খাস খবর বাংলাদেশঃ ধর্ষণ প্রতিরোধ মাদক নির্মূল অপরিহার্য। মাদক ও ধর্ষণের ভয়াবহতা সমাজে সামাজিকতায়ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। যে পরিবার মাদকের শিকার, তারা লণ্ডভণ্ড হয়ে পরেছে। ধর্ষণের শিকার হয়েছে যারা, তারা সামাজিকতাই ছেড়ে দিয়েছে।
আইন আদালত দিশেহারা অপরাধের মাত্রা ও সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী অসহায়ত্ব প্রকাশ করে জনগণ, জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক সহায়তা চাইছে। আমি নিজেও বিশ্বাস করি ওদরে, জেলখানায় ভরে, ক্রসফায়ারে প্রতিরোধ করা যাবেনা।
ধর্ষণ ও মাদক প্রতিরোধে সামাজিক ও মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতে হবে, আমরা এখনো যারা সমাজ ও রাজনীতিকে নিয়ে ভাবছি, তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে পাড়ায় মহল্লায় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
বিনোদনের জন্য শিশু কিশোরদের কে সময় দিতে হবে। সামাজিক আন্দোলনের জন্য সংস্কৃতি, সাহিত্য মেলা। যুবকদের কে খেলাধুলার মাধ্যমে সামাজিকতার প্রশিহ্মন দিতে হবে। একক পুলিশের উপর আস্তা রাখা যাচ্ছে না, পুলিশের কিছু অংশ মাদক কারবারী হয়ে পড়েছে।
এলাকার মাদবর, চেয়ারম্যান মেম্বর কাওন্সিলরদের কে বিশ্বাস করা যাচ্ছে না রাজনৈতিক ও অর্থলালসার কারনে মাদক ও ধর্ষণের মত মিথ্যে মামলার আসামী করে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করার নজির আছে। প্রতিটি নির্বাচনি ওয়াদা এক নম্বরে থাকে মাদক নির্মূলের আরো কত চমকপ্রদ ওয়াদার শেষ নাই।
টিভির বিজ্ঞাপনের মত ভোটের পরে পানি আর ফুস করেনা, সবাই ব্যাস্থ হয়ে পরে নিজের আখের গুছাতে। রাষ্ট্রে কোনো অঘটন ঘটলে অবৈধ অর্থে ভাড়া করা লোক নিয়ে মানব বন্ধন, বিহ্মোব ও সভা সমাবেশ করতে দেখা যায়। রাজনৈতিক ও রাজনীতি এই জনপ্রতিনিধিদের মাঝে নাই। অর্থনীতি বুঁজে না বিদ্যার অভাবে। সহজ উপায় খুঁজতেই দলিয় নেতা কর্মী বাদ দিয়ে সন্ত্রাসীদের আশ্রয়ে চলে যান, সন্ত্রাসী মাস্তান পোষতে নারী ও মাদকের প্রয়োজন মিটাতে মিটাতে কখন নিজের বাড়ী ঘরে মাদকের প্রবেশধীকার করে দিয়েছেন, নিজেও যান্তে পারেন না।
নারীর অভাব মিটাতে নিজের মেয়ে ও ঘরের বৌয়ের সর্বনাশ হয়েছে কি না, বুজতে পারেন না। আপনার নির্বাচনি এলাকার দায়, আপনাকেই নিতে হবে। যে পুলিশকে দিয়ে অবৈধ চাহিদা মিটিয়েছেন, তার কাছে সঠিক শৃঙ্খলা আশা করতে পারেন না বলেই সমাজের অবনতি ঠেকাতে পারছেন না। সময় এখনো চলে যায় নাই। আপনি একজন সফল জনপ্রতিনিধি হতে চাইলে, সামাজিক ঐক্যের বিকল্প নাই। ওয়ান টাইমস বলপেন হতে চাইলে আমার কোনো পরামর্শ নাই।এলাকা বৃত্তিক অপরাধের জন্য প্রশাসনকে জবাব দিহিতা করতে হয়, রাজনীতির জন্য জনপ্রতিনিধিকে জবাবদিহিতায় আনতে পারলে বাংলাদেশের অপরাধের চিত্র অন্যরকম হতে পারতো।
ধর্ষণ ও মাদক সেবন এখন মাস্তানদের মাঝেই সীমাবদ্ধ নেই বিস্তার ঘটেছে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় এমনকি এতিমখানা মাদ্রাসা থেকে বেশ্যালয় পর্যন্ত। একটা বিহৎ সামাজিক আন্দোলনের প্রয়োজন দলমতের উর্দ্দে। না হয় আমরা লেখতে পারবো, প্রেসক্লাবের সামনে দিনের পর দিন মিডিয়ার সহায়নভুতি জন্য অনশন, মানব বন্ধন, সাংবাদিক সম্মেলন ও রাস্তায় গাড়ী ভেঙে রাষ্ট্রের সমাধান হবে না। যে লাউ সেই কধুই।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামলী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।