বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা মওলানা ভাসানী ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পূর্ণভাবে অসম্পূর্ণ। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে অবশ্যই দুজনকে আনতে হবে, একজন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, আরেকজন মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। এই দুজনের দুধরনের চরিত্র। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধকালে পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি ছিলেন। তার নামে স্লােগান হয়েছে, তার নামে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়েছে। অন্যদিকে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী সশরীরে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় ছিলেন।
শনিবার (২২ জানুয়ারি) ধানমন্ডীতে “পথ মওলানা ভাসানী”র উদ্যোগে শতাব্দীর মহানায়ক মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ” স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ” উপলক্ষে আলোচনা সভায় বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকারের উচিত সরকারিভাবে মওলানা ভাসানীর জন্ম-মৃতু্যবার্সিকী পালন করা। আজকের পত্রিকায় মওলানা ভাসানীর ছোট্ট একটি খবর ছাড়া আর কিছুই নেই। কারণ তারা মওলানা ভাসানীকে ভয় পায়।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলনকে যদি ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট থেকে দেখি তবে দেখা যাবে, মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীই প্রথম তাঁর বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে স্বায়ত্তশাসন, এমনকি স্বাধীনতার ইস্যুকে সামনে নিয়ে এসেছিলেন।
তিনি বলেন, মাওলানা ভাসানীর কাছে শুধু স্বাধীনতা অর্জনই মুখ্য বিষয় বলে বিবেচিত হয়নি। তিনি সব সময়ই শ্রমিক-কৃষক-মেহনতি জনতার মুক্তির জন্য কাজ করতে চেয়েছেন এবং সে অনুযায়ী বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি এবং দাবি-দাওয়ায় তাঁর উপস্থি হতেন জনগনের সামনে।
বক্তারা বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস রচনা জাতির সাথে প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই নয়। মওলানা ভাসানীই হচ্ছেন স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা। ১৯৫৭ সালের কাগমারী সম্মেলনে ‘আসসালামু আলাইকুম’ উচ্চারনের মধ্য দিয়েই তিনি বাংলার মানুষের মনে স্বাধীনতার বীজ বপন করেছিলেন। দুঃখজনক হলেও সত্য সেই মহান নেতাকে ৫০বছরের শাসকগোষ্টিরা যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে ব্যার্থতার পরিচয় দিয়েছে।
তারা বলেন, হঠাৎ এক ঘোষণার মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ হুট করে শুরু হয়নি। বাংলার জনগণকে মুক্তির স্বপ্ন দেখিয়ে মুক্তিযুদ্ধের দিকে ধাবিত করতে মওলানা ভাসানীর অবদান জাতি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। মুক্তিযুদ্ধ ছিল একটি দীর্ঘ ধারাবাহিক আন্দোলনের ফসল।
বাংলাদেশ স্বাধীনতা পারটি ভারপারপ্ত সভাপতি আবদুল গফুর মিয়ার সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সভাপতি সৈয়দ হারুন-অর-রশিদের সঞ্চলনায় আলোচনায় অংশগ্রহন করেন বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া,স্বাধীনতা পার্টির সাধারণ সম্পাদক এ এ এম ফয়েজ হোসেন, এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, জাগপা পেরসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম, ফরওয়ার্ড পার্টি সদস্য মাহবুবুল আলম চৌধুরী, বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টি সভাপতি আবদুল মোনেম, ন্যাপ যুগ্ম মহাসচিব মো. মহসীন ভুইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মিতা রহমান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সিকদার হারুনুর রশিদ মামুন, এস এম মাসুদ প্রমুখ।