জনজীবন অতিষ্ঠ, সড়ক মহাসড়ক বিনষ্ট,প্রশিক্ষন নাই নিয়ন্ত্রণ নাই চালকের, চলছে বেটারী চালিত রিকশা। বিদ্যুৎতে অপব্যবহার থামানো যাচ্ছে না। সরকারের নির্দেশনা, ট্রাফিক আইনের থোড়াই কেয়ার করে বেটার পোলারা।এতশত অনিয়মের মাঝেও রিকশা চলছে কীভাবে ? কীভাবে বাংলাদেশে এই ইঞ্জিন আমদানি হলো ? কারা আমদানি করলো ? আমদানির অনুমতি কীভাবে পেয়েছে ? কীভাবে সড়ক মহাসড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বেটারী চালিত রিকশা ? এতোগুলো প্রশ্নের উত্তর খোজার চেষ্টা।এতোদিনে সরকারের টনক নড়লো কীভাবে ? রিকশা চলছে আপনার প্রয়োজন,অর্থের বিচরণে,বিলাশিতার আবরণ, বাচ্চাদের স্কুল থেকে কাঁচা বাজার পর্যন্ত দখল করে আছে রিকশা।কোথা থেকে আপনি বাদ দিবেন ? বিকলাঙ্গ, নারী, বয়োবৃদ্ধ কিছু অসহায় মানুষ যুক্ত হয়েছে রিকশার আসনে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিমধ্যে রিকশায় চড়েছেন, অসহায় মানুষের ভালোবাসার প্রতিক হয়ে। রিকশা শ্রমিক লীগ,পরিবহন শ্রমিকরা আওয়ামীলীগ কে শ্রম দিয়েছে,বিএনপি জামাতের জালাও পোড়াও নৈরাজ্যের মোকাবেলা করে। বেটারী চালিত রিকশা না উঠালে জনজীবন স্বাভাবিক হবে না। রিকশা উঠানোর পরে কর্মহীন মানুষের কর্মের ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না। সরকারের ভাবনা থেমে নেই। আন্দোলনরত একজন রিকশা চালকের সাথে কথা হলো,আপনারা কী চান না বাংলাদেশটা সুন্দর হউক ? রিকশা চালক, চাই। আমরা চাইলেই কী বাংলাদেশ সুন্দর সুশৃঙ্খল হইয়া যাইবো ? আপনারা রিকশায় চড়েন কেনো ? বেটারী চালিত রিকশা কী আমরা আনছি ? যারা আনছে, যারা বানাইছে, যারা চালাইতে দিছে, তাগোরে জিগান ? আমাগো কাছ থেইকা যারা টাকা নেয়, তাগোরে জিগান ? একজন নারী রিকশা চালক বসে আছেন রিকশার উপরে, অনেক যাত্রীকে ফিরিয়ে দিচ্ছেন।কাছে গিয়ে জিগ্যেস করলাম, সবাইকে ফিরিয়ে দিলে সংসার চলবে কীভাবে ? ঐদিকে যাইতে পাড়মু না, রিকশাটা দইড়া লইয়া যাইবো। পিছন দিকে যামু, কীযে করমু ? এতোটা লেখাপড়া জানি না, চাকরি করমু। বাসায় ও গার্মেন্টসে কাজ কইরা দুইটা পোলাপান দেখা শুনা করতে পারমু না, রিকশাটা চালাইতে পারলে ঘরে রান্নাবান্না করে পোলা দুইডারে স্কুলে দিয়া আইতে পারি।
সরকার নাকি বন্ধ কইরা দিবো, চিন্তায় আছি। কী বলবো, কী লেখবো ! এতোশত সমস্যা, মানবিক যন্ত্রণায় আমি নিজেই হতাশাগ্রস্ত, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের বাংলাদেশ কী বেটারী চালিত রিকশায় চলবে ? বুড়িগঙ্গা নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণে বাঁধা হয়েছিলো নৌকার মাঝীরা, তারা কী করে খাবে ? আজ মাঝীরা আগের চেয়ে ভালো আছে মেঘনা ঘুমতি শীতলক্ষ্যা নদীর মাঝী ও নদীর পারে বসবাসকারীরা। সমস্যা আছে সমাধান হবে, বাংলাদেশ আগের মতো চলবে না। বেটারী চালিত রিকশার আমদানিকারকদের ইঞ্জিন আমদানির অনুমতি দানের জন্য জবাবদিহিতায় আনতে হবে। জ্বালাও পোড়াও করে রিকশা চলানো যাবে না।জাতীয় সমস্যার প্রতিপক্ষ হবে না। মানবিক শেখ হাসিনা আছে।একটু অপেক্ষা করুন। জোর করে রিকশা বন্ধ,কিশোর গ্যাং নিশ্চিন,মাদক মুক্ত করা যাবে না। প্রশাসনের কিছু হর্তাকর্তারা জরিত। রিকশার যন্ত্রপাতি আমদানি, সীমান্তের মাদক পাচার বন্ধ করুন। কিশোর গাং নির্মুলে রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য ক্ষমতা বান দলের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, কাউন্সিলর থানার ওসি কে জবাবদিহিতায় আনুন। অপরাধ অর্ধে কমে যাবে, বাকী অর্ধেক জনগণ বুঁজে নিবে, সমাজ রক্ষার জন্য
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব, রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও খাস খবর বাংলাদেশ পত্রিকার সম্মানিত উপদেষ্টা মন্ডলী জনাব রবিউল আলম।