বাজারে আগুন, নিয়ন্ত্রণের কোন চেষ্টা চোখে পড়ছে না। বরং দায়িত্বশীলদের অতিকথনে আগুনের তেজ এবং তাপ দুটোই বাড়ছে বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্রান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া প্রশ্ন করেন মানুষকে আর কতভাবে ভোগাবেন মাননীয়রা ?
বুধবার (৬ এপ্রিল) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, খাদ্যপণ্যসহ দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের যখন নাভিশ্বাস উঠেছে, তখন নতুন করে ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডার গ্যাসের মূল্য আরেক দফা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত স্বল্পআয়ের কোটি মানুষের জীবনকে আরও দুর্বিষহ করে তুলবে।
নেতৃদ্বয় বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ, টিসিবির গাড়ি, ন্যায্য মূল্যের দোকানের সংখ্যা ও পণ্য সরবরাহ বৃদ্ধি, স্থায়ী রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা উচিত। অনেক মানুষ ‘আধাপেট’ খেয়ে দিন যাপন করলেও সরকারের মন্ত্রীরা মানুষকে উপহাস করে চলেছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে এবং বিকল্প বাজার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে উল্লেখযোগ্য কোনও ভূমিকাই নেওয়া হচ্ছে না। এ অবস্থায় জনগণের গণসংগ্রাম অব্যাহত রেখেই দাবি আদায় করতে হবে।
তারা বাণিজ্যমন্ত্রীর সংসদে প্রদত্ত “সরকার ব্যবসা নিয়ন্ত্রন করে না” বক্তব্যের তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রশ্ন করেন, তাহলে ব্যবসা কারা নিয়ন্ত্রন করে ? কাদের দায়িত্ব ব্যবসা নিয়ন্ত্রন করা ? না কি এখন ব্যবসায়ীরাই সরকার নিয়ন্ত্রন করে ?