মাংসের মুল্য নির্ধারনের সভা হয় না তিন বছর, দাম নিয়ন্ত্রণ হীন হলে আমদানি কারক নিয়ন্ত্রিত থাকবে
রিপোর্টারের নাম
আপডেট সময় :
Saturday, March 19, 2022
175 Time View
রবিউল আলমঃ
মাংসের দাম নিয়ন্ত্রণ হীন?নাকি নিত্যপণ্যের বাজারটাই নিয়ন্ত্রণ হীন ? মাননীয় বানিজ্য মন্ত্রীর সহজসরল স্বীকারোক্তি সিন্ডিকেট এর জন্য নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছেনা। বাজার নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব কোন মন্ত্রীর ? ৪৫ বছর মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব থাকার পরেও জানা হলো না। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের একটি চিঠি আমাকে নতুন করে ভাবিয়ে তুলেছে। বানিজ্য, প্রানি, পরিবেশ ও খাদ্য অধিদপ্তর এবং মাংস ব্যবসায়ী সমিতিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে, রমজানের মাংসের মুল্য নির্ধারনে। কে সভা ডাকবে, তার কোনো অপশন নাই। ৪৫ বছর পৌরসভা, মিউনিসিপ্যাল থেকে সিটি করপোরেশন মাংসের মুল্য নির্ধারন ও বাস্তবায়ন করেছে। মাংস ব্যবসায়ীদের জন্য সুযোগ সুবিধার মাধ্যমে। গরুর হাটের খাজনা, সমিতির জন্য অফিস, মাংস বিহিন দিবশ পত্যাহারের মাধ্যমে। সিটি করপোরেশন দুই ভাগ হয়েছিলো নাগরিক সেবা তরান্বিত করার জন্য। নাগরিক সেবার কতটুকু পুরণ হয়েছে ? আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়। তবে মাংস ব্যবসায়ীরা নিয়ন্ত্রণ হীন হয়েছে হলফ করে বলতে পারি। সমস্যা নিয়ে কথা বলা যাচ্ছে না, নিজেদেরকে সংগঠিত করা যাচ্ছে না। ভারতীয় মাংস ও পশু আমদানির প্রতিবাদ হচ্ছে না। ইস্পাহানীর চায়ের মতো বিনামুল্যে খাইয়ে এখন ভারতীয়রা মাংসে বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। মুল্য নির্ধারন সভা কি আমদানি কারকদের জন্য উন্মুক্ত করে রাখা হয়েছে ? প্রতি বছর ৫০ থেকে ৬০ হাজার কোটি টাকা পাচার হওয়ার জন্য ? পিয়াজ নিয়ে অনেক তামাশা দেখেছি। বাংলার কৃষক তার জবাব দিয়েছে। ৩৫ লক্ষ মেট্রিক টন চাহিদার বিপরিতে ৩১ লক্ষ মেট্রিকটন উৎপাদনের মাধ্যমে। সেই ব্যবস্থা ভারতীয়রা নিজেরাই করে দিয়েছে, সরকার একটু সহায়তা করেছে। পশু লালন-পালনের বিশ্বের সবচেয়ে ভালো আবহাওয়া ও মিষ্টি পানির দেশ হওয়ার পরেও বাংলাদেশ কাজে লাগাতে পারছে না অথবা কাজে লাগাচ্ছে না, জানিনা কাদের স্বার্থে। একটি চর সরকারী উদ্যোগে গরু-মহিষের বিছন উৎপাদন, পনের থেকে বিশটি চরকে পশুপালনে উৎসাহিত করা এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটি বাড়ী একটি খামারকে পশুপালনের আওতায় আনতে পারলে বাংলাদেশ নিজের চাহিদা পুরণ করেও বিশ্বকে মাংস রপ্তানি করবে। ছোট্ট একটা পদ্মানদীর ইলিশ মাছ বিশ্ব খাচ্ছে প্রধান মন্ত্রীর পরিকল্পনা থেকে। লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয় করে আমদানির উপর রপ্তানির হিসেব করছি গারমেন্স নিয়ে। সম্পুর্ণ কৃষি নির্ভর পশুপালন আমাদের নজরে আসছে না। একেতো মন্ত্রনালয়ের অভাব নাই, তার উপর ভোক্তা অধিকার নামে আরেক যন্ত্রণা দিয়ে রাখা হয়েছে। ৪৫ বছর মাংস ব্যবসায়ী সমিতিতে থাকা অবস্থায় যান্তে পারলাম না, তারা কোনো ভোক্তার অধিকার রক্ষা করে এবং কীভাবে ? প্রানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী ছাড়া দায়িত্ব পালনে কারো প্রান আছে বলে যান্তে পারিনি। জানানো হয়নি একটি সভায় আমন্ত্রনের মাধ্যমে। উত্তর সিটি করপোরেশন তো নড়েওনা চড়েওনা, গাবতলি গরুর হাটের ইজারাদারের স্বার্থ রক্ষায় নিয়জিত। মাননীয় মেয়র আতিকুল ইসলামকে ঘুমপাড়িয়ে রাখা হয়েছে, মাংসের মুল্য নির্ধারনি সভা থেকে। বিস্তারিত কোনো সভায় আমন্ত্রণ পেলে। মহাসচিব বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি