জনাব রবিউল আলমঃ একি অঙ্গে কতরূপ, একি মানুষের কত পদবী ক্ষমতাশালী না হলে বুজার উপায় নাই। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ প্রতি মুহুর্তে দেখতে হচ্ছে, শোনতে হচ্ছে ত্যাগের ইতিহাস। ইতিহাসে নতুন করে যুক্ত হয়েছে কাউন্সিলের দল। দলের প্রয়োজনে, নির্বাচনের স্বার্থে কিছু অখাদ্য কুখাদ্য যুক্ত হয়েছে বিএনপি-জামাত থেকে, সারাদেশের কথা বলতে না পারেও আমাদের নির্বাচনি এলাকায় খন্দকার মাহবুবউদ্দিনের নির্বাচনি এজেন্টও কাউন্সিলর হয়েছে আওয়ামীলীগের মনোনয়নে,যে পরিবারে এখনো কোনো মজিব সৈনিকের জন্ম হয় নাই। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সিদ্ধান্ত কাউন্সিলর চেয়ারম্যানরা দলের সভাপতি,সম্পাদক পদ পাবেন না। একি ব্যাক্তি, একি পরিবারের অধিনে সকল ক্ষমতার উৎস হতে পারে না দলের সাংগঠনিক বিস্তারের স্বার্থে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই বিচক্ষণতায় আওয়ামীলীগ সুসংগঠিত। চোরে শোনে না ধর্মের কাহিনী, ইতিমধ্যে ঢাকা মহানগরের কাউন্সিলকে সামনে রেখে দৌড়ঝাপ শুরু হয়েছে। দাবী একটাই, কাউন্সিলর আছি থাকবো, সভাপতি-সম্পাদক হয়ে পকেটে দল ভরবো। এই এলাকা আমার, আমি ছাড়া মাদক দখল চাঁদাবাজির অধিকার কারো নাই। একবার দলের পদ পাইলে আর কারো দরকার নাই। নেতাদের দুয়ারে দুয়ারে কাউন্সিলর বাহিনী দৌরাত্ম চোখে পরার মতো। নীতির পরিবর্তন করতে হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধির কাছে সকল ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। কোনো সভাপতি-সম্পাদকের প্রয়োজন নাই, কাউন্সিলর’রা বললেই বাজারের দোকানদার, ফুটপাতের হকার, রাস্তার ঝাড়ুদার দিয়েই জনসমাগম ঘটানো যায়, কিছু নেতার পকেটও ভরে দেওয়া যায়। আমাদের চেয়ে যোগ্য আর কারা আছে ? আমরা কিন্তু মহানগর আওয়ামীলীগ থেকে কোনো টাকা পয়সা চাইনা লোকসমাগমে জন্য, সিটি করপোরেশন আছে আমাদের পকেটে। কাউন্সিলর, সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এই তিনটি পদ আমার পরিবারকে দিলে আওয়ামীলীগকে হাজার বছর ক্ষমতায় থাকার গ্যারান্টি দেওয়া হবে, নেতাদেরকে এরকম-ই বুঝানো হচ্ছে।মন তুই বুজলি নারে, শেখের বেটী বুজাইয়া দিবো এইবার তোগরে।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।