ঢাকা প্রতিনিধিঃ মানব সমাজের বাহিরে আমরা কেহ না, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ডক্টরের, পুলিশ, আর্মি, র্যার, আনসার যাইবলি। নাম আমরাই নির্ধারন করেছি সেবার পরিধি বিবেচনা করে। দেশের মহাসংকট করোনা ভাইরাসে এই পুলিশকে আমরা চিনতে পারিনি। রাস্তার পাশ থেকে মাকে তুলে নিয়ে সেবার ভরিয়ে দেওয়া। করোনা আক্রান্ত রোগিকে বহন করে হাসপাতালে পৌচিয়ে দেওয়া, নিজের জীবনকে উৎসগ করে সমাজকে রহ্মা করার ইতিহাস আমার দেশের পুলিশে। আইজিপি বেনরজি আহম্মেদ, উপ পুলিশ কমিশনার ওয়াহেদুল ইসলাম, ওসি মির জামালুদ্দিন সহ অনকে মানবিক পুলিশ দেখেছি। পুলিশ ছাড়া সমাজ ও রাষ্ট্র কল্পনা করা যায় না। পুলিশ মানবিক হলে, রাষ্ট্রের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে না। মানুষ থেকেই পুলিশ হয়, পুলিশ হওয়ার পরে অনেকেই আর মানুষ হতে চায় না কেনো ? খারাপ পুলিশের নাম প্রচার করতে চাইনা। উদাহরণই যথেষ্ট, কেনো একজন নাবালক কে স্বাবালক বানিয়ে মামলা নেওয়া হয়, মায়ের সামনে গলায় পাড়া দিয়ে টাকা আনতে বাদ্য করা হয়। বুকে ঠেকিয়ে গুলি করা হয়। কক্সবাজার হত্যা কাণ্ডে কত কথা না মনে করিয়ে দিলো এবং দিবে, বলার অপেক্ষা রাখেনা। আমি শুধু পুলিশ নিয়েই আবদ্ধ থাকতে চাই না। অমানবিকতা আজ আমাদেরকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে শেখ হাসিনা একজন শিহ্মকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়ীত্ব দিয়েছেন, আমার জানামতে একজন সফল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেই মনে করি। আইজিপি বেনরজি আহম্মেদ মাত্র দায়ীত্ব নিয়েছেন, আমি আশাবাদী, পুলিশের পরিবর্তন আসবেই। পরিবর্তন ছাড়া আমাদের সামনে বিকল্প নাই। পুলিশকে মানবিক হতে হবে, মানুষ থেকে পুলিশ হতে পারলে, পুলিশকে মানুষের মত আচরন করেই প্রমান দিতে হবে। বেনরজি, ওয়াহেদুল দের মত। পুলিশের রাজমুকুট পুনঃউদ্ধার করতেই হবে। রাজ রাজাদের কর্মচারী না হয়ে, সরকারের প্রতিনিধি হতে হবে। আমি কক্সবাজার হত্যা কাণ্ডকে বিৎছিন্ন ঘটনা মনে করিনা। এটা একটা পরিকল্পিত হত্যা কাণ্ডই মনে হয় আমার কাছে। একজন মেজর গুলি করলো পুলিশের গায়ে লাগলো না, চলন্ত গাড়ীতে চার রাউন গুলি পুলিশের একটাও মিস হলো না। ৬ টি গুলির আঘাতে চিহ্ন পাওয়া গেলো। বিস্তারিত তদন্তের পরে। টেলিফোন আলাপ সন্দেহের তালিকা লম্বা করেছে। আগস্টকে সামনে রেখে সরকারকে বিব্রত করার নীল নকশা মনে হয়। দুই বাহিনীর প্রধানের ঘোষণা ব্যাক্তির অপরাধ কোনো বাহিনী বহন করবেনা। করতে পারেও না। আমরা দেশ সব বাহিনীর উপর নির্ভর। আমরা আমাদের কষ্টাজীত অর্থের বিনিময় দেশ ও জীবনের নিরাপত্তার জন্য বাহিনীর উপর আস্তা রাখতে হচ্ছে। এই বাহিনীকে বিতর্কে আনতে পারিনা। ব্যাক্তির অপরাধের বিচার হবে। সতর্ক হবেন আমাদের গর্ভিত বাহিনী। আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। আর যেনো কক্সবাজার সৃষ্টি না হয়।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামলী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।