জনাব রবিউল আলমঃ
আমার দেখা রায়ের বাজার বদ্ধভুমির ইতিহাস অসম্পূর্ণ থাকবে। শত শহিদের রক্তে ভেজা বটগাছটি অবৈধ দখলদার মুক্ত করতে না পারলে। দুর্ভাগ্যক্রমে আমার বাড়ীটি ছিলো বটগাছের পাশে। ১১ ডিসেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১ প্রতি রাতেই বুদ্ধিজীবীদের আত্ম চিৎকারে রাতে ঘুম আসতে পারিনি। মুক্তিযোদ্ধাদের ভয়ে রাজাকার আলবদর ও পাকিস্তান হানাদার বাহিনী রায়ের বাজার বদ্ধভুমিতে যেতে সাহস পেতো না। রাত হলেই রায়ের বাজার পুলপারের বটগাছটি বেছে নেওয়া হতো বুদ্ধিজীবীদের হত্যার জন্য। আমার দেখা রায়ের বাজার বদ্ধভুমির দৃশ্য পৃথিবীকে দেখাতে পারিনি ক্যামেরার অভাবে। আজকের চার থেকে পাঁচটি লাশের ছবিটি ভারতীয় কোনো এক সাংবাদিক তুলেছিলেন ১৭ ডিসেম্বর বিকেলে। ১৮ ডিসেম্বর বিবিসি রয়েটার একজাক সাংবাদিকের আগমন হয়েছিলো। ১৬ ডিসেম্বর সারাদিন আমরা শহিদ বুদ্ধিজীবীদের লাশ উত্তোলনে ব্যাস্ত ছিলাম। বয়স, বুদ্ধির ও ক্যামেরার অভাবে বুদ্ধিজীবীদের প্রকৃত লাশের চিত্র থেকে পৃথিবী বঞ্চিত হয়েছে। আমাদের মিডিয়া একাধিক সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করার পরেও এই মুক্তিযুদ্ধের সরকারের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ও প্রশাসনের দৃষ্টিআক্রশনে ব্যার্থ হয়েছি শহিদ বুদ্ধিজীবীদের রক্তে ভেজা বটগাছটি অবৈধ দখলদার মুক্ত করতে। বুদ্ধিজীবীদের সন্তান যান্তে পারছে না, তাদের বাবাদের কোথায় কীভাবে হত্যা করা হয়েছিলো। রায়ের বাজার বদ্ধভুমির ইতিহাস পুর্ণাঙ্গ লেখতে হলে, বটগাছ ছাড়া সম্ভব নয়। সময় টিভি একটি সচিত্র প্রতিবেদন, সল্পদৈর্ঘ চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছে, ১৪ ডিসেম্বর প্রদর্শিত হবে। এটিএন নিউজ, ৭১ জার্ণাল প্রতি বছর তাদের স্বাদ মতো চেষ্টা করছে বটগাছটি রক্ষা করার আবেদন নিয়ে। আমাদের নতুন সময় পত্রিকার ঋৃন পরিষোদযোগ্য নয়। তবু কেনো সরকারের প্রশাসন এতটা নিরব ভুমিকা পালন করছে ? আমার বোধগম্য নয়। শহিদ পরিবারের সন্তানদের কে আওয়াজ তুলতে হবে। তাদের বাবাদের রক্তে ভেজা বটগাছটি অবৈধ দখলদার মুক্ত করে সংরক্ষণের। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ ছাড়া এই বটগাছ উদ্ধার যাবে না। অবৈধ দখলদারদের শক্তির উৎস কোথায়, সঠিক তদন্ত ছাড়া চিহ্নিত করা যাবে না।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।