জনাব রবিউল আলমঃ সরকার ও রাজনৈতিক দল ছাড়াও মানুষ, মানুষের অধিকারের কথা বলতে পারে, ভারতের কৃষক আন্দোলন তার বাস্তব প্রমান। ব্যাক্তি অধিকার কখনো কখনো দাবিয়ে রাখা যায়, কিছু সময়ের জন্য। জাতীয় অধিকার ও চাওয়া পাওয়ার অধিকার হরণ করা যায় না। জনতার মনে কথা বুঝতে না পারলে, সঠিক সময় সঠিক কথা বলতে না পারলে জনপ্রতিনিধির আসনে থাকা যায় না। পাকিস্তান সরকারের ছোট বড় মানবতা বিরোধী অপরাধ বাঙালী জাতির সামনে উপস্থাপন করার মাধ্যমে জাতীয় ঐক্য হয়েছি। পাকিস্তান সরকারের ভুল সীদ্ধান্তের অপেহ্মায় থাকতে হয়েছে ২৫ বছর। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের সঠিক সিদ্ধান্তের ফসল আজকের বাংলাদেশ ভারতীয়দের সামনে। শেখ হাসিনার দহ্ম হাতে সাধারন মানুষের অধিকার রহ্মা করে চলেছেন, মাঝে মাঝে ভারতীয় প্রশাসনের সাথেও দ্বন্দ্বে জরাতেও হচ্ছে বিহৎগুষ্টির স্বার্থ রহ্মার জন্য। বাংলাদেশ সরকারের সাথে ভারতীয় সরকারের শাসন ব্যবস্থার কিছু প্রার্থক্য লহ্ম করা যায়।শেখ হাসিনা মনে করেন উন্নয়ন দেশের গ্রাম, উপশহর,কৃষক শ্রমিক মেহনতী মানুষ থেকেই আসতে হবে। দেশের আয়তন ছোট হওয়াতে তার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে, জনগণ খুসী মনে সরকারের দীর্ঘায়ু কামনা করছেন। মোদীজী শুরু থেকেই রাজনৈতিক দলগুলো ও রাজনৈতিক ভাষাকে ধর্মের ভাষায় রূপান্তরিত করেছেন, অর্থশালীগুষ্টির স্বার্থ রহ্মা করে হ্মমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে চাচ্ছেন। তার পলিসি ভুল না, সঠিক বলার সময় এখনো আসেনি। তবে রাজনৈতিক ভাষা ভারত যে হারিয়ে ফেলেছে, কৃষক আন্দোলন তার বড় একটি উদাহরণ সৃষ্টি করে চলেছে। আমি মনে করি বিশ্ব ইতিহাসে ভারতের কৃষক আন্দোলন স্থান করে নিবেন। বিশ্ব রাজনীতি প্রতিবন্দকতার হতে পারে ভারতের কৃষক আন্দোলন।পুঁজিপ্রতিদের তাবেদার, মাস্তান বাহিনীর দফেদারদের রাজনীতির যবনিকা ঘটাতে পারে বিশ্ব থেকে। নতুন রাজনীতির অধিকার আদায়ের উদাহরণ হতে পারে। মেক্সিকোর পহেলা মে সারাবিশ্বের শ্রমিক দিবশ। ভারতের কৃষক আন্দোলন থেকেই কৃষক দিবশ পালিত হতে পারে। নরেন্দ্র মোদিকে নতুন করে ভাবতে হবে, আপনি কী সেই কলঙ্কের অংশ হবেন। নাকি কৃষকে ভালোবাসার ? সময় এখনো হাতেই আছে। চাইলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরামর্শ নিতে পারেন।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামলী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।