মনে মানেনা, সবাই জানেনা আমার দেখা মুজিব, কখন বাঙালি জাতির পিতার আসনে,দুই বাংলার প্রদীব
Reporter Name
Update Time :
Thursday, March 18, 2021
166 Time View
জনাব রবিউল আলমঃ মনে মানেনা, সবাই জানেনা আমার দেখা মুজিব। কখন বাঙালি জাতির পিতার আসনে,দুই বাংলার প্রদীব। একটি ছোট্ট মনের মাঝে অমুছনিয় ছবি একেছিলো মুজিব, শত জনমে মুছতে পারিনি ৩২ নম্বর কিন্তু সেখানেই আছে। ৭০ নির্বাচনে নৌকার মিছিলে আমি হয়ে ছিলাম মাঝি।
রায়ের বাজার থেকে তৎকালিন সুলতানগঞ্জ ইউনিয়ন আঃলীগের সভাপতি নাসিরউল্লাহ নেতৃত্বে বিশাল এক নৌকা ঠেলাগাড়ীর উপর উঠানো হলো। ছোট একটি বাচ্চা দরকার, হাতের কাছে আমাকে পেয়ে তুলো দিয়ে দাড়ীমুছ বানানো হলো, হাতে হুক্কা, মাথা ধারীটুপি অন্যহাতে বৈঠা। ঢোলের বাজনা, ব্যানপাটির জয় বাংলার সুর। নৌকার শ্লোগান, কয়েক হাজার মানুষ। রায়ের বাজার হাইস্কুল হয়ে ট্যানারীমোর, জিগাতলা, সায়েন্স ল্যারেটারী হয়ে কলাবাগান, শুক্রাবাদ, ৩২ নম্বর রোড।বর্তমান জনকে প্রতিকৃতির অপর পাশে আমরা নৌকার ঠেলা গাড়ীটা রাখা হলো। মিছিল ৮ নং রোডের ব্রিজ হয়ে আবহনী ক্লাব মাঠে দিকে চলে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু আমার দিয়ে চেয়ে আছে, মুচকি মুচকি হাসির ছলে হাতে পাইব নিয়ে মাঝে মাঝে মুখে দিয়ে টানছে। বাজনার তালে তালে আমার শরিলে এক অজানা উত্তেজনায় নিজের অজান্তেই দুলছে। মজিব বাইয়া যাওর’ আমার ভাঙা নাওরে মুজিব বাইয়া যাওরে গানের সাথে গগনবিদারী শ্লোগান। মিছিল শেষ হতেই পাশে দ্বারানো নাসিরুল্লাহ সাহেব ও রমিজ চাচাকে ইশারায় আমাকে নিয়ে বাড়ীর ভিতরে আসতে বল্লো।তখনো আমার শরিল দোলা বন্দ হয় নাই। ভিতরে প্রবেশ করতেই অনেক নেতাকে দেখতে পেলাম, বেগম মুজিবের আগমন হতেই ভারি কণ্ঠে হাসুর মা, ছেলেটাকে একগ্লাস দুধ দিয়। কিছু সময় পর দুধ আসতে, দুধ না খাওয়ার বায়নায় পেয়ে বসলো আমাকে। আমি কিছুতেই দুধ খাবো না। অনেক নেতার হাঁকডাক, ওজুর আবদার বিফল হওয়ার পরে মজিব নিজেই গর্জে উঠলেন। আরে, অরে ধইরা দাড়ীমুছটা খুইলাদে, নিজেই খাইবনে। কথা বলতে দেরি, খুলতে দেরি হয় নাই। আমি চিক্কার দিয়ে উঠতেই বলা হলো দুধ খাইলে দাড়ীমুছ লাগানো হবে। আমি একটানে দুধ খাওয়ার পরেই দাড়ীমুছ লাগানো হলো। বঙ্গবন্ধু হাসতে হাসতে সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলছে, আরে তোরা নেতা হবি কেমনে ? মানুষের মনের কথা বুজতে না পারলে। হাসিতে ঘর ভরে গেলো, অনেকে লজ্জায়, অনেকে নেতায় হাসে বলে। মানুষের মনের কথা বুজার মত নেতা একজনই ছিলো, দেশের কথাও বুঝেছিলেন বলেই পরাধীনতার শিকল ভেঙে মুক্ত স্বাধীন একটি মানচিত্র উপহার দিতে পেরেছিলেন বাঙালি জাতিকে। একটি ভাষা বাংলাকে বিশ্বের মাতৃভাষার স্বীকৃতি আদায় করেছে জাতিসংঘে। তার জন্মশতবার্ষিকীতে আমরা কি মানুষের মনের কথা বুঝতে পেরেছি ? নাকি শেখ হাসিনার মনের কথা বুঝার চেষ্টা করছি ? মজিব জন্মশতবার্ষিকী তখনই সফল হবে, যখন আমরা আওয়ামীগাররা গৃহহীন প্রকল্প, মানব উন্নয়ন, অসহায় মানুষের মাঝে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মত নিজেদেরকে বিলিয়ে দিতে পারবো। মনে মানে না, সবাই জানেনা আমার দেখা মজিবকে। বিশ্ব মানবতার জন্য মজিব আদর্শের বিস্তার ঘটাতে হবে। গরিবের হক আত্নশাদ কারীদের জন্য মজিব জন্মশতবার্ষিকী নয়।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামলী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।