March 20, 2025, 9:13 am
শিরোনামঃ
ঢাকাস্থ রাজবাড়ী জেলা সাংবাদিক সমিতির ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত আদাবর থানার ১০০ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র উদ্যোগে দোয়া মাহফিল ও ইফতার বিতরণ রাজধানী মোহাম্মদপুরে রোজাদারদের মাঝে ছাত্রদলের ইফতার বিতরণ তৃতীয় বারের মতো ডিএমপির শ্রেষ্ঠ পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ হাফিজুর রহমান আদাবর থানা যুবদলের উদ্যোগে দোয়া মাহফিল ও ইফতার বিতরণ রাজধানী মিরপুরে যুবদল নেতা সাজ্জাদুল মিরাজের শাড়ী ও লুঙ্গি বিতরণ চন্দ্রিমা হাউজিং ইউনিট বিএনপি’র উদ্যোগে দোয়া মাহফিল ও ইফতার বিতরণ বাউফল মোবাইল শপে চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে মানববন্ধন যুবদল পরিচয়ে কেউ দখল-বাণিজ্য করলে আটক করুন কালুখালীতে বিভিন্ন কওমী মাদ্রাসা ও এতিমখানায় উপজেলা প্রশাসনের খেজুর বিতরণ

ব্যাংক ও অর্থিক খাতে সংস্কার ও পরিচালনাকে প্রগতিশীল যুগোপযোগী করা: আঃ রহমান শাহ্

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট সময় : Saturday, July 8, 2023
  • 581 Time View
ব্যাংকের পরিচালদ পদে এত মধু, বিষয়টি পড়লাম, দেখলাম, অনুধাবন করার চেষ্টা করলাম। এই সব নীতিমালা সংশোধনে খেলাপি ঋণ সৃষ্টির কারিগরদের প্রভাব আছে বলে আমি মনে করি। যেখানে মাইক্রো ক্রেডিট বা এনজিওর পরিচালকের পদ ২ টার্মের বেশী থাকতে পারে না সে খানে ব্যাংকের পরিচালক পদে টানা ১২ বছর থাকা অনৈতিক, একই পরিবার থেকে একাধিক সংখক পরিচালক নেয়া এতে ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ করে তা বিদেশে পাচারের অবাধ সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে ভবিষ্যতে আরো বাড়বে, বিদেশে পালিয়ে যেতে ও বিদেশে অবৈধ ভাবে সম্পদ অর্জনে সহায়ক হবে। মনে রাখতে হবে ব্যাংকিং কোনো পারিবারিক ব্যাবসা নয়, পাবলিক লিঃ কোম্পানি Divided by shares & Controlled by Reserve Bank & Govt. It’s a trusty of Public money.
Bankcrafcy আইনও সংশোধন করে জনগনের অর্থের নিরাপত্তা ও ফেরত দেয়ার ব্যাবস্থা আইনে থাকতে হবে। ব্যাংকের পরিচালকগন তার নিজস্ব পরিচালনাধীন ও পারিবারিক ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান সমূহের জন্য জামানত বিহীন লোন গ্রহনের পরিমান, ঐ প্রতিষ্ঠানের ট্যানজিবল ও ইনট্যানজিবল এসেটের মোট মূল্যের including share certificate এর একক ও সম্মিলিত সম্পদের ৭০% চেয়ে বেশী হওয়া উচিৎ না। যদি কোনো পরিচালকের ব্যাক্তি বা কোম্পানীর খেলাপী ঋণ ২ বার পুন তফসিল করার পরও আদায় না হয় তবে তার ব্যাংকের পরিচালক থাকার যোগ্যতা হারাবেন, পুন তফসিল নীতিমালা শিথিল যোগ্য করা যাবে না, এতে ব্যাংকের ঋণের টার্নওভার কমে গিয়ে ব্যাংকগুলি লস দিয়ে দেউলিয়াত্তের দিকে দ্রুত ধাবিত হবে, জনগনের আমানত খেয়ানত হবে। পূর্বে ব্যাংক ঋণের ক্ষেত্রে কোলাটারাল, প্রতিষ্ঠান পরিচালনার অভিজ্ঞতা, বাজার চাহিদা, রপ্তানি সম্ভাব্যতা, দেশে সম মানের শিল্প ও তার উৎপাদন ক্যাপাসিটি, বাজার দর, মার্কেট ভায়াবলিটি যাচাই করে নতুন প্রকল্প ঋণ সুপারিশ করা হতো কস্ট-ইফেক্টিভনেসসহ যাবতীয় বিষয়ে ব্যাংকারদের সাম্যক জ্ঞান না থাকলে বিআইবিএম, এডিবি, আইএমএফ, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, SCB, এসকাপ ও ইউএনডিপির উন্নত ও বিষয় ভিত্তিক প্রশিক্ষন সহয়তা গ্রহন ও তা কাজে লাগাতে হবে। ব্যাংক একটি পাবলিক লিঃ কোম্পানি, জনগনের আমানতের ট্রাষ্টি, সেখানে শুধু মাত্র খেলাপী গ্রহীতা ও তাঁদের পৃষ্ঠপোসকতার স্বার্থে ব্যাংকিং আইন পরিবর্তন বিষয়টি দেখে মনে হয় দেশের স্বার্থ, আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষা না করে ফান্ড ডাইভারসন সুযোগ বৃদ্ধির জন্য এ সকল প্রস্তাব আনা হয়েছে, এতে ৮০% ডিপোজিটরের চেয়ে ২০% শেয়ার হোল্ডার ও পরিচালকদের স্বার্থ রক্ষা করে ব্যাংকের ভোল্টের গোপন দরজা খুলে দেয়ার মত কাজ।
রাষ্ট্রের অর্থ, জাতীয় সঞ্চয়, জাতীয় সমৃদ্ধি, পাবলিক হ্যাপিনেস কমিয়ে ৫০০ কোটি আর ৫০০ টাকার সাথে এভারেজ করে প্রবৃদ্ধি দেখালে ষ্টাটিসটিক্স সৎ থাকে না এটা অ নৈতিক, বিশ্বব্যাংক, বিশ্বঅর্থনীতির মান দণ্ডে, ভ্যাসেল ||| ও ভ্যাসেল |V এর মানদন্ডে ব্যাংক গুলোর মান উন্নত করতে হবে। যেহেতু সরকার অনুমোদিত, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণে, এবং সরকারী ও বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক ও উদ্যোক্তা, মালিক পক্ষের সমন্বয়ে পরিচালনা পর্ষদ গঠিত হয় সে হেতু গ্রাহকের অর্থ নিয়ে ছিনিমিনি করার কাজে রাষ্ট্র সহায়তা করতে পারে না, এটা অনৈতিক, এতে নাগরিকের অধিকার ক্ষুন্ন্য হয় এটা রীটের যোগ্য, কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার না করে গ্রাহকের আমানতের ১০০% হেফাজতের জন্য কল-লোন ও কল-মানি গ্রহন সীমা কমানো, ব্যাড ডেবট প্রভিশন বাড়ানো, ও ইনভেষ্টমেণ্ট রেশিও কোনো অবস্থায় ৭৫ঃ২৫ এর উপরে যাওয়া ঠিক না উপরন্তু ব্যাড লোন প্রীমিয়ম আদায় করে স্মল পুজি, স্মল ডিপোজিট ইনসিউর্ড, গ্যারান্টেড করতে হবে। একই গ্রাহকের এক ব্যাংকে গুড লোন ও অন্য ব্যাংকে ব্যাড লোন থাকলে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনক্রমে উভয় লায়াবিলিটি একই ব্যাংকে স্থানান্তরিত করতে বাধ্য করা, ব্যাড লোনের উপর ২% প্রীমিয়াম ধার্য করা। সেক্ষত্রে শিল্প ও প্রকল্প খাতে ১০% এর স্থলে ২% পার্সেনট বা ৩% ডাউন পেমেন্ট জমা নিয়া ঋণের রিসিডিউল করা ব্যাংকি ব্যাবসায় পেশাদারিত্বের সংকট সৃষ্টি করে এতে অর্থনীতি ও রাষ্ট্রের উন্নয়ন মূখ থুবরে পরবে। মনে রাখতে হবে ঋণের সুদ হার অপেক্ষা ডাউন পেমেন্ট হার কম হওয়া বাঞ্ছনীয় নয়।
যদি কারো রপ্তানি উন্নয়নের জন্য বিদেশে অফিস বা ব্যাবসায়ীক ইনভেষ্টমেণ্ট করতে হয় তবে রপ্তানি আয়ের সর্বচ্চ ৫% যা বৈদেশিক মুদ্রায় এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট ফান্ড প্রভিশন হিসেব রেখে সে খান থেকে বিদেশে ইনভেষ্টমেণ্ট করতে পারবে অন্যথায় বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি ব্যাতিরেকে হুন্ডি বা যে কোনো চ্যানেলে বিদেশে অর্থ পাচার মানিলন্ডারিং এর আওতায় পরবে। বিদেশী ব্যাংকের শাখাগুলির উপর করা নজর রাখতে হবে তাদের এক্স চেকার সিষ্টেম এর আওতায় আনতে হবে, এক্স চেকার সিষ্টেম যথাযথ তদারকির না থাকায় কোনো কোনো বিদেশী ব্যাংক গোপন হিসাব ম্যান্টেন করে এবং এ দেশে ক্যাশ গ্রহন করে বিদেশে ডলার হিসাবে পরিশোধ করে আবার বিদেশে ডলার গ্রহন করে ঐ জমা টাকা থেকে নগদ বা ব্যাংক হিসাবে জমা করে দেয়। কোনো কোনো প্রাইভেট ব্যাংকও এখন এ কাজ করে। ইন্ডেন্টিং কমিশন ১ই অর্থ বছরে ফেরত আনতে হবে। বাংলাদেশে ব্যাবসা লস দেখিয়ে ব্যাংক ঋণ ক্লাসিফাইড করে, প্রকল্প ব্যার্থ দেখিয়ে গুলশান, উত্তরা, বারিধারায় একাধিক বাড়ি, একাধিক গাড়ি, রিয়াল ষ্টেট বৃদ্ধি, বিদেশে কানাডা, আমেরিকায়, দুবাই, মালায়্যাশিয়াতে Second home, 3rd home করা মানি লন্ডারিংয়ের আওতায় পরে, ঋণ গ্রহীতা বিদেশে অবস্থান কালে এমবাসি ও কুটনৈতিক সহায়তা গ্রহন, কনজার্ভেটিভ এরেস্ট বা রপ্তানি ঋণের যথাযথ মূল্য পরিষধে গড়িমসি করার ক্ষেত্রে এম্বাসির ট্রেড কাউন্সিলর ও আইনজীবীর সহয়তার মাধ্যমে আইনগত সুবিধা গ্রহনের ব্যাবস্থা করা। এতে মানিলন্ডারিং ও বেগম পাড়া কমবে।
আভ্যান্তরিন ও বৈদশিক সকল ব্যাবসা ব্যাংক হিসাব ও ডাটাবেইজ এর আওতায় আনতে না পারলে ডিজিটাল বাংলাদেশ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন দুরূহ হবে। নতুন সম্পদ অর্জন, ক্রয় বিক্রয় হস্তান্তর উভয়ের ক্ষেত্রে ডাটা বেজের অধীন ও আয়কর নথীতে প্রদর্শন করার ব্যাবস্থা না করতে পারলে সম্পদ পাচারে উৎসাহিত করা হয়। প্রবাসীদের ওয়েজ রেমিটেন্স দেশে আনার ব্যাপারে বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়, অধীদপ্তরের কর্ম ততপরতা বৃদ্ধি করে বৈদেশিক মূদ্রা দ্রুত দেশে আনার ব্যাপারে এমবাসির কর্ম তৎপরতা বৃদ্ধি করে ব্যাংক গুলির লিকুইডিটি ও বৈদেশিক মূদ্রার রিজার্ভ বাড়াতে হবে। ব্যাংকের অর্থ ডাইভার্ট ও সিন্ডিকেটের ক্ষমতার অপব্যাবহার কমিয়ে ব্যাংকের টার্ন ওভার বাড়াতে হবে। ক্ষুদ্র শীল্প উদ্যক্তাদের এসএমই ঋণ সীমা বৃদ্ধি করে অর্থনীতিতে গতিশীলতা আনতে না পারলে অর্থনৈতিক দেউলিয়াত্বের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। তাই ব্যাংক, ইন্সুইরেন্স, ইনভেষ্টমেণ্ট প্রতিষ্ঠান, সিকিউরিটিজ একচেন্জ কমিশনে পজেটিভ সংস্কার করে ডিসিপ্লিনের ব্যাবস্থা করতে হবে।
ব্যাংক ও অর্থ খাতে সংস্কার ও পরিচালনাকে প্রগতিশীল যুগোপযোগী করা। ব্যাংক ঋণের জামানত ও ঋণ আদায়ে কোনো শৈথিল্যের অবকাশ নাই।
নতুন প্রকল্প ঋণ ও নতুন ইনভেষ্টরের ক্ষেত্রে ১০০ কোটি ও তদুর্ধ নতুন প্রকল্প ঋণ বিতরনে সিন্ডিকেট ব্যাংকিং ব্যাবস্থায় একাধিক ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্ব অনুমোদন সাপেক্ষে বিতরন করা। ব্যাংক ও অর্থ খাতকে সংস্কার ও পরিচালনাকে প্রগতিশীল যুগোপযোগী করা এখন সময়ের দাবী। এমনিতেই ব্যাংক গুলো লাভ না দিয়ে সার্ভিস চার্জ, চেক খরচ, কার্ড খরচসহ নানা খরচ কাটে তদুপরি নানা গুজবের কারনে এখন মানুষ ব্যাংকে টাকা রাখতে চায় না, বিশ্বাস করে না, তারপর আবার চোরের জন্য পকেট গেট খুলে রাখলে চোরত ঢুকবেই।
একজন সাবেক ব্যাংকার ও উন্নয়ন কর্মী হিসেবে পূর্ব অভিজ্ঞতার আলোকে আমি আমার মতামত ব্যাক্ত করলাম।
লেখকঃ রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের চলতি দায়িত্ব প্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক আঃ রহমান শাহ্।
শেয়ার করুন
More News Of This Category
ডিজাইনঃ নাগরিক আইটি ডটকম
themesba-lates1749691102