রবিউল আলমঃ
রাজনৈতিক শ্লোগান, মাটি ও মানুষের নেতা। মাটির সাথে সম্পর্কহীন রাজনৈতিক নেতাদের কে বলা হয় ভাড়াটিয়া। অর্থের বিনিময়ে অনেক শিল্পপতি, ব্যবসায়ীরা সম্মান অর্জনে জন্য, অবৈধ অর্থ হালাল করার জন্য রাজনৈতিক দলের সদস্য হওয়ার বাসনা থেকেই রাজনৈতিক শূন্যতা সৃষ্টি হয়। মাটির সাথে সম্পর্কহীনরা প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক কর্মসুচি প্রতিরোধে ব্যার্থ হয় । জনমত দলের পক্ষে সৃষ্টি করা যায় না। বঙ্গবন্ধু হত্যার পরে অনেক প্রতিকুলতার মাঝে মেয়র হানিফ ঢাকাকে আওয়ামীলীগের পক্ষে রাজনৈতিক পুর্ণজীবন দান করেছিলেন।ঢাকাইয়া দের জাগিয়ে তুলেছিলেন জনতার মঞ্চের মাধ্যমে । আওয়ামীলীগ সেই ফল ভোগ করছেন। ক্ষমতার টালমাটালে, ঢাকাকে নিয়ে অনেক রাজনীতি হয়েছে। অজপাড়াগাও থেকে ঢাকার রাজনৈতিক নেতা আমদানি করতে হলে, রাজনৈতিক সফলতা কোথায় ? ঢাকার কোনো মন্ত্রী, মেয়র, জেলাপ্রশাসক নাই। ঢাকা মহানগর আওয়ামীলীগের দায়ীত্বে আংশিক । চাকরি,সুপারিশ, সহায়তার কেউ নাই। ঢাকার রাজনীতিতে হতাশার বাতাস বইছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে ঢাকাকে রাজনৈতিক পুর্ণগঠনে মনোনিবেশ করতে হবে। মেয়র, মহানগর সমন্বয় করতে হবে। ঢাকার রাজনীতিকে ঢাকাইয়া দের কাছে ফিরাইয়া দিতে হবে। ঢাকায় ভোটার নন, এমন অনেক নেতা মহানগর আওয়ামীলীগের তালিকায় আছে। নির্বাচনের সময় ঢাকা ছেড়ে মাটির ঠিকানায়। সব রাজনৈতিক দলের বহিরাগত নেতার বিবেচনায় মজিব আদর্শেকে যুক্ত করা যাবে না। আওয়ামীলীগ বাংলার মানুষের অধিকার রক্ষার রাজনীতি করে। আমার মাটির অধিকার আঞ্চলিকতা মাধ্যমে দখলে রাখলে, মাটি ও মানুষের নেতার শ্লোগান ত্যাগ করতে হবে।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।