ডেস্ক নিউজ: গতকাল ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ফুল দেবার পরে বিএডিসির সিবিএর নির্বাচিত কমিটির নেতাকর্মীদের উপর বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে বিএডিসির আরও একটি স্বঘোষিত কমিটির নেতাকর্মীরা হামলা করে। এই হামলায় নির্বাচিত কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৪জন আহত হয়।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়,গত ১১নভেম্বর ২০১৯ এ সরকারী বিধি মোতাবেক সুশৃঙ্খল নির্বাচনের মাধ্যমে সভাপতি দেওয়ান জালাল উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল সামাদ নির্বাচিত হন। এরপর থেকে বিএডিসির একটা মহল তাদের এই কমিটির ভেঙ্গে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এই মহলটি নির্বাচিত কমিটির কাছ থেকে কোন অনৈতিক সুবিধা না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন ভাবে তাদের হয়রানি করছে প্রতিনিয়ত।
আরও জানাযায়,সিবিএর বিদ্রোহী এই কমিটির সভাপতি মনিরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমকে ব্যবহার করে বিএডিসির চেয়্যারম্যানর পিএস পলাশ হোসেন কৃষি ভবনের টেন্ডার বানিজ্য, নিয়োগ বানিজ্য ও বদলিসহ বিভিন্ন অবৈধ কাজে ব্যবহার বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে। এই স্বঘোষিত কমিটি নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে বিএডিসির সবকিছুতে একছত্র অধিপত্যের বিস্তার করার চেষ্টা করে। এমনকি পিয়ন থেকে শুরু করে বিএডিসির চেয়্যারম্যানের উপর তার অদৃশ্য ক্ষমতার ব্যাবহার করে থাকে।
বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়, পলাশ হোসেন অঢেল সম্পত্তির মালিক ইতিমধ্যে। নামে-বেনামে প্রচুর সম্পতির মালিক তিনি এই অল্প সময়ে। পলাশ এর বেনামে বিভিন্ন কোম্পানি আছে। সেই প্রতিষ্ঠান এর মাধ্যমে তিনি টেন্ডার বানিজ্য করে থাকে বলে জানা গেছে । এছাড়া বিগত ২বছর আগে তার পোষ্টে নিয়োগ বিঙ্গপ্তি হলেও তিনি বিভিন্ন ভাবে এই নিয়োগ আটকে রেখেছেন শুধুমাত্র এই অবৈধ্য কাজগুলি নিজের হাতে রাখার জন্য।
আহত সাধারণ সম্পাদক সামাদ অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন চিঠি বা কাগজ চেয়ারম্যানের কাছে গেলে উনার পিএস পলাশ সেই সমস্ত ডকুমেন্ট ঠিকমত চেয়ারম্যানকে দেন না এবং অনেক সময় বিভিন্ন ফাইল তিনি উদেশ্যমুলক ভাবে আটকে রাখে। এছাড়া তিনি আরো জানান, এই হামলার ঘটনায় উপরের অদৃশ্য শক্তির মদতে হয়েছে। তিনি বিএডিসির চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি বলেন বিষয়টি আমরা দেখছি।
এই ঘটনায় মতিঝিল থানায় বিএডিসি থেকে একটি জিডি করা হয়েছে।