July 9, 2025, 8:13 am
শিরোনামঃ
জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে জাপার বহিষ্কৃত নেতাদের সংবাদ সম্মেলন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্তির বিধান বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ মোহাম্মদপুরে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য নবায়ন ও সদস্য ফরম বিতরণ আগামীকাল (৯ জুলাই) মশিউর রহমান যাদু মিয়ার ১০১তম জন্মবার্ষিকী পরীক্ষার্থীদের মাঝে হাজী শাখাওয়াত হোসেন নান্নু মোল্লার বিশুদ্ধ খাবার পানি বিতরণ মানিকগঞ্জ-২ আসনে মানুষের আশা-ভরসার প্রতীক: আবিদুর রহমান খান (রোমান) পবিত্র আশুরা উপলক্ষে রাজধানী মোহাম্মদপুরে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল যুবদল নেতা জাহিদ মোড়লের বহিষ্কার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ, ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা ‘ভারতকে ধমক দিয়ে কথা বলার সাহস রাখে শুধু বিএনপি’: বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম সিরিয়া ও বাংলাদেশে ‘আইএস তহবিলে অর্থ পাঠাত’ গ্রেপ্তার বাংলাদেশিরা: মালয়েশিয়া পুলিশ

ভুলিনি ভুলবো না ১৫ই আগষ্ট স্ব পরিবারে জাতির পিতা হত্যাঃ আঃ রহমান শাহ্

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট সময় : Tuesday, August 1, 2023
  • 756 Time View
আঃ রহমান শাহ্ঃ  ভুলিনি ভুলবো না ১৫ই আগষ্ট স্ব পরিবারে জাতির জনক হত্যা, ৩ ও ৭ই নবেম্বর জাতীয় ৪ নেতা, সেক্টর কমান্ডার, মুক্তি যোদ্ধা হত্যা, ২১শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলা।৷
১৫ই আগষ্ট, ২১শে আগষ্ট, ৭ই নভেম্বর ভুলে গেলে চলবে না। ওরা সেই কুলাঙ্গারের দল, যারা ৭৫এর ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে, স্ববান্ধবে হত্যা করে উল্লাস করেছে। ১৪ই আগষ্ট রাত ৮.৩০ মিঃ উপ প্রধান সেনা নায়ক প্রধান সেনাপতিকে একটি দাওয়াত কার্ড দেখিয়ে তার কাছথেকে ছুটি ও আউট পাশ নিয়ে বাসায় গিয়ে ড্রেস চেঞ্জ করে ডিনার করে কেজুয়াল ড্রেসে ব্রীগেডিয়ার শিশু সহ রাত ১০ টার দিকে বেড়িয়ে পরেন উপস্থিত হন সাবেক বিমান বন্দর তেজগাঁও প্যারেড গ্রাউন্ডে মহরার প্রস্তুতি প্রশিক্ষন দেখে কথা বলেন কর্নেল রশিদের সাথে। কিছু মুক্তি যোদ্ধা জোয়ান জানতে চাইলো স্যার উনারাত এখন চাকুরীতে নাই তা হলে মহরায় ওনারা কেনো? জবাবে বললেন স্বাধীনের পর আর এরকম মহড়া হয় নাই, ওনারা অভিজ্ঞতা সম্পন্ন সিনিয়র লোক তোমাদের সহায়তা করবেন। তার পর বঙ্গবন্ধু ভবনের ৭ টি বাড়ির পর রাত ১১.৩০ মিঃ ধানমন্ডি, শিশুর ভগ্নিপতির বাসায়, সেখানে তার ছেলের জন্মদিনের অনুষ্ঠান চলছিল, রাত বেশী হওয়ায় মেহমানগন চলে গেছেন, খাওয়া দাওয়ার অনুরোধ করলে তাঁরা খেয়ে এসেছেন বলে ডিনারে অপারগতা প্রকাশ করে হালকা জল যোগ করেন। রাত ১২.০০ টায় একজন আগন্তুক সোলজার এসে একটা ওয়ারলেস সেট দিয়ে যান, তাতখনিক ঐ বাড়িতে রাখা একটি বাড়ি যা পূর্বহ্নে ভাড়া করা ছিলো, সেখান থেকে বঙ্গবন্ধু ও মনি ভাইর বাড়ি স্পষ্ট দেখা যায়। তাঁরা তখন সেই চাবি নিয়ে চলে যান, লেকের ও পারের সেই বাড়িতে, ২য় তলায় ডিম লাইট জ্বালিয়ে সোফায় বসেই রাত্রি যাপন করেন এবং সকল ঘটনার উপর নজর রাখছিলেন তারা সব কিছুই শুনতে ও জানতে পারেন। রাত আনুমানিক ৩.৩০ মিঃ সময় কিলার গ্রুপের নেতা কঃ রশিদ ওয়ারলেস ম্যাসেজে জানান স্যার এভরি থিং ইজ আন্ডার আওয়ার কন্ট্রোল, অন্য প্রান্তথেকে ডে. প্রধান জানতে চান হোয়াট এ্যাবাউট শেখ মুজিব, রশিদের উঃ স্যার হি উইলবি আন্ডার ট্রায়েল টুমরো। ডে.প্রঃ রাগত স্বরে বললো তোমরা জানো তোমরা কি করেছো? তোমরা একটি ক্ষমতাসিন সরকারের পতন ঘটিয়েছো এটা একটা “কু”, যদি শেখ মুজিব বেঁচে থাকে তা হলে ফজরের নামাজের সময় সমস্ত মানুষ রাস্তায় নেমে যাবে, তার পর তোমাদের ব্যার্থ কু এর বিচার হবে, ফিনিশ হিম এটওয়াঞ্চ। তারপরের ক্যাপটেন নুর ও পাশার বাকি কাজ সবাই জানেন। কথাগুলো আমার না ততকালীন ব্রীগেডিয়ার পরে মেজর জেনারেল এবং মন্ত্রী ও পিরোজপুর জেলা সমিতির উপদেষ্টা জেঃ নুরুল ইসলাম শিশুর জবানিতে জেলা সমিতির অভিষেক অনুষ্ঠান শেষে একজন সিনিয়র মুরুব্বি জানতে চাইলে নিজ জবানিতেই কথা গুলো বলেন। তখন রাত সারে বারোটা, বিজয় নগরে অনুষ্ঠান শেষে অলমোস্ট অনেকে চলে গিয়েছেন। বড়রা পাশের রুমে বসে চা, পান খাচ্ছিলেন। (জেঃ শিশু ৯৬ সনে ইলেক্শনের রেজাল্টের দিন শেষ রাতেই দেশ ত্যাগ করেন আর কোনোদিন বাংলাদেশে আসে নাই।)
৩রা নভেম্বর জেলখানায় জাতীয় ৪ নেতাকে হত্যা করেছে, ৭ই নভেম্বর থেকে সিপাহি বিপ্লব নাম দিয়ে সেনা কর্মকর্তা সহ ১৯৮২ পর্যন্ত ২১ টি পাতানো বিদ্রোহের নামে মুক্তি যোদ্ধা অফিসার হত্যা করেছে, অফিসার ও সিপাহিদের পাতানো ট্রায়েলে ফাঁসি দিয়েছে জান্তা সরকার।
১৯৯৫ সনের ১০ই আগাষ্ট তালেবানদের বিশাল এক জাহাজ অস্ত্র আন্দামান থেকে কিনে বাংলাদেশের ১০টি পয়েন্টে উপকুলীয় এলাকায় খালাস করা হয় তখন মুক্তি যোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নিধন করতে চেয়েছিলো, পুরুলিয়ায় এয়ার ড্রপ করেছিলো ভাড়ি কামান ও মেশিন গান, মর্টার, এন্টি এয়ারক্রাফট। সে বার ঘটনা পূর্বাহ্নে বিদেশি স্যাটেলাইটে ধরা পরলে ফাঁস হয়ে যায়, তখন এনজিও, ছাত্র শিক্ষক, আওয়ামী বুদ্ধি জীবি, সাংবাদিক, পেশাজীবী, বনিক সমিতি, শ্রমিক, কৃষকদের দীর্ঘ শান্তিপূর্ণ মানব বন্দন, আন্দোলন সংগ্রামের ফলে ঢাকার রক্ত গঙ্গা বন্ধ করা সম্ভব হয় এমনকি নেত্রী সহ সিঃ রাজনীতিকদের প্রান বাঁচানো সম্ভব হয়, আবার গনতান্ত্রিক সরকার, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। ক্ষমতায় আশার সাথে সাথে পিছনে থাকা একদল সুবিধা বাদি হাইব্রিড লোক পরিবেষ্টিত হয়ে ক্ষমতা হারায় ২০০১ এ।
২০০১ এ বিএনপি জামাত মিলে ৩০ হাজার সংখ্যা লঘু ও আওয়ামী লীগ কর্মীর উপর ধর্ষন, নির্যাতন চালায়, স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষন, মায়ের সামনে কন্যা, কন্যার সামনে মাকে ধর্ষন, করে বাড়ি ঘর ভাংচুর করে অসংখ্য আওয়ামী লীগ নেতাদের নির্যাতন করেছে, গৃহত্যাগী করা, মিথ্যা মামলা দিয়ে ঘর বাড়ি ভেঙ্গে গৃহহীন করা, ২০০৮ এ বিডিআর হত্যা মেজর জেনারেল, ব্রীগেডিয়ার, কর্নেল সহ ৫৭ জন কর্মকর্তা হত্যার মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের সরযন্ত্র, নারী নির্যাতন, ২০০৪ এ পাকিস্তান থেকে ১০ ট্রাক অবৈধ অস্ত্র এনে (আসলে সে আবারও অন্যান্ন এলাকায় খালাশকৃত অস্ত্র ধরা না পরলেও চট্টগ্রামের চালান ধরা পরে) ২১শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলা করে আওয়ামী লীগ সহ স্বাধীনতার স্বপক্ষের লোকদের নির্মূল করতে চেয়েছিল, যার নেপথ্যে ছিলো তারেক, বাবর, সালাহ উদ্দিন, জামাত, হুজি।
২০১৪ ও ২০১৮ তে জ্বালাও পোরাও করে, পেট্রোল বোমা মেরে রেল, বিদ্যুৎকেন্দ্র, ভূমি অফিস, বাস, ট্রাক, মানুষ, গরু মুরগী, খাদ্য শস্য সহ নারী পুরুষ, শিশু হত্যা করেছে শত শত লোক নিহত, হাজার হাজার লোক আহত হয়ে একনও পঙ্গু হয়ে বেঁচে আছে। গত বছরও আন্দোলনের নামে বহু বাস, গাড়ী পুরিয়ে জাতীয় সম্পদ বিনষ্ট করেছে। আবারো ওরা জ্বালাও পোরাও শুরু করেছে। ওরা হত্যা নির্যাতনের রাজনীতিতে বিশ্বাসী, হয়ত আপনার সন্তান ও ওদের লাশের রাজনীতির টার্গেট হতে পারে, ওরা দেশটাকে আফগান, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা বানিয়ে বিদেশী প্রভুদের কাছে লিজ/বিক্রি করে কেছিনোতে জুয়া খেলবে, বারে লালপানি পান করে উল্লাস করবে। এখনই দেশপ্রেমিক জনগনকে সতর্ক হতে হবে, ওঁদের ধংশ যজ্ঞের কবল থেকে জাতিকে রক্ষা করতে হবে।
বিদেশী কিছু সংস্থা, আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা, মার্কিন, ইহুদী গোয়েন্দা, পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা, মাপিয়া চক্র, অবৈধ মুনফা অর্জনকারী কিছু করপোরেট সিন্ডিকেট, এমনকি আপনার ২ প্রতিবেশীও মাঠে প্রচুর টাকা ছড়াচ্ছে, যে যার দৃষ্টি কোন থেকে, যার যার উদ্দেশ্য সফল করার জন্য নানা রকম স্যাবোটেজ করে যাচ্ছে তবে সবার উদ্দেশ্য এক তা হলো এই হত দরিদ্র জাতি এত উন্নয়ন কি ভাবে করে একে আর সামনে বরাতে দেয়া যাবে না। ঢাকা শহর এখন আন্তর্জাতিক গোয়েন্দাদের আড্ডাখানা, গিজগিজ করে বিদেশী মিডিয়া ও গোয়েন্দা সংস্থার লোক। এরা বিভিন্ন মিশন নিয়ে কাজ করে, কেউ সাংবাদিক, কেউ মানবাধিকার কর্মী, কেউ বিরোধী দলের সাথে, কেউ সরকারী দলের সাথে, কেউ তৃতীয় পক্ষের সাথে, তৃতীয় কোন আন্ডারগ্রাউন্ড মিশন নিয়ে, কেউ আন্দোলনের অর্থ যোগান দেয়ার জন্য, কেউ বিদেশি মিডিয়ার জন্য ফুটেজ সংগ্রহ করেন, আবার কেউ পুলিশ ও প্রশাসনকে বিভ্রান্ত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। জাতি এখন দিয়া বিভক্ত, Pro liberation, Anti Liberation, Pro Awami league Anti Awami league.
এখন লাশের রাজনীতি শুরু হয়ে গেছে, নিজের লোকের হলেও দুর্বার আন্দোলনের জন্য লাশ চাই। আপনি আপনার সন্তান যেন এই দাবার গুটি না হন। নিজের চোখ কান খোলা রাখুন নিজের দেশ প্রেম, ও বিবেককে কাজে লাগিয়ে ভালো কাজে অংশ নিন, খারাপ কাজ বর্জন করুন, দেশকে ভালো বাসুন, দেশ ভালো থাকলেই আপনি আমি সবাই ভালো থাকবো। জাতীয় সম্পদ ধংশ করে কোনো জাতি উন্নতি করতে পারে না। গনতন্ত্র ও রক্ষা করতে পারে না। বরং বিদেশি সত্রুর তাবেদার হওয়া যায়।
শেয়ার করুন
More News Of This Category
ডিজাইনঃ নাগরিক আইটি ডটকম
themesba-lates1749691102