মজিব একটি জাতির রূপকার,শত বায়োপিক পিতার অসমাপ্ত আত্মজীবনীর সমকক্ষ হবে না
রিপোর্টারের নাম
আপডেট সময় :
Sunday, October 29, 2023
158 Time View
তবু একটি দিয়ে শুরুটা করার জন্য ধন্যবাদ। বঙ্গবন্ধুর আত্নজীবনীতে, আমি বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের অনেক অর্জন, ব্যাক্তিত্ব নেতৃত্ব ও ত্যাগের বিষয়গুলো খুঁজে পাচ্ছি না।পিতা তার নিজের কথাগুলো নিজের হাতে লেখেন নাই,কারো সম্মান রক্ষার জন্য, কারো উপকারের প্রতিদান নিতে না হয় বলে। আমার দেখা মজিব,আমার দেখা বেগম মুজিবের দুইটি ঘটনা জাতির জন্য, আত্মজীবনীতে ও বায়োপিকে আবিস্কার করতে পারিনি বলে। ৩২ নম্বরের ফেরিওলারা খাবার পানি সংগ্রহ করতেন প্রধান মন্ত্রীর বাড়ীর ভিতরে থাকা পানির কল থেকে, পানি নিতে গিয়ে একজন ফেরিওয়ালা, শেখ মজিব ও বেগম মজিবের গাড়ীর সামনে পরে যান। সিকিউরিটির এক ধাক্কায় চিৎপটাং। বেগম মজিব সাথে সাথে গাড়ী থেকে নেমে আঘাতপ্রাপ্তের সহায়তায় এগিয়ে গেলে, পিতা মজিব সহায়তার হাত বারিয়ে দিলেন, উপস্থিত জনতা হতভাগ, আঘাতকারী বিস্ময় নয়নে অপরাধ অনুভবে, মাথা নিচু করে দারিয়ে ছিলেন। দায়ীত্ব পালনের সাবধানতার বানীর চেয়ে অতিরিক্ত বাক্য বিনিময় করেন নাই পিতা।
(২)খালেদা জিয়ার আগমন হতো নিরবে। সকাল ১০/১১ টায় দুপুরে রান্নার তরিতকারী কাটার সময়টা বেছে নিতেন, বেগম মজিব কে একান্তে কাছে পাওয়ার জন্য। পিঁড়ি অথবা জ্বল চকীতে বসে, দুঃখের কথা, দুঃসময়ের কথাগুলো বলার জন্য। সবকথা লেখা যাবে না এবং উচিৎ হবে না। ব্যাক্তিগত জীবন রাজনীতির বাহিরে রাখার জন্য পিতা মজিব ও তার সুযোগ্য কণ্যা আমাদের শিক্ষাগুরু। তবে ছোট্ট করে বলতেই হচ্ছে। জিয়া, ম্যাডাম খালেদাকে গ্রহন করেন নাই। বেগম ফজিলাতুন্নেছা মজিব না হলে ম্যাডাম খালেদা,আজকে জিয়ার উপাধি ভোগ করতে পারতেন না। আমার মতো হাজারো ছোট ছোট ঘটনার প্রত্যক্ষদশী আছেন, যারা এখনো জীবিত।তাঁদের বলার সুযোগ নাই। মনের কথা প্রকাশের মাধ্যম নাই। লেখা ও পড়ার জন্য বর্তমান আওয়ামীলীগের নেতাদের সময় নাই। নেতৃত্বে থাকারা মারকাট রাজনীতিতে অবস্তু হয়ে পড়ছে, সঠিক নির্দেশনার অভাবে। একজনের ৪৫/৫০ মিনিট বক্তব্য শুনতে হবে কর্মীদের,যেই বক্তব্যে কোন অর্থবহ নাই। আরেকজন মাইক পাইলে ছাড়বেন না। প্রধান ও বিশেষ অতিথি বেচারার মতো ফেলফেল করে চেয়ে থাকা ছাড়া বিকল্প নাই।
সহসভাপতি, সম্পাদক, সহসম্পাদক এবং সংসদ সদস্যরা ইচ্ছের বলী। পবিন এবং নবিন নেতৃত্বের মাঝে যোগ্য নেতৃবৃন্দকে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে বলতে দেওয়া হয় না। বলার জন্য সময় দেওয়া হয় না। হাজার বায়োপিক বানিয়ে বঙ্গবন্ধু পরিবারের ইতিহাস প্রকাশ করা যাবে না। বঙ্গবন্ধু কে নিয়ে বলার জন্য, বঙ্গবন্ধু মতো বিশাল মনের অধিকারী হতে হবে। কোথায় পাবো ? শেখ হাসিনার ঝিনাই দিয়ে আম কাটা, মরিচ মাখিয়ে উঃ আঃ শব্দে আমের ভর্ত্তা খাওয়া, মাটির চাড়া নিয়ে খেলার দৃশ্য ধারন বায়োপিকে নাই। ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকদের চেহেরা দেখে নৌকায় ভোট দেওয়া হয় না, বাঙালি জাতি পিতার নৌকায়। ভোটের জন্য বঙ্গবন্ধুর মোহন বাঁশীর সুর, শেখ হাসিনার অলৌকিক উন্নয়ন, মানবিকতা, মানবতা ও মমতায় ভরা মুখ খানার জন্য বাংলার মেহনতী মানুষের ভোট নৌকায়। ওয়ার্ড, ইউনিট, ইউনিয়ন থানা, জেলা কমিটির দায়ীত্ব সাংগঠনিক শক্তি অর্জন, বিপদগামী বিরোধী মতকে চিহ্নিত করন। বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক দেখে কান্তে কান্তে চোখ ভিজিয়ে ২০২৪ নির্বাচন পার করা যাবে না। সেনাবাহিনীকে পুলিশের প্রশিক্ষন দেওয়া হলে, দেশ রক্ষা করা যাবে না। দলিয় প্রশিক্ষনের পরিবর্তন চাই। এলাকা ভিত্তিক নৌকার মনোনয়ন চাই। মাটির সাথে সম্পর্কহীন, বঙ্গবন্ধু আদর্শ বিহীন নেতৃত্বের টাকার জন্য তৃণমূলে গ্রহনযোগ্য হবে না। বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক দেখিয়ে তাঁদের মাঝে পরিবর্তন আসবে না, লোভ ও লালশাহীন নেতৃত্ব গড়ে তোলার জন্য বাংলার মেহনতী মানুষের কাছে বায়োপিক পৌচে দিতে হবে। বঙ্গবন্ধুর অর্জনের প্রত্যক্ষদশী এবং ভালো বলতে পারাদের বলতে দিতে হবে। আপদ বিপদ, অপদার্থদের কমিটি থেকে সরিয়ে, যোগ্যদের বলার জন্য স্থান করে দিতে হবে।
গ্রাম শহরে, উঠন বৈঠকের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু এবং শেখ হাসিনার উন্নয়ন সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে হবে। ভোট চাইতে হয় না, অর্জন করতে হয়। সংগঠনের সাংগঠনিক শক্তি ফুল বিনিময়ে হবে না, কুকুরের অনুপাতে মুগুর নিতে হয়। ওয়ার্ড ইউনিয়নের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের পদগুলো সেইভাবে পুরণ করতে হবে। ভদ্রলোকদের জন্য ভদ্র রাজনীতি, অসভ্য দের জন্য মুগুর।বায়োপিক দিয়ে আগুন সন্ত্রাস থামানো যাবে না। মমতাময়ী মা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সম্পর্কে ওরা জানতে, মানতে চাইবে না। ওরা চায় ক্ষমতা, ওরা চায় বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের পুর্ণবাসন। আমেরিকার লুটের অংশিদার হতে। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একটি বিজ্ঞতি না, পশ্চিমাদের গ্রেড়াও কর্মসুুচি নাই, মোল্লা মুন্সি সবই আছে।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব, রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের চলতি দায়িত্ব প্রাপ্ত সভাপতি ও খাস খবর বাংলাদেশ পত্রিকার সম্মানিত উপদেষ্টা মন্ডলী জনাব রবিউল আলম।