বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান ও এনডিপি’র মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা বলেন, নগর উন্নয়নের শপথ নিয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। জনগণের দুর্ভোগ লাঘব করতে না পারলে চেয়ার দখল করে কোন লাভ নেই। ব্যর্থতার দায় এড়াতে না পারলে পদত্যাগ করুন।
শনিবার ( ৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং ইন্সটিটিউটের সামনে ধানমণ্ডিবাসীর তরুণ ও যুবক সচেতন নাগরিকগণের উদ্যোগে আয়োজিত ঢাকাবাসীর জীবনের প্রতি উদাসীন বর্তমান নগর প্রশাসনের অপজ্ঞানেই আজ ডেঙ্গুর প্রকোপ ক্রমবর্ধমান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের আবেদনে মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
নাগরিকের পক্ষে মো. রাসেলের সভাপতিত্বে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন পুরান ঢাকার নাগরিক উদ্যোগের সভাপতি মো. নাজিম, নিউমার্কেট এলাকার বাসিন্দা বিডি ট্যুরিস্ট সাইক্লিং সমন্বয়ক রুজিনা আক্তার, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্র ও ধানমন্ডিবাসী মো. আশিকউদ্দিন সৈনিক, ঢাকা কলেজের ছাত্র মো. রাশেদ ইবনে সালামসহ প্রমুখ।
বক্তাগন বলেন, বিগত প্রায় দেড় বছরের অধিকসময় আমরা ইতিহাসের সবচেয়ে মারাত্মক দুর্যোগ করোনা ভাইরাসের মোকাবেলা করছি। অথচ মশক নিধন ও নিয়ন্ত্রণে দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রনে আজ সম্পূর্ণ ব্যর্থ। বহু আগ থেকেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বারবার হুশিয়ারী দিয়ে আসছেন ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বিরতিহীন নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন।
তারা বলেন, এরপরেও নগর প্রশাসনের কোন ব্যক্তির আন্তরিক চেষ্টা, উদ্যোগ ও পদক্ষেপ নেই। শুধুমাত্র তাদের উদাসীনতাই ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েই চলেছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশুরা। উল্টো নগর প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ অনর্গর নির্লজ্জ মিথ্যাচার করে বলে আসছেন ডেঙ্গু পরিস্থিতি সহনীয় মাত্রায় আছে। আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যায় না।
তারা আরো বলেন, নগর প্রধানকে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে উপস্থিত হতে দেখা গেলেও ডেঙ্গু আক্রান্ত কোন রোগীর পাশে দেখা যায়নি। দেখা যায়নি সরজমিনে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রন কর্মকান্ড পর্যবেক্ষণ করতে। এই অবস্থায় সচেতন নাগরিক হিসেবে আমাদের এই প্রতিবাদ।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, আমাদের প্রত্যেকের ভলান্টিয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। নিজের বাড়ির চারপাশে ময়লা, আবর্জনা পরিস্কার করে অন্যদেরকে উৎসাহিত করতে হবে। সভায় আগামী ১২ সেপ্টেম্বর স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার আগে প্রতিটি স্কুল কলেজ ব্যাপকভাবে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করারও তাগিদ দেওয়া হয়।