জনাব রবিউল আলমঃ বিশ্বের সকল দেশে মুর্তি, পুতুল, ভাস্কর্য আছে। ভারত, নেপাল শ্রীলংকা প্রতিমা। শত শত বছর পৃথিবী চলছে, প্রচলিত নিয়মে। ইরান, ইরাক, মিসর,সৌদি, পাকিস্তান, আভগান,ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া সহ ভাস্কর্যের মেলা মিলানো হয়েছে। মমিনুল ও বাবু নগরীদের পুর্বপুরুষরা ইসলাম রহ্মা করতে পারেন নাই। প্রতিবাদও করেন নাই। হাটহাজারী মাদ্রাসার কাছে খাগড়াছড়ি জিয়ার মুর্তি রেখে পুজা করা হচ্ছে, মমিনুর ও মমিনুলের আব্বারও পুজায় অংশগ্রহন করেছেন, ভাগবাটোয়ারা জন্য। খালেদা জিয়া হ্মমতায় আসার পরে নারী নেতৃত্ব হারামের আরামের, ওয়াজ ও ফতোয়া শিকায় তুলে রাখা হয়, ভাগের অংশ বন্দ হওয়ার ভয়ে। মানুষকে জয় করার রাজনীতিতে ব্যার্থরা বন্দুকের নল, গুপ্তহত্যা, অরাজকতা, বিদেশ এজেন্ট হতেই পছন্দ করেন, অর্থের জন্যে। সব কিছু ব্যার্থ হলে ধর্মের ঘন্টা বাজায়। হিন্দু মুসলিম খৃষ্টান নাই, যে যেই দেশে সুবিধা পায়। স্বাধীনতার ৫০ বছর, মজিব জন্মশতবার্ষিকীতেই মমিনুলরা মুসলমান হয়েছেন ? নাকি এর আগেও মুসলমান ছিলেন ? বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের জন্য তাদের ইমাম না থাকলে, তারা আলেম দাবী করেন কি ভাবে। তাদের ইমানি, রুহানি শক্তি জাগ্রত, হটাৎ করে উদয় হলো কোত্থেকে, এ দেশের মানুষকে বুঝতে হবে। সুরায় সাবা, আয়াত নং ১৩ সোলেমান আঃ নিজের ভাস্কর্য বানিয়ে শুরু করেন। মমিনুলদের জানার কথা না, পরের বাড়ীর খাওন বন্দ হওয়ার ভয়ে। মিলাদ পড়লে, দোয়া ও ওয়াজ করলে হাদিয়া পাওয়া যায়। পিরের ব্যবসা ভালো হওয়াতে কাপর খুলে লেংটা, আটরশি, মাইজ ভান্ডারী, চরমুনাই ইত্যাদি ইত্যাদি নাম ধারন করতেও দ্বিধা নাই। কোনটা যে সহি ইসলাম, বুঝা দায়। এখন তারা বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য ভেঙে হ্মমতা দেখাতে ও হ্মমতায় যাইতে চায়। রাশিয়ার বিদ্যুৎ, চীনের পদ্মাসেতু, আমেরিকা ও ভারতের শিল্প ধ্বংস করা হবে। এগুলো ইসলাম সম্মত ভাবে নির্মাণ করা হয় নাই। শেখ হাসিনার নারী নেতৃত্ব হারাম আগেই ফতোয়া দিয়ে রেখেছেন। জাতির জনক কবরে আজাবে আছেন, মমিনুল হকের কাছে আল্লাপাক বার্তা পাঠিয়েছেন বলেই হয়তো নতুন করে ভাস্কর্য বিতর্ক তুলেছেন। জিয়া জান্নাতে আছেন বলেই ভাস্কর্যের পুজা করার প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে। মাইরের উপর ঔষধ নাই। ঠেঙানি ভয়ে হাটহাজারী যাইতে পারেন নাই। বাঙালি জেগে উঠলে শেখ হাসিনাও আপনাদেরকে বাচাতে পারবেনা, লেজ লাইরেন না। দীর্ঘদিন পরে হলেও ওবায়দুল কাদের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে, বলেছেন। বিহ্মোব মিছিল, মানব বন্দন হচ্ছে। আওয়ামী আইনজীবীরা একটাও নোটিশ পাঠান নাই সংবিধান অবমাননার দায়ে। বাংলাদেশের ও বাঙালী জাতির জনক, শেখ মজিবের সাংবিধানিক অধিকার, তাকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য সংবিধান লঙ্ঘন। দায় তাদের নিতেই হবে।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামলী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।