প্রতি বছর মন্ত্রনালয়ের সভায় কিছু পরামর্শের জন্যে আমন্ত্রণ করা হয়। করোনার কারনে এই বছর ভার্চুয়াল মিটিং এ মতামত দিতে পারিনি, সভার কার্যক্রম অভিহিত না হওয়ার জন্য। বিগত বছরের পুর্ব অভিজ্ঞতায় থেকে কিছু পর্যালোচনা করলে স্পষ্ট বুজা যাচ্ছে। চামড়া ক্রয় করার জন্য সরকার ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে সহায়তা নেওয়ার পরে শিল্পের মালিকরা কোরবানীর চামড়া রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করেন না। কাঁচা চামড়া তারা ক্রয় থেকে বিরত থাকেন ঈদের ৭ থেকে ১০ দিন। হাতে গুনা দুই চারজন শিল্পের মালিক মাদ্রাসার চামড়া রক্ষা করার ভুমিকা পালন করেন, তবে মুল্য নির্ধারন করেন দশ থেকে পনেরো দিন পর। শিল্পের মালিকদেরকে সরকারের সকল সুযোগ সুবিদা দিতে কার্পন্য নাই। কিন্তু মুল্য নির্ধারনের পরে জবাব দিহিতাও নাই, সরকার নির্ধারিত মুল্যে চামাড়া না কিনার জন্য। বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধবে কে ? এদিকে সরকার নির্ধারিত মুল্যে কাঁচা চামড়া ক্রয়ের পর, চামড়া নিয়ে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বিপাকে পরতে হচ্ছে। নষ্ট হচ্ছে জাতীয় সম্পদ সচেতনতার অভাবে। ন্যায্য মুল্যে বিক্রি করতে না পারার জন্য সময় ক্ষ্যাপনে চামড়ার মান প্রতিঘন্টায় ডাউন হয়, একসময় পচনধরে। দেশের ভাগ্যে, জাতির ভাগ্যে যা হওয়ার তাই হচ্ছে। বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয়ে চামড়া রক্ষার প্রশিক্ষনও কার্যকর ভুমিকা রাখতে পারছেনা, সঠিক প্রশিক্ষনের অভাবে। আমলারা, ট্যানারীর মালিকরা মাঠ পর্যায় সময় না দেওয়ার জন্যে। বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের প্রশিক্ষন মাদ্রাসা, এতিমখানা, মসজিদ কমিটি, মাংস ব্যবসায়ী ও মাংস শ্রমিকদেরকে বুঁজিয়ে দেওয়া যায়। কোরবানীর একঘন্টার মধ্যে চামড়ায় লবন দিতে হবে। কোরবানী দাতা লক্ষ টাকার কোরবানী দিবেন, একশত টাকার লবন কিনে দিবেন দেশ ও জাতীয় সম্পদ রক্ষার জন্য। বুজিয়ে বলতে পারলে একঘন্টায় এককোটি বিশ লক্ষ কোরবানীর চামড়া রক্ষা করা সম্ভব। এতে কোরবানি দাতার শ্রমের প্রয়োজন হবে না।গরু যে বানাবে, সেই পাঁচ মিনিটে চামড়ায় লবন দিয়ে দিবে। কে কার কথা শুনে। সয়ং ট্যানারীর মালিকরাও নিজেদের কোরবানীর চামড়া লবন দেওয়া শুরু করেন নাই। আন্তর্জাতিক চামড়ার বাজারে চামড়া ও চামড়া জাতপণ্যের চাহিদা বেরেছে। চামড়া জাতপণ্যের উৎপাদনে সক্ষম শিল্প কি আমাদের দেশে গড়ে উঠেছে ? উঠলে কত পার্সেন্ট ? এত ব্যাংক ঋৃনের টাকা কোথায় যাচ্ছে, কোথায় মৌসুমী ও আড়ৎদারদের টাকা ? সরকারের বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের কাছে কোনো খবর আছে ? থাকলে করনীয় কি ? কোনো ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে জবাবদিহিতার ? জানি কোনো প্রশ্নের উত্তর বানিজ্য মন্ত্রনালয়,শিল্প মন্ত্রনালয় ও ট্যানারী শিল্পের মালিকদের কাছে নাই। নাই বলেই হয়তো আমার আমন্ত্রন পত্র আসে নাই।ব্যার্থতার দায় কে নিতে চায়।মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর চামড়া জাতপণ্যের পাঁচ মিলিয়ন ডলারের বৈদেশীক মুদ্রা আয়েয় স্বপ্ন কি অধুরাই থাকবে ? না-কি শক্ত হাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে ? ।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।