মতের মৃত্যু হয় না, ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরী বার বার প্রমান করছেন
রিপোর্টারের নাম
আপডেট সময় :
Saturday, September 11, 2021
251 Time View
মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে, বিপক্ষের শ্লোগান স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও মীমাংসিত নয়। হাজার বছর পরেও মীমাংসিত হবে কি-না, আমার জানা নাই। বাংলার মুক্তির সংগ্রাম ও জনমত গঠনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু মজিবের অবদান নিয়ে কারো প্রশ্ন নাই। রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকলেও বাম,ডান, মধ্য পন্থিরাও মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেছেন। জেলখানা থেকে পালানো অনেক মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত দাগী আসামীরাও যুদ্ধে অংশ নিয়েছে। কুক্ষাত পাকিস্তান সামরিক সরকারের মৃত্যদণ্ড বাঙালির কাছে বীরের মর্যাদা পেয়েছিলো। স্বাধীনতা উত্তর শত চেষ্টার পরে বঙ্গবন্ধুর জাতীয় ঐক্য মঞ্চ বাকশাল রাজনৈতিক প্লাটফর্ম গঠিত হল বিশ্ব রাজনীতির হতাশা পরিলক্ষিত হয়। মানব সেবার নামে যারা সমাজতন্ত্রের শ্লোগান দিয়েছেন, তাদের মাঝে থাকা পুঁজিপতিদের মূখোশ উম্মুচনে সময় লাগে নাই। বাকশালের তালিকা পুরন করতেও সময় লাগে নাই। জিয়া সহ বাম নেতাদের বাকশালে যোগদানে হিরিক ছিলো। জাফরুল্লাহ চৌধুরী, মঈনুল হোসেন সহ পুঁজি হারানোর ভয়ে,সমবন্টনে অংশগ্রহণ করেন নাই। আঃলীগার ও রাজাকার হতে পারেন নাই। বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসাও ভুলতে পারেন না। ডক্টর কামাল, জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক বলতে পারেন নাই। আওয়ামীলীগের সভাপতি মন্ডলির সদস্য হওয়ার পরেও আঃলীগার হতে পারেন না। প্রধান মন্ত্রীকে বলতে হয় আঃলীগার হতে। জাফরুল্লাহ চৌধুরীরা পুঁজিপতি হওয়ার পরেও সমাজ সেবা,মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ বিচুক্ত হতে পারছেন না। প্রিয় লেখক আব্দুল গাফফার চৌধুরী দুঃখ করে বলেছিলেন। ডক্টর কামাল হোসেন বাঙালি জাতীয়তাবাদ, ডাক্তার বদ্ধুর্দোজা চৌধুরী বাংলাদেশী। এর চেয়ে বিস্ময়ের রাজনীতি আমার কাছে আর হতে পারে না। বাংলার বানীর কলাম ধীরে বহে বুড়িগঙ্গা এখন বই আকারে। ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনে জন্মস্থান,মানিক মিয়ার সাংবাদিক জগতের আগমন সহ নেতাদের কৃতিত্ব ও চরিত্র সম্পর্কে অনেক বিশ্লেষণ আছে। আছে মজিবের বিশ্বভ্রোমনের অনেক অজানা কাহিনী। অনেকেই আদর্শচুক্ত হওয়ার রং ডং করেছেন, অর্থের কাছে নীতি আদর্শ বিষর্জন দিতেও চেয়েছেন। লক্ষ্য পুরণ হলেও বেশীদিন টিকে থাকতে পারেন নাই। অনেকেই রাজনৈতিক আস্থাকুরের বাসিন্দা হয়েছে, রাজনৈতিক আত্নহত্যা করেছেন। জাফরুল্লাহ চৌধুরী কীভাবে চাকর বাকরের রাজনীতির সাথে আগামীদিন আপোষ করবেন, না-কি তারেক রহমানকে সালাম করেই রাজনৈতিক মতবাদ চালিয়ে যাবেন। দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।