারি, অর্থে নয়। তবু কেনো অযথা আমরা অর্থের পেছনে নিজের মেধাকে ব্যায় করি? যে অর্থ মুল্যহীন।
ব্যারিস্টার মদুদসহ হাজারো ব্যারিস্টার আমাদের সমাজে আছে, রফিক সাহেবকে কাছে থেকে দেখেছেন, তাকে বুঝতে পারেন নাই। তার কাছ থেকে কিছু শিখেনও নাই, অর্থ রাষ্ট্রের প্রয়োজন, জাতির প্রয়োজন, ব্যাক্তির নয়।রফিক উল হক বুঝেছেন বলেই সব অর্থ বিলিয়ে দিয়েছেন।
স্যালুট ব্যারিস্টার রফিক উল হক বাঙালি জাতির পহ্ম থেকে। আপনার অর্জনের শেষ নাই। জীবনের গল্পও অল্প হওয়ার সম্বাবনা নাই। আমরা বেচে থাকতে।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামলী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।