জনাব রবিউল আলমঃ সম্পর্ক একতরফা হয় না, কৃতজ্ঞতা ইচ্ছে করলেই একতরফা প্রকাশ করা যায় না জাতীয় পর্যায়।পারলে পাকিস্তান হ্মমা চাইতে ৫০ বছর নিতো না। ধর্মের বিচারে বিশ্ব মানবতার ঐক্য হবে না। নিজেরটা বুজলে রাজনীতির প্রয়োজন হয় না। রাজনীতির ত্যাগ ছাড়া অর্জন হয় না।মমতা-মোদীর রাজনৈতিক রোষানলে দুই দেশের জনগণ মানবতাহীন হয়ে পরছে। মুজিব-ইন্দ্রিরার অর্জন আজ বিষর্জন হতে চলেছে। একফোটা পানিও দেওয়া হবে না বাংলাদেশকে:দিদির এই কথার ফাক দিয়ে তিস্তা প্রকল্পে চিনকে আগমনের বার্তা দিচ্ছেন না তো ? ভারতের জনগন আপনাকে হ্মমা করবে তো। দিদি ভোটের জন্য, নিজের স্বার্থের জন্য বাঙালিকে ভাগ করতে অনেকেই চেয়েছে।
বৃটিশ পাকিস্তান ও কম চেষ্টা করে নাই, ইতিহাস কাউকে হ্মমা করে নাই। বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিবুর রহমানের মর্মবানী, ভারত মাতা শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর মানবতার বানীর সংমিশ্রণে ভারত-বাংলাদেশের নতুন ইতিহাস রচিত হয়েছিল। পানির রাজনীতি আমাদেরকে কোন পথে নিয়ে যাচ্ছে ? আপনাকে অনুধাবন করতে হবে। আধুনিক যুগের রাজনৈতিক অঙ্গিকার, বিজ্ঞানের আবিস্কার পানির মাঝে সীমাবদ্ধ হতে পারে না দিদি। পানি এখন মাটি ফেটে উঠে, বিজ্ঞানের কাছে পানি বন্দীত্ব গ্রহন করে,মানুষের ইচ্ছে মত পানি প্রবাহিত হয়। আপনার ভোটের জন্য পানির প্রয়োজন, আমাদের জীবনের জন্য, বেচে থাকার জন্য। পানি প্রয়োজন মিটানোর জন্য আমাদের কী করার প্রয়োজন ? স্বাধীনতার জন্য অনেক মুল্য দেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তান, আমেরিকা ও চিনের আগ্রাসন থেকে, বিছিন্নতাবাদী আন্দোলন ঠেকাতে যোগাযোগের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বাংলাদেশ। ভারতকে নতুন স্বপ্ন দেখার সুযোগ করে দিয়েছে,বাংলাদেশ হয়েছে রাহুমুক্ত মজিব-ইন্দ্রিরার পরিকল্পনা থেকে । না হয় আমেরিকার পারমানবিক ঘাটি হতো সেন্টমার্টিন দীপে।আপনার বাংলাদেশ বিরোধী বিস্ফোরন মন্তব্যের সুযোগ নিয়ে তিস্তা প্রকল্পে চিনের আগমন ঘটতে পারে, ভারতের জনগণের কাছে কী জবাব দিবেন, দায় কে নিবে ? বাঙালিকে বুকা বানিয়ে ভোট আদায় করতে পারবেন,ভারতকে বন্ধু এনে দিতে পারবেন না। বাঙালি একবার বুকে ধারন করলে ছাড়ে না, ঐক্য বিনষ্ট করে না, বঙ্গবন্ধুর চেয়ে বড় প্রমান আর হতে পারে না। বিশেষ প্রয়োজনে অনেক বাঙালি বাংলাদেশ ত্যাগ করেছেন, দেশপ্রেম ত্যাগ করেন নাই। আয়গা ঢাকার ভানুর চেয়ে বড় প্রমান আর কী হতে পারে। দিদি, আপনার তো না শুনার কথা নয়। কথায় কথায়, প্রতিটি কৌতুকে ঢাকাকে নিয়ে অহংকার করতো ভানু, আমরা গর্বিত। ট্রেনের স্পিট প্রমান করার জন্য নারায়ণগঞ্জের বিদায়ী চুমা কমলাপুর স্টেশনের চাপরাশির গালে পরেছিল। পানির রাজনীতি জন্য দিদির চুমা কার গালে পরবে, কে জানে। বাংলাদেশ বসে থাকবে না সুদীর্ঘকাল পানির জন্য ।
শেখ হাসিনার অনেক চুমু নিয়েছেন, ইলিশ মাছ খেয়েছেন। মুখ্য মন্ত্রী হয়ে চুমু দিয়ে কি আর তিস্তা প্রকল্প ঠেকাতে পারবেন। আপনার জনগণ পানিতে না ডুবা পর্যন্ত আপনার হুশ হবে না। বাংলাদেশ আপনার কাছে রঙ্গমঞ্চ হতে পারে, বাঙালি রঙ্গমঞ্চের বিলেন নয়। বৃটিশ পাকিস্তানের কাছ থেকে জেনে নিবেন, বাঙালি কি চিজহায়। স্যালুট দিদির জন্য, আরো বেশি বেশি করে বিরোধিতার জন্য। বাংলাদেশকে চিনের পথ দেখিয়ে দেওয়ার জন্য। এ জন্য আপনাকে আবারও হ্মমতায় আসতে হবে বিজেপির মৌলবাদ প্রতিহত করার জন্য, আমরা আপনার পাশে আছি।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামলী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।