খাস খবর বাংলাদেশঃ মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের ইস্যুতে বিরুদ্ধ অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত সামরিক নেতাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপে একটি নির্বাহী আদেশ অনুমোদন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের সামরিক নেতা, তাদের পরিবারের সদস্য এবং তাদের ব্যবসার ওপর নিষেধাজ্ঞা পড়তে যাচ্ছে এই পদক্ষেপের ফলে। জানা গেছে, নিষেধাজ্ঞা আরোপের নির্বাহী আদেশ অনুমোদন হওয়ার ফলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জন্য বিশাল অঙ্কের অনুদান বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া, মিয়ানমার সরকারের উপকারে আসার মতো মার্কিন ‘সম্পদ’ জব্দ রাখবে জো বাইডেন প্রশাসন।
এ ব্যাপারে জো বাইডেন বলেছেন, মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীকে অবশ্যই দখলে নেওয়া ক্ষমতা ছেড়ে দিতে হবে এবং সে দেশের জনগণের গত ৮ নভেম্বরের নির্বাচনের রায়কে সম্মান জানাতে হবে।
এদিকে, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর হাতে আটক বিভিন্ন বেসামরিক রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মুক্তি দাবি করেছেন। জাতিসংঘ মহাসচিব বলেছেন, আমাদের বিশেষ দূত সুইস কূটনীতিক ক্রিস্টিন শ্রানের বার্গেনারের সাথে প্রথমবারের মতো মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। দেশটির সামরিক বাহিনীর ডেপুটি কমান্ডারকে এ অভ্যুত্থান নিয়ে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করে দিয়েছেন।
জাতিসংঘপ্রধান আরও বলেন, অভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা উল্টে দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ করতে আমরা নিজেদের সামর্থ্যের মধ্যে সবটুকু করব। এরআগে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস মিয়ানমারের সেনা অভ্যুত্থানকে ব্যর্থ করে দিতে বিশ্ববাসীর কাছে আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন, এ অভ্যুত্থান ব্যর্থ করতে মিয়ানমারকে চাপ দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নেতাদের ঐক্যবদ্ধ করতে যা যা করা দরকার তাই করা হবে।
নির্বাচনের বিপরীতে এ ঘটনা ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে উল্লেখ করে জাতিসংঘ আরও জানায়, অভ্যুত্থানকারীদের বুঝিয়ে দিতে হবে এভাবে দেশ শাসন করা যাবে না। অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া সেনা কর্মতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এটি কোনো দেশ শাসনের উপায় হতে পারে না। নির্বাচনের দোহাই দিয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের আটক করে রাখা কোনো ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
উল্লেখ্য, মিয়ানমার পার্লামেন্টে নতুন সরকারের প্রথম অধিবেশন শুরু হওয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে ক্ষমতা দখলে নেয় দেশটির সেনাবাহিনী।