ভারতের চাইতে বাঙালি সব সময় এগিয়ে, অর্থ চালিকা শক্তি নয়, মনোবলই স্বাধীনতার চেতনা
Reporter Name
Update Time :
Thursday, October 29, 2020
129 Time View
রবিউল আলমঃ ভারতীয় মিডিয়া, বাংলাদেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাওয়াকে কি ভাবে দেখছে ? হৈ-হুল্লোর হুলুস্থুল পরেছে ভারত জুড়ে। তুলনা হচ্ছে বিজেপির উগ্রবাদী, শেখ হাসিনার উদারনীতির রাজনীতিকে নিয়ে। অনেকটা রাজনীতিকে উলঙ্গ করা হয়েছে।
ভারতে মুসলিম বিৎদেশ, বাংলাদেশকে হিন্দু প্রেমিক বানিয়ে আলোচনার সুত্রপাত করা হচ্ছে। প্রকৃত পহ্মে জাতপাতকে উপেহ্মা করে শেখ হাসিনা আমাদেরকে বাঙালি করেই রাখতে পছন্দ করেন, বিশ্বাস করেন জাতীয় ঐক্যছাড়া বিহৎ কিছু আশা করা যায় না। বাঙালি পরিহ্মিত সৈনিক, স্বাধীনচেতা।
ভারত, বাংলাদেশকে স্বাধীনতার স্বপ্ন বাঙালি দেখিয়েছেন, বাস্তবায়নও করেছেন। বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের ফসল আজকে ভারত, সিংহভাগ নেতৃত্বে ছিলেন বাঙালি। আমরা ভারতের স্বাধীনতা চেয়েছিলাম, আমাদেরকে বৃটিশ চক্রান্তে ভারত-পাকিস্তান, হিন্দু-মুসলমান করা হলো কিছু দালালের সহায়তায়। বিজেপির সরকার সেই আগুনে এখনো তেল ঢালছে, পরিনাম বিশ্বের সামনে। একজন মানুষকে ধর্মের বিচারে দেশ প্রেম থেকে বঞ্চিত করলে, দেশের প্রতি দায়ীত্ব পালনে উৎসাহিত হবেন ? হিন্দু-মুসলিমকে বাঙালি বানিয়ে জাগিয়ে তুলেছিলেন শেখ মজিব,স্বাধীন একটি মানচিত্র উপহার বাঙালির ঐক্যের ফসল।
বাঙালি জাতির পিতার আসনে আজ শেখ মুজিব। আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে হত্যা করায় দীর্ঘ বাধাবিপত্তি পেরিয়ে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেন,দেখিয়েছেন শেখ হাসিনা। নরেন্দ্র মোদীর ভাষায় বলতে হয় একি পরিবারের ১৬ জন মানুষকে হারিয়ে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখান শেখ হাসিনা, এর চেয়ে বিস্ময় আর কি হতে পারে ? কিন্তু মোদীজি কি অর্জন করলেন শেখ হাসিনার কাছ থেকে ? ভারতীয় ঐক্য কে পুঁজি করতে পারলেন না। ভারতের দ্বিতীয় ভাষা বাঙালির মন জয় করতে পারলেন না। আসামের বাঙালি সুযোগ দিয়েছিলো, এনআরসি চাপিয়ে হিন্দু-মুসলিম করে দিলেন।
একবারও ভাবলেন না ৩৫ কোটি মুসলিমকে আলাদা করে ভারতীয় ঐক্য হবে না। ভারতকে টিকিয়ে রাখা যাবে না, অর্থনীতির করুন দশা গুচানো যাবে না। একটুকরো বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ করে শেখ হাসিনা বিশ্বকে চমকাতে পারেন। বিহৎ অংশ বাঙালি থাকা সত্যের নরেন্দ্র মোদী কাজে লাগাতে ব্যার্থ হলেন। ভারতীয় মিডিয়ার হৈ-হুল্লোড়ের দেখতে হচ্ছে আমাদেরকে। দেখতে পারছে না যারা আমাদেরকে বাঙালি থেকে হিন্দু মুসলিম বানাতে চায়, শেখ হাসিনার কিছুই ভালো লাগে না। সুখে থাকতে চায় না, শান্তি প্রতিষ্ঠিত হলে ব্যবসা থাকে না যাদের, তারা এখন ধর্ষণ, ধর্ষকের ষড়যন্ত্রের রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত।
বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে, ভারতকে এগিয়ে আসতে হবে আঞ্চলিকতার স্বার্থে, শেখ হাসিনার মানবিক রাজনীতিকে অনুসরণ করে। হিন্দু মুসলিম রাজনীতি বাদ দিয়ে মানুষের জন্য রাজনীতি বেছে নিতে হবে মোদীজিকে, জিডিপি প্রতিবন্দকতা হবে না। হবে প্রতিহিংসার রাজনীতি, কোনো দেশ ও জাতির মঙ্গল আনতে পারেনা।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামলী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।