জনাব রবিউল আলমঃ বাঙালি সংস্কৃতির বিস্তারে রুচির পরিবর্তনে আমি বিস্মিত। স্টার জলসার শ্রীময়ী নাকি, না দেখতে পারায় বাংলাদেশ নিরব বিপ্লব হচ্ছে। বৌ,শাশুড়ীর ঝগড়া, পরকীয়া, অশালীন ভাষায় মাকে আক্রমণ নিয়ে শ্রীময়ী নাটকের রচনা, বাঙালীকে কি করে এতটা আকৃষ্ট করতে পারে ? বাঙালীর স্বভাব চরিত্রে ও সংস্কৃতি সাথে আমি কোন মিল খুঁজে পাই না। না এই নাটকে চরিত্র ও সামাজিক বন্ধন খুঁজে পাই। প্রতিটি সংসারেই প্রতিবন্দকতা ও বিৎছেদ পরিলহ্মিত হচ্ছে,তার পরেও ইন্ডিয়ান বলে ? রবিন্দ্রনাথ, নজরুল , শরৎ,বঙ্কিম, লালনের দেশে কি হচ্ছে ? বাঙালীর রুচির কি পরিবর্তন হচ্ছে ? নবাব সেরাজদ্দৌলা, দেবদাশ চলচ্চিত্র আমাদের অহংকার। বোম্বাই, দিল্লি কলকাতা সহ ১১ বার শরৎচন্দ্রে দেবদাশ চিত্রায়ীত হয়েছে, বাংলাদেশের কবরী, পার্বতী ও বুলবুল আহমদ দেবদাশ চরিত্র করার মত অভিনয় ছিলো অবিস্মরণীয়। হুমায়ুন আহমেদের বহুব্রীহি, এইসব দিন-রাত্রী ও কোথাও কেউ নাই, বাকের ভাই হ্ম্যাত আসাদুজ্জামান নূর ছিলো ইতিহাসের অংশ। ভারত-বাংলাদেশ সহ বিহ্মোব হয়েছে। নাট্যকারের বাড়ীতে আক্রমণ হয়েছে, মৃত্যুদণ্ড রহিত করনের জন্য। আমার বিশ্বাস ভারতে বাংলাদেশের টেলিভিশন চ্যানেল প্রবেশাধীকার থাকলে। সালাউদ্দিন লাভলু সহ একাধিক তরুন নাট্যকারের নাটক ভারতের বাঙালী চরিত্রের ও রুচির পরিবর্তন ঘটাতে পারতো। আসামে কিছুদিন অবস্থানে ইউটিউবে বাংলাদেশের নাটক দেখার হিরিক দেখেছি। মানুষের জীবনটাই একটা নাটকের অংশ মনে হয়েছে। প্রতিদিন আমাদের চারিপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনাই নাটক। ধর্ষণ, ধর্ষক, দুর্নীতি, রাজনীতি, জীবনমানের বহিঃপ্রকাশ ঘটে নাটক, চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। জীবনধারণ, চরিত্রগঠন, জাতির ইতিহাস ঐতিহ্য রহ্মার জন্য লেখক, সাহিত্যিক, চলচ্চিত্রকার নাট্যকার,কবি, গীতিকারদের অবদান আমরা অস্বীকার করতে পারিনা। নাটক, চলচ্চিত্র ও অপসংস্কৃতিকেও অস্বীকার করতে পারবোনা। একজন সন্তান মাকে যখন দুষ চরিতা,ব্যাবিচারী বলে, হউক না নাটক। এর প্রভাব আমাদের সমাজে, জাতিগঠনে কিছুটা হলেও প্রতিবন্দকতা সৃষ্টি করে। সংস্কৃতি, রাজনীতির সহায়ক বলা হয়। অপসংস্কৃতি বিনষ্টকারী। রাজনীতির মাধ্যমে বিনষ্ট আবিস্কার করতে চাইলে প্রতিরোধ করবে কে ? স্টার প্লাস, স্টার জলসা, জিটিবি সহ ভারতীয় চ্যানেল, অনেক হয়েছে, অর্থও অনেক হয়েছে। এখনতো থামুন। জাতি আপনাদের কাছে অনেক কিছু আশা করে। জাতির প্রতি আপনাদের দায়ীত্ব অনেক। কাল্পনিক চরিত্র বাদ দিয়ে বাস্তবে আসুন।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামলী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।