জনাব রবিউল আলমঃ বৈধ হলে অবৈধ প্রশ্ন আসবে, জিয়ার ঘোষনা, খালেদা জিয়ার জন্মদিনের বৈধতা কোথায় ? মহামান্য হাইকোর্ট বলে দিয়েছে জিয়াউর রহমানের ক্ষমতা দখল অবৈধ ছিলো, হা-না ভোটের কোনো বৈধতা নেই। স্বাধীনতার ঘোষনা দেওয়ার অধিকার অর্জনের জন্য জনপ্রতিনিধি হতে হবে।মেজর অনেকে দুরের কথা দেশের সেনাপ্রধান হলেও একটি দেশের স্বাধীনতার ঘোষনা দেওয়ার অধিকার নাই। খালেদা জিয়া অবৈধ জন্মদিন নিয়েও আওয়ামীলীগ নেতাদের বক্তব্য বিরক্তিকর। একি ব্যাক্তি তিন বার জন্মগ্রহণ করতে পারে না, এ কথা আয়নার মত পরিস্কার। আমাদের লেখক সাহিত্যিক বুদ্ধিজীবী ইতিহাসবিদরা লিখছেন, বলছেন। আওয়ামীলীগাররা যত পারেন লেখেন, গোলটেবিল ও টেলিভিশন বিতর্কে বলেন। লাক্ষো লোকের সমাবেশে জিয়া ও খালেদার নাম শুনতে আমরা চাইনা। তাদের অবৈধ কর্মকাণ্ডের ইতিহাস শুনার জন্য এ দেশের মানুষ আওয়ামীলীগের সমাবেশে জমাতে হয় না, ঘন্টার পর ঘন্টা সময় ব্যায় করেন না, ভোট দেয় না। আওয়ামীলীগের সমাবেশের অর্থ জাতির জন্য নতুন কোনো উন্নয়নের বার্তা, জাতির আশা আকাংখার প্রতিফলন।মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন। জিয়া-খালেদার অবৈধ কর্মকাণ্ড প্রচারের জন্য আওয়ামীলীগের সমাবেশ হতে পারে না। আওয়ামীলীগের সমাবেশের একটি কথার ব্যাপক প্রচার কে লক্ষ্য রাখতে হবে, দেশের মানুষ পক্ষে বিপক্ষে আলোচনার খোরাক যোগার করে। বাঙালি জাতি বিএনপিকে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করেছে, তাঁদেরকে আলোচানার টেবিলে জাগিয়ে তুলার দায়ীত্ব কি আওয়ামীলীগের ? অনেক আওয়ামীলীগ নেতা ইতিহাস ঐতিহ্য সম্পর্কে জানেন না, বলতে পারেন না বলেই কি জিয়া-খালেদা নিয়ে সময় পার করেন ? আমাদের সময় নষ্ঠ করেন ? আওয়ামীলীগের ইতিহাস ঐতিহ্য সম্পর্কে জানার অধিকার থেকে দেশের জনগনকে বঞ্চিত করেন ? বিএনপির অবৈধ কাজগুলো ব্যাপক প্রচার অর্জন করে আপনাদের কথায়, বুজবার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।জিয়া মরার সময় ধানের শীষ মার্কা এই পোষাকটা পড় থাকার একটা ছবি দেওয়া হলো।সামরিক পোষাকের একটা লাশ এনে শেরে-বাংলা নগর মাটি দেওয়া হলো। তাও শিয়াল কুকুরে খাওয়া। বিএনপি নেতারা কি অবগত নয়। ওরা সত্য লুকানো ছাড়া রাজনীতি করতে পারে না, নিজেদের অর্জন না থাকায়। ওরা শুধু ভারত বিরোধী ও ধর্ম ব্যবসায়ীদেরকে নিয়ে ডান-বাম ঘোড়ার আন্ডা পার্টির সংমিশ্রণে রাজনীতি করে।জাতিকে ধোকা দেওয়ার।জাতির মুখফিরিয়ে নিয়েছে। বাঙলি জাতি যাদেরকে দেখতে চায় না, যাদের নাম শুনতে চায় না, আপনারা কেনো তাঁদেরকে জোর করে শুনাতে চান ? বাঙালি এখন আর হুজুকের বাঙাল নয়।শেখ হাসিনার উন্নয়ন বিশ্বকে চমকিত করেছে,বাঙালি আর পিছলাতে চায় না। মুখফিরানো জাতির সামনে ও কানের কাছে দয়া করে সেই নাম ও কামগুলো আওয়ামীলীগের লাক্ষো লোকের সমাবেশে বলবেন না। ওরা শেষ হয়ে গেছে, এমনিতেই নিঃশেষ হয়ে যাবে।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।