বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী)-র প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও দেশের বামপন্থী আন্দোলনের অন্যতম নেতা কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী আর নেই। তিনি মঙ্গলবার রাত ১০টা ৫০ মিনিটে ঢাকার একটি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন।
ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা যায়, কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরীর মরদেহ হাসপাতালের হিমাগারে রাখা হবে এবং ৮ জুলাই ২০২১ বেলা ১২টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর তার মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
জানা যায়, ফুসফুসে নিউমোনিয়া আক্রান্ত হয়ে গত ২৭ জুন থেকে তিনি রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ২৮ জুন কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরীকে নন ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে নেয়া হয়েছিল। হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা দিয়ে উচ্চমাত্রায় অক্সিজেন দেয়ার পরও তার শরীরের অক্সিজেন স্যাচুরেশন ক্রমেই কমে আসছিল তাই তাঁকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছিল।
ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপির) চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্তজা ও মহাসচিব মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা এক বিবৃতিতে দেশের বাম আন্দোলনে কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরীর অবদান কৃতজ্ঞচিত্ত স্মরণ করেছেন। নেতৃবৃন্দ তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
উল্লেখ্য, কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে নানা জটিল রোগে ভুগছিলেন। গত তিন মাস ধরে মেরুদণ্ডের ফ্র্যাকচার, হাত ও পায়ের প্যারালাইসিস, বেড সোর ও নিউমোনিয়ার চিকিৎসার জন্য তাঁকে বারবার ভর্তি করতে হয়েছে। সর্বশেষ গত ২৭ জুন তার তীব্র শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাকে পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মাস্কে অক্সিজেন দেওয়ার পরও রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যেতে থাকলে তাঁকে ২৮ জুন দুপুরে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। ২০লি/মিনিট অক্সিজেন সরবরাহেও অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৮৪-৮৫র ওপরে না ওঠায় বর্তমানে তাঁকে হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলার মাধ্যমে উচ্চ মাত্রার অক্সিজেন দেয়া হচ্ছে। ফুসফুসে নিউমোনিয়ার কারণে তার শ্বাসকষ্ট বলে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম হওয়ায় তাঁকে রক্ত দেয়া হয়েছিল। তার অবস্থা আশঙ্কা জনক পর্যায়ে ছিল।