March 28, 2024, 5:11 pm
শিরোনামঃ
রাজধানী মোহাম্মদপুরে এতিম শিশুদের ইফতার করালেন আলহাজ্ব মোঃ সাদেক খান নিষেধাজ্ঞার মধ্যে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির প্রস্তাব অনুমোদিত চাঁদর পুড়িয়ে পণ্য বর্জন হয় না,ভারতীয় পণ্যে অর্জিত রক্ত বর্জন করুণ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের শ্রদ্ধা পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে লিটন মাস্টার এর ঈদ উপহার বিতরণ পপুলার লাইফ পর্ষদের বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখছে বিএসইসি টাউন হল (কাঁচা বাজার) বণিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আঃ সাত্তার সওদাগর রোজাদারদের ইফতার করালেন সঠিক ইতিহাস রচনার বিকল্প নাই : জেবেল – মোস্তফা ভোক্তার অধিকার রক্ষা, ডাল চাল,আলু পেয়াজ মাংসে সীমাবদ্ধ নয় শেখ হাসিনার বিকল্প নাই বলে আওয়ামীগারদের এতো কষ্ট

মসজিদ নির্মাণে অন্তর পরিবর্তন মোঃআবু তালহা তারীফ

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট সময় : Sunday, November 13, 2022
  • 238 Time View
মসজিদ তৈরি ও উন্নয়ন ভালো কাজ। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন ও তাকওয়ার ভিত্তিতে মসজিদ নির্মাণের কথা কোরআনে বলা হয়েছে। আজ আমরা মসজিদ নির্মাণ করছি কিন্তু অভাব রয়েছে তাকওয়ার। মসজিদের মাইকে মুয়াজ্জিনের সুরেলা আজান হয় । টয়লেট ও ওযু করার স্থানে দামীয় টাইলস হয় । মাথার উপরে ঘুরে ফ্যান। মসজিদে ঢুকলেই চোখ জুরিয়ে যায় হরেক রকমের লাইটের আলোয়। চোখে পরে আলোকসজ্জা। দেয়ালে বিভিন্ন করুকাজে সজ্জিত করা। সেখানে খোদাই করা হয় কোরআনের আয়াতের কিছু অংশ। পায়ের নিচে দামীয় মার্বেল পাথর। নরম কার্পেট বিছানো। যা চোখ রঙিয়ে যায়। ভিতরে প্রবেশে দেহ শীতল হয়ে যাবে অতিরিক্ত এসির বাতাসে। আমাদের কাজই হলো মসজিদকে সর্বোচ্চ ব্যয়বহুল, চাকচিক্য, এয়ার কন্ডিশন করে পাশের মসজিদ থেকে সুন্দর করা। মসজিদ চাকচিক্যময় ও সাজানোর ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা। মসজিদের মিনারের উচ্চতা, মেহরাব সৌন্দর্য বৃদ্ধিসহ বিভন্ন কারুকাজ নিয়ে চলে পাশ্ববর্তী মসজিদের মুসুল্লীদের সাথে বড়াই করা। এলাকার সবচেয়ে সুন্দর হয়েছে আমাদের মসজিদ। মিনারেও প্রচুর টাকা খরচ করা হয়েছে৷ প্রতিনিয়ত মসজিদকে কেন্দ্র করে প্রতিহিংসা। একই এলাকায় কয়েকটি মসজিদ। যা হিংসা নিয়ে তৈরি করে। এটি খুবই দুঃখজনক। আজ কোরআন ও সুন্নাহ সম্পর্কে জ্ঞান বিহীনরাই কমিটিতে। পরহেজগার ব্যক্তিদের বাদ দিয়ে টাকার জন্য মসজিদ কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখা হচ্ছে এলাকার মাতবরদের।সুদের টাকা দিয়ে হজ করে এসে হচ্ছেন কমিটির সভাপতি। ছেলে প্রবাসী, প্রচুর টাকার মালিক। মসজিদ উন্নয়নের জন্য তাকেই করা হচ্ছে প্রধান। আজ কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে সুদখোর,ঘুষখোর বেনামাজি৷ এরা শুক্রবার একদিন মসজিদে এসে মসজিদ উন্নয়নের কথা বলে। কিন্তু মুসুল্লি উন্নয়নের কথা বলেনা। মতের অমিল হলেই পদবী নিয়ে ঝগড়া-বিবাদ। বিভিন্ন জায়গায় মসজিদ কমিটি নিয়ে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। সভাপতি হতে না পারায় হিংসা নিয়ে তৈরি করে মসজিদ। নিজের জমানো কালো টাকা সাদা করা সুযোগ আছে। মসজিদ তৈরির মাধ্যমে। তখন পূর্বের সকল অন্যায় -অপরাধ মসজিদের নিচে মাটিচাপা পরে। মসজিদ তৈরির নামে চলে এক রমরমা ব্যবসা। তাকওয়াবান ইমাম খতিব পর্যন্ত নিয়োগ হয় না। সুরেলা কন্ঠধারী ইমাম খতিব নিয়োগ করে চলে মসজিদ উন্ময়নের জন্য একরকমের চাঁদা তোলা। বাধ্য করে টাকা নেওয়া হয়। এভাবেই অন্য মসজিদের সাথে হিংসা করে অবৈধ টাকা, খাস ও ভেজাল জমি, খালের উপর, নদীর তীরে তৈরি হচ্ছে। হিংসা বিদ্বেষের ভূষিত হয়ে সুনাম পাওয়া মূল উদ্দেশ্য। ব্যক্তির নামেই মসজিদ নির্মাণ হয়। অসৎ চিন্তা হাসিল করার জন্য মুনাফেকি করে মসজিদ নির্মাণ অন্যায়। মসজিদ নির্মাণ করার অনুমতি দিয়ে নবীজি সেই মসজিদকে পুরিয়ে ফেলার নির্দেশনা দিয়েছিলেন। যা আমরা সুরা তওবার ১০৭ নম্বর আয়াতের তাফসিরে জানতে পাই। এই মসজিদটি ধ্বংস করে দাও, জ্বালিয়ে দাও এবং সেটাকে আস্তাকুড় বা আবর্জনা ফেলার স্থানে পরিণত কর? যা দ্রুত কার্যকর করা হয়েছিল। এই মসজিদ ইবাদতের জন্য নির্মিত হয়নি। অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য নির্মাণ করা হয়েছিল। আল্লাহ এ জন্যই কথিত ওই মসজিদকে ‘মাসজিদান জিরারান’ বা ক্ষতির মসজিদ বলে উল্লেখ করেছেন। মসজিদ নিয়ে গর্ব করাটা কিয়ামতে লক্ষন। সহিহ বুখারীর কিতাবুস সালাত অধ্যায়ে উল্লেখিত আছে, হজরত আনাস (রাঃ) হতে বর্ণনা, লোকেরা মসজিদ নিয়ে গর্ব করবে, কিন্তু ইবাদতের মাধ্যমে তা আবাদ করবে না মুমিন’। মসজিদ আবাদ করতে হবে আল্লাহর ইবাদত ও আনুগত্যের মাধ্যমে। জাকজমক নির্মাণ ও চাকচিক্যময় করার মাধ্যমে নয়। সাহাবী হজরত উমার (রাঃ) মসজিদকে জাঁকজমক করতে নিষেধ করেছেন। যা ফাতহুল বারীর ১ম খন্ডে উল্লেখ রয়েছে। প্রয়োজনের অতিরিক্ত কিছু করাই অপচয়। ধর্মীয় কাজে অপচয় করা মোটেই ঠিক নয়। মসজিদ হাজারো লক্ষ টাকা দিয়ে সাজানো হয়। জুম্মারদিন মুসুল্লীদের সামনে হাজারো টাকা মসজিদে দিয়ে আল্লাহকে খুশি করা হয়। অথচ গরীব অসহায় আল্লাহর বান্দকে দেওয়া হয় না একটি টাকা। মসজিদের পাশে অসহায় পরিবারের খোজ নেওয়া হয় না। নিজ এলাকায় অসুস্থ ব্যক্তির খবর রাখিনা। গরীব অসহায় ঔষধ কিনতে পারে না। আমরা কখনো কি ঔষধ কিনে দিয়েছি? টাকার অভাবে মেয়েকে বিবাহ দিতে পারেনা কিন্তু একদিন কোন খবর রাখিনি। নিজ এলাকায় টাকার অভাবে মেধাবীরা লেখাপড়া করতে পারেনা। কখনো তাদের শিক্ষা সামগ্রী কিংবা টিফিন খেতে একটুও সাহায্য করিনি। কি অদ্ভুত আমরা। আমাদের মনমানিষকতা কতটুকু নিচে। মসজিদ উন্নয়ন ও জামকালো সাজানোতে ব্যস্ত। মসজিদে সাজানোর চেয়ে বেশী প্রয়োজন নিজের মনকে সাজানো। অপরিষ্কার মনমানসিকতা নিয়ে হাজারো সিজদায় আল্লাহ পাওয়া যাবে না। ইসলাম বিষয়ক গবেষক
Seen by সাইফুল ইসলাম সালেহী at Sunday 12:22am
Enter
Write to সাইফুল ইসলাম সালেহী
শেয়ার করুন
More News Of This Category

Dairy and pen distribution

ডিজাইনঃ নাগরিক আইটি ডটকম
themesba-lates1749691102