December 5, 2024, 10:56 am
শিরোনামঃ
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে মোহাম্মদপুরে বিক্ষোভ সবার জন্য উন্মুক্ত হলো ক্যাশ সার্ভার! বাংলাদেশে শান্তিরক্ষী পাঠাতে ভারতের লোকসভায় প্রস্তাব ভারতকে একচুলও ছাড় নয়, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে হাসনাত আব্দুল্লাহ দেশের চলমান নানা ইস্যুতে জাতীয় ঐক্যের ডাক দেবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস অটোরিকশা ব্যবহার না করে হাঁটার পরামর্শ ডিএমপি কমিশনারঃ শেখ মো. সাজ্জাত আলী বাংলাদেশে চিরতরে আলু-পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন শুভেন্দু অধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে ভাঙচুর, ভারতের দুঃখ প্রকাশ বিএনপির আগামী দিনের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে নেতাকর্মীদের ওপরঃ তারেক রহমান 

ভোক্তার অধিকার রক্ষা, ডাল চাল,আলু পেয়াজ মাংসে সীমাবদ্ধ নয়

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট সময় : Friday, March 22, 2024
  • 100 Time View

নিত্যপণ্যের তালিকায় জ্বালানিকে বাদ রেখে অধিকার পুরণ হবে না।আমাদের জাতীয় ভোক্তা অধিকারের দায়ীত্ব সম্পর্কে আমি পুরপুরি অভিহিত নই।টিভিতে বেজাল বিরোধী ও নকল পণ্য প্রস্তুতকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান দেখতে ভালো লাগে।একটি যোগ্য প্রতিষ্ঠানের নাম ভোক্তা অধিকার।মহাপরিচালক একজন দেশপ্রেমী সৎ মুক্তিযোদ্ধা সফিকুজ্জামান।দেশ ও জাতির স্বার্থকে রক্ষার জন্য নিজে কে উজার করে দিয়েছেন। প্রানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের পক্ষে তা সম্ভব হয় নাই, সঠিক তথ্যের অভাবে। ভোক্তা অধিকার যেভাবে সাধারণ ব্যবসায়ী ও মানুষের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলেছে, দেশ জাতির স্বার্থ বিবেচনা করে।প্রতিটি সরকারী প্রতিষ্ঠান এবং এজেন্সি গুলো যদি তাদের দায়ীত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন হতে পারতো, বুঁজিয়ে দেওয়া হতো নিজ নিজে প্রতিষ্ঠান ও এজেন্সির কী করতে হবে, তবে এতোগুলো অগ্নিকাণ্ড সংগঠিত হতো না।একাধিক হোটেল রেস্টুরেন্টের অগ্নিকাণ্ডের জন্য গ্যাসের বোতল কে চিহ্নিত করা হয়েছে, অনেকাংশে । গ্যাসের বোতলে অনেক কোম্পানীর নাম ঠিকানা নাই, গ্যাসের ওজন নিয়ে গ্রাহকের অনেক প্রশ্ন আছে, তারপরেও বিক্রিতে বাধা নেই।
অগ্নিকাণ্ডের পরে হোটেল মালিক ভবন মালিক কর্মচারীদের আইনের অধিনে আনা হচ্ছে অথচ যেই গ্যাস কোম্পানির বোতল বাস্ট, লিকেজে অগ্নিকাণ্ডের সুত্রপাত, সেই কোম্পানির নামটা পর্যন্ত উচ্চারণ করার সুযোগ নাই মিডিয়ার।বিচারের আওতায় আনা পরের প্রশ্ন। বেজাল বিরোধী অভিযানে ভোক্তা অধিকার কে গ্যাস, গরুর হাট, পেট্রোল পাম্প, মানুষের জীবনে নিত্যপণ্যকে ভোক্তা অধিকারের আওতায় আনা জরুরী। না হয় কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের মতো ২৯ পণ্যের মুল্য নির্ধারন করে দিয়ে সরকারকে বিব্রত করতে পারে। কৃষি বিপননকে নিত্যপণ্যের মুল্য নির্ধারণের দায়ীত্ব কে দিয়েছে ? আমার জানা নাই। ঢাকা সিটি করপোরেশন ২০১৮ থেকে মুক্ত বাজার অর্থনীতির জন্য মুল্য নির্ধারণ অস্বীকার করেছে,বানিজ্য মন্ত্রনালয় দায়ীত্ব নেয় নাই। কোন প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে ২৯ পণ্যের মুল্য নির্ধারণ করলেন ? এবং বাস্তবায়ন করার দায়ীত্ব কোন প্রশাসনের কাঁদে জুলিয়েছেন ? অযোগ্য প্রশাসনে নেতৃত্ব জাতির জন্য ভয়ঙ্কর। এখন একরাতে মাংসের দাম ৬৯৫ টাকা হয়ে গেছে, দায় কে নিবেন ? ভোক্তা অধিকারের ভামম্যান আদালতের ম্যাজিস্টেড আব্দুল জব্বার সাহেবকে প্রশ্ন করেছিলাম ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নিত্যপণ্যের নিয়ন্ত্রণের সভাতে, আপনি ৫ টাকার আলুর দাম বেশীর জন্য ক্যামেরার সামনে জবাবদিহিতায় আনেন একজন ফেরিওয়ালা কে, গরুর হাটের ইজারাদার সিডিউলের স্বর্থ ভঙ্গ করে কোটি কোটি টাকার অবৈধ চাঁদাবাজি করছে, জবাবদিহিতায় আনতে পারছেন না কেনো ? কোনো জবাব তিনি দেন নাই।
আমার বুঝতে অসুবিধা হয় নাই, ভোক্তা অধিকারের ক্ষমতার একটা সীমাবদ্ধ আছে। হোটেল রেস্টুরেন্টের মালিক কর্মচারীদের মতো গ্যাসের বোতলের মালিক কোম্পানীদের কে জবাবদিহিতার জন্য ভোক্তা অধিকারকে হয়তো দায়ীত্ব দেওয়া হয় নাই। সরকার কি ওদের কাছে জিম্মি ? আমার বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার আমেরিকার জন্য ভয়ানক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, একজন ডক্টর ইউনুসকে জবাবদিহিতায় আনার জন্য, বাংলাদেশে বিচারহীনতা দুর করার জন্য। বিচার ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন চলে না।এমপি মন্ত্রী জবাবদিহিতার বাহিরে থাকতে পারে না। প্রতিবন্ধকতার দিনশেষে। গ্যাসের ব্যবসায়ীরা জবাবদিহির বাহিরে থাকতে পারে কীভাবে ? ভোক্তা অধিকারের চেয়ে জবাবদিহিতার কাজটি আর কোনো প্রশাসন ভালো করতে পারবে না। সব দুষ হোটেলের হতে পারে না।দুষিদের জবাবদিহিতার প্রয়োজন আছে, সরকারের নিরপেক্ষতা প্রমানের জন্য। ইচ্ছেমতো আইন যাতে প্রয়োগ করতে না পারে, কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাসুদ করিমের মতো। আইন প্রয়োগের জন্য আইন প্রয়োগকারী সহঃস্থার সাথে আলোচনা করতে হবে।গ্যাসের বোতল বাস্ট হয়ে একাধিক পরিবারের,একাধিক ব্যাক্তি অগ্নিকাণ্ডের শিকার, শেখ হাসিনা বান ইউনিটে উপচে পরেছে।
একটি গ্যাস বিতরন কোম্পানি কে আইনের অধিনে আনা হয় নাই। গৃহস্তালি ও শিল্পকারখানায় সরকারী গ্যাস অবৈধ জ্বলছে। সরকারের বেধে দেওয়া মুল্যের চেয়ে গ্রাহককে অনেক বেশী দিয়ে ম্যানেস করতে হয়। প্রশাসনের নীরবতায় অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে,উত্তর পাওয়া কঠিন। সরকার আর প্রশাসনের লুকোচুরি না করে,অবৈধ গ্যাসের বৈধতা দিলে একটি পদ্মাসেতুর টাকা উঠে আসবে।শহর কেন্দ্রীক অগ্নিকান্ড কমে আসবে। কে কার কথা শুনবে ? কারা এই নাগরিক অধিকারে, সরকারের অর্থ আয়ের বাঁধা ? খুঁজে বের করতে হবে। বঙ্গ সাগর গ্যাসে ভাসছে,ভোলা সিলেটে উপচে পরছে,জাতীয় গ্রিডে গ্যাসের সংযোগের অপেক্ষায় জাতি। শেখ হাসিনা সরকারের শত সফলতা কে প্রশ্নবৃদ্ধ করার জন্য কিছু লোকথাকে। সরকারে লুকিয়ে থাকা কিছু গ্যাসের ব্যবসার সাথে জরিয়ে থাকারা নয়তো ? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেই যদি সব দায়ীত্ব নিতে হয়, তবে সরকারে এতো মন্ত্রী এতো আমলার প্রয়োজন কেনো হয় ? সবাই ব্যর্থ হতে পারে না।
ভোক্তা অধিকার কে শুধু আলু পেঁয়াজ মাংসে সীমাবদ্ধ না রেখে, ভোক্তার অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। ভোক্তার অধিকার রক্ষা করতে হবে। না হলে ভোক্তার অধিকারের নামটাই বিফল হতে পারে। আমি অনেক চেষ্টা করেছি ভোক্তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে। কোনো পণ্য ও বস্তু ভোক্তার অধিকারের বাহিরে নয়।আমি বিক্রেতা,আমিই ভোক্তা। জনজীবনের প্রয়োজনীয় বস্তুতে ভোক্তাদের অধিকার আছে। ন্যায্য মুল্যে নির্ভেজাল পণ্য জাতি জন্য সরবরাহ করার দায়ীত্ব ভোক্তা অধিকারকে দেওয়া হয়েছে। গ্যাসের বোতল কোম্পানি কে আলাদা অবস্থানে রাখা যাবে না, গ্যাসের বোতল বেজাল বিরোধী অভিযানে আনতে হবে।

লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব, রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও খাস খবর বাংলাদেশ পত্রিকার সম্মানিত উপদেষ্টা মন্ডলী জনাব রবিউল আলম।

শেয়ার করুন
More News Of This Category
ডিজাইনঃ নাগরিক আইটি ডটকম
themesba-lates1749691102