আইন নিজস্ব গতিতে চলবে, সাংবিধানিক অধিকারের।আমি আইনজ্ঞ নই,সাংবিধানিক বিশেষজ্ঞ নই,একাধিক মামলার আসামীর অভিজ্ঞতা নিয়ে আজকে এই লেখা।
মানবসভ্যতার ইতিহাস রক্ষায় আইনের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করা হয়েছিল। সুচনার ইতিহাস জানা নাই। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলতে পেরেছিল কিনা,সেই বিতর্ক আজকে নয়। আইনের নিজস্ব গতির জন্য মাজদা’র হোসেন মামলার সহ একাধিক আইনজ্ঞ, যুগে যুগে নিজস্ব চিন্তাচেতনার চর্চা করছেন।দেশ জাতি ও মানব কল্যানের জন্য ।রাষ্ট্রের প্রয়োজনে নীয়ম নীতিকে বলা হয় আইন।আইনের নিজস্ব ধারাগুলো রাজনৈতিক ইচ্ছায় ব্যবহার হয়েছে, এ কথা অস্বীকার করা যাবে না। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ উদাহরণ হতে পারে,বিনাবিচারে রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের অপরাধ প্রমানের আগে, মিথ্যে মামলায় জেলখানায় বন্দী রাখা হয়েছে। ২০-৩০ বছর পরে বেকসুর খালাশ পেয়েছে,জীবনের গতিধারা ফিরে পায় নাই।
একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার আসামী জজ মিয়াকে উদাহরণ হিসেবে দার করানো যায়। ২৫৫৬ জন মৃত্যু দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা একযুগেরও বেশী সময় কনডেম সেলে,আপিল বিভাগের বিচারের আশায়।এদের থেকে একজন আসামীও যদি বেকসুর খালাস পায়,তবে ন্যায় বিচার প্রশ্নবৃদ্ধ হবে,ফিরিয়ে দিতে পারবো না সোনালী দিনগুলো। মামলার নিষ্পত্তির আগে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামীদের কনডেম সেলে নয়, আদালতের এই রায় যুগান্তকারী বলে আমি মনে করি। সরকার আপিল আমার বোধগম্য নয়। জঙ্গিবাদী,বোমা হামলাকারী, মানবসভ্যাতা বিরোধী হায়ান দলের জন্য হয়তো! যারা সাধারণ কয়েদীদের জন্য জীবন নাশের হুমকি হতে পারে।
বাছাইএর জন্য আদালতের বিবেচনা এনেছে, পরিপূর্ণ রায় পুর্ণ বিবেচনার সুযোগ নাই। রাজনৈতিক মিথ্যে মামলায় দীর্ঘ কারাগারে অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি্, বিনা বিচারে,বিনা অপরাধে হাজারো বন্দী আছে কারাগারে, একজন আইনজীবীর অভাবে।সামান্য কটা জরিমানার টাকা দিতে না পারার জন্য। সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও কারা জীবনের শেষ হচ্ছে না।চলচ্চিত্র অভিনেতা ডিপজলকে দেখেছি, নিজের আইনজীবীর মাধ্যমে অনেক নিরপরাধ মানষকে মুক্ত জীবনের সহায়তা করতে। দেখেছি টাকার বিনিময়ে অন্যের সাজা ভোগ করতে। একই পরিবারের একাধিক আসামীকে মুক্ত রাখার জন্য বড় ভাই সব অপরাধের স্বীকারত্তি দিয়ে সাজা ভোগ করতে। জেলখানার ইতিহাস লেখে শেষ করা যাবে না।আইনের সংশোধনীর শেষ হবে না। বৃটিশ পাকিস্তান থেকে জাতি মুক্ত হলেও আইন থেকে মুক্ত হতে পারেনি। স্বাধীন বাংলাদেশের আইন নিয়ে এখনো কাজ করা হচ্ছে মানবিক আইনের জন্য। স্বাধীন দেশে কালাকানুন,বিশেষ ক্ষমতা আইনের অপব্যবহার বন্ধ করুন, সরকারের দেওয়া আইনের সহায়তার সুবিধাগুলো বঞ্চিতদের জন্য উন্মুক্ত করুন।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিকতার বিচার ব্যবস্তার জন্য উদাহরণ হতে পারে।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব, রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও খাস খবর বাংলাদেশ পত্রিকার সম্মানিত উপদেষ্টা মন্ডলী জনাব রবিউল আলম।