রবিউল আলমঃ
চেয়ার আছে, পার্সন এখন চেয়ারে নাই। নেতা আছে, দেশে নাই। নির্দেশনা কার, তাও জনগণের জানা নাই। বিএনপি-জামাত নির্বাচনে যাবে না, ক্ষমতায় যাওয়ার বিকল্প পথের সন্ধান জনগণকে দিতেও পারছে না। নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না, এই কথাটা কার ? যে-কথা সংবিধানের অধিনে পরে না। র্যার পুলিশ, সেনা বাহিনী জনগণের অধিনে। সংবিধানের বাদ্রবাদকতা নির্বাচন, তা হতে না দিলে সরকারের ধারাবাহিকতা রক্ষা হবে কীভাবে ? বিকল্প কোনো প্রদ্ধতি আবিস্কার হয়ে থাকলে জনগণের সাথে শেয়ার করতে পারেন। তা না করে নির্বাচনে যাবেন না, হতেও দিবেন না, কোনো অলৌকিক শক্তির বলে ? তবে কি কানাডার আদালতের দেওয়া সন্ত্রাসি দলের ক্ষ্যাতাব সত্য প্রমান করেই ছাড়বেন ? ৭০ নির্বাচন পাকিস্তান সরকারের অধিনেই হয়েছে। জনগণ তাদের পছন্দের প্রার্থীকেই বেছে নিয়েছে, সরকারের বাহিনী ছিলো থুটোজগর্নাথ। অধিকার আদায়ের জন্য অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিলো, বুকের রক্ত বিলিয়ে দিতে কার্পণ্য করেন নাই। মুক্তি ছিনিয়ে আনতে হয়। শ্রীলঙ্কার জনগণকে দেখেও কি শিক্ষা গ্রহন করতে পারেন না ? আপনারা খালেদা জিয়ার বাড়ী, তারেক জিয়ার মুক্তির ছাড়া আর কোনো রাজনীতি জানেন না। জনগণ আপনাদেরকে বিশ্বাস করবে কেনো ? জনগণের কথা যারা বলে, জনগণের জন্য যারা কাজ করে, জনগণের বুকের রক্ত একমাত্র তাদের জন্য ২০১৪, ২০১৮ সালে আপনাদের হুংকারের জবাব জনগণ বুঁজিয়ে দিয়েছিলো। ২০২৩ সালের জবাবটা আরো কঠিন হতে পারে বলেই কি নির্বাচনে যাবেন না ? হতে দিবেন না বলার অধিকার আপনাদের নাই। বানরের লেঙ্গুর দিয়ে কান খাওজানের পরিনাম বুক করতাছেন। এখন কি পিপড়ায় খাওয়ার অপেক্ষায় আছেন ?
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।