মশক নিধনে ৮৪ কোটি টাকা,,মশকের জন্ম নিয়ন্ত্রণের বাজেট কত ?
রিপোর্টারের নাম
আপডেট সময় :
Thursday, July 27, 2023
119 Time View
গাছের গোড়ায় পানি নাই, আগায় ঠেলে কি হবে ? মশকের জন্ম নিয়ন্ত্রণের বাজেট নাই, নিধনের বাজেট ১২২ কোটি টাকা। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৩-২৪ বাজেট ছিলো, খরচ হয়েছে ৮৪ কোটি। কোথায় আন্ডা, কোথায় ডিম ? কোথায় ডেঙ্গুর লালা ? রোগী এখন জানতে চায় না। বিশেষজ্ঞরা বাটি নিয়ে ঘুরছে। রোগী চায় বাঁচতে, হাসপাতালে একটা সীট। ছোট ভাই সিটি করপোরেশনে চাকরী করে, মেয়েটার ডেঙ্গু, হাসপাতালে একটি সীটের জন্য কতো না আকুতি। মনটা খারাপ। কত লেখা যায় , কত বার মেয়রদের কে বলা যায় ? মশায় সিটি করপোরেশন চিনে না। ফকার মেশিনে মশা মারছে না। মশার জন্মস্থান চিহ্নিত করতে হবে, জন্মকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্যে। গরু জবাই এর গোবর রক্ত, মুরগীর নাড়ী ভুঁড়িতে প্রতিটি বাজার, অলিগলি একাকার।বাংলাদেশের অবস্থা বুঁজে নিতে হবে, খোদ ঢাকার শহরে পশু জবাই খানা নাই। উত্তরে তিনটি স্ল্যাব, দক্ষিণে দুইটি জবাইখানা নির্মিত হয়েছে, চালু করতে পারছে না, পরিকল্পনার অভাবে, ভেটেনারী সার্ভিস না থাকার কারণে। আইনের কোনো প্রয়োগ নাই।
যথাতথা পশু জবাই হচ্ছে।সুয়ারেজ লাইনে গোবর, রক্তের অবাধ বিচরণ, পরিছন্নতার দায়ীত্বে কে ? ওয়াসা ও সিটি করপোরেশনের দ্বন্দ থেকে মুক্তির লক্ষ্যে ইতিমধ্যে খাল স্থানান্তর হয়েছে। কতটুকু সফলতা দেখিয়েছে, সিটি করপোরেশন, সবারই জানা। ৮৪ কোটি টাকার মশা মারার ঔষধ, বাস্তবে ব্যবহার হয়েছে ? তা নিয়ে জনমনে প্রশ্নের অভাব নাই। ফকার মেশিনের আওয়াজ বিকট হলেও মশা মরছে না। রাজার গরুর দুধের গল্পের মতো, পানি মুক্ত রাখার জন্য একে একে চারজন পাহাড়াদার নিয়োগ করা হয়েছিল, সবাই নাকি একটু একটু করে পানি দিয়ে নিজেরাই দুধ ভাগ করে নিতো। সিটি করপোরেশনের দশা কি সেই পথে ? হেড অফিস থেকে কাউন্সিলর ফকারম্যান একটু একটু করে মশার ঔষধে ভাগ বসায় নাতো ? কয়েল কোম্পানির সাথে গোপন আঁতাত নাইতো ? তা না হলে, ৮৪ কোটি টাকা মশা নিধনের জন্য ব্যয় করে হাস্যজ্জ্বল অহংকার সাথে বলতে পারেন।
মশার কামরে ডেঙ্গু বিস্তরের ইতিহাস রচনার পরেও, অথচ মশার জন্মস্থান নিশ্চিহ্ন করার জন্য কোনো বাজেট নাই। মশা জন্ম না হলে, মশার কয়েল বিক্রি হবে না, মশার ঔষধ আমদানি করা যাবে না, কাউন্সিলর, স্বাস্থ্য বিভাগ, ফকারম্যানদের চলতে হয়। মানুষ না মরলে কী আর রাজনীতি হয় ? বিএনপি জামাতের হত্যার রাজনীতির সাথে, ডেঙ্গুর তুলনা করা হচ্ছে,টল করা হচ্ছে। আর কত মানুষ মরলে, মেয়র মহোদয়রা হুঁশে আসবেন ? মশার ঔষধ চুরি বন্দ করবেন ? শহরকে অপরিছন্নতা থেকে মুক্ত রাখবেন ? জবাইখানা , মুরগীর আবজনা, চামড়ার কাটছাট, মজাপুকুর, সুয়ারেজ লাইন ও বৃষ্টির বদ্ধ পানি মুক্ত খারবেন ? মশা নিধন বাজেটের ৫% জবাইখানা ও পরিস্কার রাখার জন্য ব্যায় করা হলে, অর্ধেক মশার জন্ম নিয়ন্ত্রণ হবে। জনগনকে জরিমানা না করে, জন সম্পৃক্ততা সৃষ্টি করতে হবে, কাউন্সিলর, পরিছন্ন কর্মি, কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব ও যুবসমাজ কে কাজে লাগাতে হবে, নগর পরিছন্নতার জন্য। মহাদুর্যোগে জাতি কাজে লাগাতে না পারলে নেতৃত্বে থাকার অধিকার থাকে না। ওয়ার্ডগুলো চিহ্নিত করে,স্বেচ্ছায় শ্রম দেওয়ার ক্লাব, যুব সমাজ স্কুল কলেজে সহায়তা নিয়ে বিশেষ প্রোগ্রাম সাজানো যায়, এলাকা পরিস্কার পরিছন্ন রাখার জন্য। কর্পোরেশন এই সহজ পথে নাই। মিডিয়া টায়ালের জন্য জনগণকে জরিমানা করে বিশৃঙ্খলা পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে। ডেঙ্গুর ভয়াবহতা থেকে জনগনের সহায়তা ছাড়া মেয়র সাহেবরা মুক্ত হতে পারবেন না।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব, রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের চলতি দায়িত্ব প্রাপ্ত সভাপতি ও খাস খবর বাংলাদেশ পত্রিকার সম্মানিত উপদেষ্টা মন্ডলী জনাব রবিউল আলম।