মোঃ ইব্রাহিম হোসেনঃ একুশে ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর উত্তর মোহাম্মদপুর থানার ৩২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ।
আজ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ রোজ সোমবার সকালে ৩২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম আনিসুর রহমান কাবুল এবং ৩২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩২ নং ওয়ার্ড সফল কাউন্সিলর সৈয়দ হাসান নূর ইসলাম রাষ্টন এর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ওয়ার্ড, ইউনিট আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এ সময় ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি/আমি কি ভুলিতে পারি’ গানের সুর বাজতে থাকে। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষ ৩২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩২ নং ওয়ার্ড সফল কাউন্সিলর সৈয়দ হাসান নূর ইসলাম রাষ্টন বলেন, ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। এ দেশের সমস্ত বাঙালির চেতনা, বাঙালির অর্জন সবকিছু আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে হয়েছে। ভাষা শহীদদের আত্মাত্যাগ ও দীর্ঘ আন্দোলনের সংগ্রামের বিনিময়ে আমাদের মাতৃভাষা অর্জিত হয়েছে। জাতির পিতার স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকলকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা উদ্ভুদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, ঢাকায় জিন্নাহ উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার ঘোষণা দেবার পর বঙ্গবন্ধুই এর বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিবাদ সভার ডাক দেন। এরপর থেকে ধীরে ধীরে ভাষা আন্দোলন আরো জোরালো হতে থাকে। ভাষা আন্দোলন করার জন্য তাকে কারাবরণ করতে হয় এবং সেখানেও তিনি অনশনের মাধ্যমে ভাষার জন্য আন্দোলন অব্যাহত রাখেন। মহান মাতৃভাষা আন্দোলনে জাতির পিতার অনবদ্য অবদানকে ঠিকভাবে তুলে ধরতে ইতিহাসের প্রতি আমরা দায়বদ্ধ।
তিনি আরো বলেন, মহান একুশে ফেব্রুয়ারির এই দিনে আমাদের প্রত্যয় হচ্ছে যারা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে, দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
মাতৃভাষা রক্ষার দাবিতে ১৯৫২ সালের এই দিনে শাসকের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে রাজপথে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিলেন রফিক, সালাম, বরকত, সফিউর, জব্বারসহ অনেক বাংলা মায়ের দামাল ছেলে। তাদের রক্তের দামে এসেছিল বাংলার স্বীকৃতি। আর তারই সিঁড়ি বেয়ে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত হয় স্বাধীনতা।