খাস খবর বাংলাদেশঃ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিএনপির প্রতি হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেছেন, তাদের কোনো অপকর্ম বিনা চ্যালেঞ্জে ছেড়ে দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, জেল, জুলুম, নির্যাতন আর রাজপথ থেকে উঠে আসা এবং জনগণের সংগঠন আওয়ামী লীগকে আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে কোনো লাভ নেই।
আজ ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ রোজ রোববার সকালে তাঁর সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।
নির্বাচনে ব্যর্থ ও পরাজিত হয়ে বিএনপির পরাজিত নেতারা এখন হাঁকডাক শুরু করেছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের মাঠ গরমের অপচেষ্টা সফল হবে না। পরাজিত প্রার্থীদের রোদনভরা ব্যর্থতার কাহিনী শুনে জনগণের কী লাভ হবে বলেও জানতে চান তিনি।
বিএনপির নেতাদের নিজস্ব কোনো বক্তব্য নেই, টেমস নদীর পাড় থেকে পাঠানো ফরমায়েশি বার্তা তোতাপাখির মতো পড়েন মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির নয়াপল্টন অফিস হচ্ছে গুজবের ফ্যাক্টরি, সেই ফ্যাক্টরি থেকে আসা অপপ্রচারের বাণীতে খোদ বিএনপির নেতাদের মধ্যেই অবিশ্বাসের দেয়াল তৈরি করছে।’
মিডিয়ায় আন্দোলনের ঝড় তুললেও বাস্তবে বিএনপির নেতারা রাজপথে থাকেন না জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, কেউ কেউ মাঠে থাকলেও ফেসবুকে দেওয়ার জন্য ছবি তোলেন, এরপর পালনোর পথ খোঁজেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বক্তব্য-বিবৃতিতে খালেদা জিয়ার জন্য বিএনপির নেতারা প্রাণ দেওয়ার বাসনা ব্যক্ত করলেও, তাঁর মুক্তির জন্য ঢাকা শহরে ৫০০ লোকের একটি মিছিলও করতে দেখেনি জনগণ। বিএনপির নেতারা তাঁদের নেত্রীর মুক্তি ও চিকিৎসার চেয়ে রাজনীতি করেছে বেশি বলেও জানান তিনি।
বিএনপির নেতাদের বক্তৃতায় কথামালার ফুলঝুরি ছুটলেও তাঁরা রাজপথকে ভয় পান, আন্দোলনকে ভয় পান উল্লেখ করে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী বলেন, এখন তাঁরা জনগণকেও ভয় পান।
পাঁচশ সদস্যের ঢাউস কমিটি থাকা সত্ত্বেও একটি বড় মিছিল যারা করতে পারে না, তাদের মেরুদণ্ডের শক্তি সম্পর্কে জনগণ বুঝতে পেরেছে বলেই নির্বাচনে তাদের ভোট দেয় না বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, ‘লন্ডনকে খুশি করার জন্যই তারা মিথ্যাচারের প্রতিযোগিতায় নেমেছে। টেমস নদীর তীর থেকে ঘোষণা দিয়ে পদ্মা-মেঘনা-যমুনায় জোয়ার আনা যাবে না। জনবিচ্ছিন্ন ও নেতিবাচক রাজনীতির কারণে বিএনপির ক্ষমতার মসনদে আরোহনের দিবাস্বপ্ন অধরাই থেকে যাবে’, যোগ করেন ওবায়দুল কাদের।