খাস খবর বাংলাদেশ অনলাইন ডেস্কঃ তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, হরতাল-অবরোধের নামে যারা আক্রমণ করতে আসে তাদের প্রতিহত করতে হবে।
৬ নভেম্বর দুপুরে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‘বিএনপির অবরোধ-নৈরাজ্যের প্রতিবাদে শান্তি সমাবেশে’ এ আহ্বান জানান তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশে বিশৃঙ্খলা-নৈরাজ্য সৃষ্টি করার অসৎ উদ্দেশ্যেই বিএনপির নেতারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উঁকি দিয়ে গুহার অন্তরালে থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করছে। মানুষ, এম্বুলেন্সের ওপর হামলা করা, গাড়ি-ঘোড়া পোড়ানো, ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর হামলা করাই তাদের কর্মসূচি। আক্রমণকারীদের প্রতিহত করতে এবং তাদের ধরতে পারলে পুলিশের হাতে তুলে দেয়ার আহ্বান জানান তথ্যমন্ত্রী।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, গাড়িচালক ভাইদের অনুরোধ জানাবো, যারা আপনাদের গাড়িতে হামলা চালাচ্ছে তারা দুস্কৃতিকারী। এই দুস্কৃতিকারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রয়োজনে গাড়িতে লাঠি এবং রড রাখার তাগিদ দেন তথ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, অবরোধের নামে যারা সন্ত্রাসী হামলা চালাচ্ছে এবং গুহার মধ্যে ঢুকছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে সরকার বদ্ধপরিকর। নেতাকর্মীদের প্রতি পাড়ায়-মহল্লায় বিএনপি-জামাতের আগুনসন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করে পুলিশে দেয়ার আহ্বান জানান তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমরা বিএনপিকে নিষিদ্ধ করতে চাই না, আমরা চাই, তারা এই পথ পরিহার করে গণতান্ত্রিক রীতিনীতি চর্চা করুক। আন্দোলনও করুক আমাদের কোনো আপত্তি নাই। তাদের আন্দোলন করার জন্যই সমস্ত সহযোগিতা করা হয়েছিলো কিন্তু তারা সেটি না করে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে। পুলিশের ওপর, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে, হাসপাতালে হামলা করেছে সেই কারণে পুলিশ ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছে।
‘নির্বাচন যথাসময়েই হবে এবং জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণে আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন করতে আমরা বদ্ধপরিকর’ উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, বিএনপির অনেক নেতা এখন তারেক রহমানের দোষ দেয়, বলে তারেক রহমান আমাদের দলটা ধ্বংস করে দিলো এবং তারা বসে আছে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য। ফখরুল সাহেব, রিজভী সাহেব যাই বলুন না কেন, নির্বাচনে আপনাদের দল অংশগ্রহণ না করলেও, আপনাদের নেতারা ইনশাআল্লাহ অংশ নেবে। অনেকেই লাইন ধরে আছে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য। আর বিএনপির সাবেক মন্ত্রী বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মেজর হাফিজের নেতৃত্বে আর একটি দল হতে যাচ্ছে। তারা শিগগিরই ঢাকায় কনভেনশন করবে। বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলেও নেতাদের অংশগ্রহণ ঠেকাতে পারবে না। তাই অনুরোধ জানাবো দল যদি টেকাতে চান তাহলে নৈরাজ্যের পথ পরিহার করুন, নির্বাচনে আসুন, আপনাদের জনপ্রিয়তা যাচাই করুন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মোঃ হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম প্রমুখ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।