ভাত চাই, কাজ চাই, বাচার মতো বাচতে চাই শ্লোগানের রাজনীতি কী শেষের পথে ?
রিপোর্টারের নাম
আপডেট সময় :
Friday, December 31, 2021
215 Time View
জনাব রবিউল আলম
বৃটিশ, পাকিস্তান বিরোধী আন্দোলনে বাহারী শ্লোগান ছিলো, মানুষের অধিকার আদায়ে। জীবনের সঠিক পথের সন্ধানে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করেছিলো শ্লোগান। ভাত কাজ, অধিকারের দাবী করে: জয় বাংলার শ্লোগানের পতাকাতলে বাঙালির জাতির ঐক্য ছিলো বিশ্বের বিস্ময়। নয় মাসে স্বাধীনতা ও মানচিত্র অর্জন বিশ্বের কোন জাতির পক্ষে সম্ভব হয় নাই। লেলিনের ভাত ও কাজের শ্লোগান, জাতির পিতার জয় বাংলার শ্লোগানে বিদায় ঘন্টা বাজিয়ে দিয়েছে, শেখ হাসিনার উন্নয়নের শ্লোগান যুক্ত হওয়ার কারনে। দুনিয়ার মজদুরের ঐক্যের প্রয়োজন হয় না, হয়ও না। হরতাল অবরোধ, ধর্মঘটের রাজনীতির বাজার নাই। একটি দেশের উন্নয়নের বাঁধা গুলো জাতি চিহ্নিত করে ফেলেছে। নেতাদের মনগড়া শ্লোগান আর ফাঁকা বুলিতে মানুষ এখন আকৃষ্ট হয় না। রাজনৈতিক স্থায়ীত্ব একটি দেশের কতটা পরিবর্তন হতে পারে, নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করাই কঠিন। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবশ ও জাতির পিতার আত্নার মাকফেরাত কামনায় আলহাজ্ব মোঃ সাদেক খান এমপি কোনআন খতম মিলাদ ও তিন হাজার অসহায় পরিবারের খাদ্যের ব্যবস্থা করেছিলেন। কাউন্সিলর সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে শীতবস্ত্র। কাড়াকাড়ি মারামারি ছিলো না। ডিজিটাল বাংলাদেশ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুদানের টাকাও এখন মোবাইলে মাধ্যমে আসে। মানুষের চাহিদা ও প্রয়োজনের রাজনীতি, সকল অপ রাজনীতির যবনিকাপাত ঘটিয়েছে। ভাত কাজ, দুনিয়ার মজদুর এবং জিন্দাবাদের শ্লোগানকে করেছে ঘর ছাড়া। জয় বাংলার শ্লোগানে বাঙালির ঐক্য এখন পৃথিবী জোড়া। পশ্চিম বঙ্গের মাটি থেকে পরনির্ভরশীল রাজনীতি ও শ্লোগান পরিবর্তন হয়েছে। ত্রিপুরা, আসামের বাঙালিরা তাদের অধিকার আদায়ে জয় বাংলাকে একদিন গ্রহন করতে হবে। বাংলা বিহার উড়িস্যার নবাব জয় বাংলা শ্লোগান আবিস্কার করতে পারেন নাই বলেই পরাধীনতার শিকল পড়তে হয়েছিলো। পাকিস্তান আমাদেরকে জিন্দাবাদের মাধ্যমে শোষণের পথ বেছে নিয়েছিলো। পরাধীনতার প্রেত আত্না জিয়া সেই রাজনৈতিক শ্লোগান জিন্দাবাদের দাবানল জ্বালিয়ে ছিলেন পিতাকে হত্যা করে। জয় বাংলার মাধ্যমে বিচার হয়েছে, জাতির উন্নয়ন ও অর্থনীতির মুক্তি হয়েছে। অপ রাজনীতির যবনিকাপাত হয়েছে। বাচার মতো বাচতে শিখেছে, শিখিয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখন সময় জনতার, জয় বাংলাকে তার আপন ঠিকানায় প্রতিষ্ঠা ও বুকে মুখে ধারন করা।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।