হারানোর বেদনা আমার চেয়ে কে বেশী বুঁজে ? এমনি মনে হয় এই পৃথিবীর সকল বাবা-মা ভাই-বোনের। আপনজন এই পৃথিবীতে সবাই হারিয়ে, হারাতে হবে এই নিয়তি ইচ্ছে করলেও পরিত্যাগ করা যাবে না। বিধীর বিধানকে আমরা কেউ অস্বীকার করতেও পারবোনা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আপনজন হারানো এই পৃথিবীতে আর দ্বিতীয় হবে না। শান্তনার বানী ও বার্তা বাহক শিশু রাসেলকেও হারাতে হয়েছে। শোক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়, কতটা আমি আজও আবিস্কার করতে পারলাম না। একটি সন্তান হারিয়ে পাগলের মতো মনে হয়। মাঝে মাঝে ভারসাম্যহীন হয়ে পরি। অনেকের কাছে তাই মনে হয়, অনেক আলোচনা সমালোচনা ও হয়। ভারতের প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষায় বলতে হয়, একি পরিবারের ১৬ আপনজনকে হারিয়ে শেখ হাসিনা সোনার বাংলা স্বপ্নে দেখেন এবং দেখাচ্ছেন, এর চেয়ে বিস্ময় এই পৃথিবীতে আর কি হতে পারে। জাতির জনকের উক্তি সোনার বাংলার সোনালীর রূপে সাজিয়ে বাঙালি জাতির কাছে প্রমান করেছেন শেখ হাসিনা, প্রতিশোধের আগুনেও সোনা ফলানো যায়। গায়ের জোরে আর লুটতরাজে রাজনীতি হয় না, ত্যাগ কখনো বিফল হয় না। মজিবের রক্তের ফোটায় ফোটায় দেশপ্রেমের, দেশ উন্নয়নের বাঙালি জাতির জন্য বিধাতার দান ছিলো, শেখ হাসিনার মাধ্যমে আল্লাপাক সেই বার্তা পৌচিয়ে দিয়েছেন। শেখ রাসেল জীবীত থাকলে আগামী নেতৃত্বের জন্য জাতিকে ভাবতে হতো না। কি হবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরে আমি আর ভাবতে পারছি না। সেই ভাবনা বিষয় আমরা না হয় বিধাতার জন্যই রেখে দিলাম।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।