জনাব রবিউল আলমঃ
বাঙালির মুক্তির আন্দোলনে, সশস্ত্র সংগ্রামে অকাতরে জীবনদান করেছিলেন জাতির শ্রেষ্ট সন্তান আমাদের বুদ্ধিজীবীরা। জীবন দানের চিহ্নিত স্থান রায়ের বাজার বটতলা এখনো অবৈধ দখলে। ভাষা আন্দোলনের সূতিকাগার আমতলা এখনো অরক্ষিত। তেঁতুলতলার মাঠ নিয়ে পুলিশের লংকা কাণ্ড। বাংলার মহয়শী নারী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ রক্ষা হলেও বটতলা, আমতলার বিষয় এখনো অমীমাংসিত। সামান্য বিষয় হলেও জাতির জন্য, ইতিহাসের জন্য অসামান্য। সরকারের প্রশাসন একটি আঙুলের ইশারা ছাড়া নড়ে না।প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ও গ্রহন করে না। একুশে বই মেলায় মিডিয়ার অবদান স্মরনীয়, আমার দেখা রায়ের বাজার বদ্ধভুমি এবং শহিদ বুদ্ধিজীবীদের রক্তে ভেজা একটি বটগাছ বই নিয়ে, তারপরও কেনো জানি শুভঙ্করের ফাঁকি,একটি তদন্ত দলও আসে নাই বটগাছ সংরক্ষণের । সরকারি দল করি বলেই তেঁতুলতলার মাঠের মতো আন্দোলন করতে পারছি না। তাই বলে কি শত শহিদের রক্তে ভেজা বটগাছটি সংরক্ষণ করা হবে না ? কবে কখন কীভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টিতে আসবে এবং কীভাবে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের রক্তে ভেজা বটগাছটি সংরক্ষণ হবে ? আমি জানিনা বেচে থাকতে ? না-কি মৃত্যুর পরে। আমি জানি একদিন এই বটগাছটি সংরক্ষণ হবে। প্রশ্ন হচ্ছে আমার সাথে বটগাছ টির মৃত্যু না হয়। যে হারে অবৈধ দখলদার’রা গাছটিকে কেটেছেটে বিষপ্রয়োগে হত্যার চেষ্টা করছে, একদিন নিশ্চিহ্ন হওয়ার সম্ভাবনা আছে। সরকারের জবাবদিহিতার জন্য মোহাম্মদপুর থানা সহ একাধিক মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে , সময় থাকতে দৃষ্টিগোচর না করার কারনে। মুক্তিযুদ্ধের সরকারের কাছে অনেক বেশী চাওয়া হয় নাই।জেলাপ্রশাসকের একটা নোটিশ বটগাছটি সংরক্ষণে সহায়ক হতে পারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। হতে পারে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের পরিবারের জন্য ঈদ উপহার।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।