March 23, 2023, 11:31 am
শিরোনামঃ
জন্মদিনে শুভেচ্ছায় সিক্ত নাঈমুল হাসান রাসেল উত্তাল মার্চের গনহত্যার স্বীকৃতি ও পাকিস্তান বাহিনীর বিচার বেলাবো-মনোহরদী আসনের জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য প্রার্থী হচ্ছেন তুলি রাজবাড়ীতে দশ গ্রাম হেরোইন সহ মিলন কসাইকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ ১/১১ সরকার বাংলার মাটিতে কায়েম হতে দেয়া হবে নাঃ জাহাঙ্গীর কবির নানক ঝিনাইদহ জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠিত রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রন করুন : বাংলাদেশ ন্যাপ সমস্যার আগে সমাধান করলে নাকি রাজনীতি অর্থবহ হয় না  রাজধানী মোহাম্মদপুর টাউন হলে, ‘মুনিয়া ফাস্টফুড কর্নার’নামের নতুন ফাস্টফুডের দোকান উদ্বোধন ঝিনাইদহ ইসলামী ব্যাংকের সুদ করবারি আবু সাঈদ এখনো বহাল তবিয়তে

বাঙ্গালীর মাতৃভাষা আন্দোলন সংস্কৃতি রক্ষা স্বাধীকার স্বাধীনতা ও বর্তমান উন্নয়ন প্রেক্ষাপট

Reporter Name
  • Update Time : Monday, January 30, 2023
  • 942 Time View

বৃটিশের ভারতে মুসলমানরা সংখ্যা লঘু ও নির্জাতীত হতে থাকলো। বৃটিশরা ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধে বাংগালা, বিহার উরিশ্যার নবাব শিরাজ দৌলাকে কুটিল সরযন্ত্রের মাধ্যমে পলাশীর যুদ্ধে পরাজিত করে ভারতের রাজনীতিতে প্রবেশ করে সে সময় ভারতবর্ষের সম্রাজ্যের সম্রাট ছিলেন মোঘলরা। বাংলা থেকে ব্যাবসার নামে প্রবেশ আর ক্রমান্বয়ে ভারতীয় রাজন্যবর্গকে ডিভাইড এন্ড রুল পলিসি দিয়ে একে একে পরাজিত করে পুরো ভারতে বৃটিশের উপনিবেশ বা কলোনিতে পরিনত করে। তাই তারা বাংলা ও বাংগালীর নেতাদের জমের মত ভয় করতেন, তাই বাংলা, বাংগালী ও মুসলিম উন্নয়নে সব সময়ই বৈষম্য করতেন যাতে বাংলার হিন্দু মুসলিম এক হতে না পারে। শেষ পর্যন্ত ২য় বিশ্বযুদ্ধ আর নেতাজী সুবাষ বসুর সর্বভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলন, নেতাজীর জাপানিদের পক্ষ অবলম্বন, সুবাষ বসুর ও এদেশীয় স্বদেশী আন্দোলনের কাছে মার খেতে খেতে বৃটিশরা সেইফ এক্সিট খুঁজছিল। ভারত বর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলন ছিলো ২ ফোল্ডারে, এক দিকে নেতাজীর নেতৃত্ব স্বদেশীদের যুদ্ধ অন্যদিকে খ্যাতিমান রাজনৈতিকদের সাথে MOU সমঝোতা যদি বিশ্বযুদ্ধে ভারতীয়রা বৃটিশদের সহযোগিতা করে তবে যুদ্ধ জয়ের পর ভারতকে তাঁরা স্বাধীনতা দিবে। যুদ্ধের শেষ ভাগে জাপানিরা বার্মায় পৌঁছে গেলে অবস্থা এমন দ্বারায় যে বিশ্বযুদ্ধে হারলে নেতাজী ও জাপানিদের যৌথ বাহিনীর হাতে বৃটিশরা কচুকাটা হবে। এখানেও বুদ্ধির জোরে বৃটিশরা টিকে গেলো।
১৯০৫ সালে বংগ ভংঙ্গের পর পূর্ব বঙ্গের মুসলমানরা আশান্বিত হলেও পশ্চিম বাংলার হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রবল আপত্তি ও আন্দোলনের মূখে ১৯১১ সালে বঙ্গবঙ্গ রদ করা হয়। ১৯০৬ মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষায় গঠিত হলো মুসলিম লীগ, আর ভারতীয় হিন্দুদের উদ্যোগে গঠিত হল কংগ্রেস। উভয় দলই ভারতের স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন, সংগ্রাম, নেগোসিয়েশন করলেও তারা দুইটি আলাদা ভূখন্ডের দাবীতে সোচ্চার। ১৯৪৬ এ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এলো ভারতের স্বাধীনতার প্রশ্ন। বৃটিশ সরকার তার যুদ্ধ কালিন প্রতিশ্রুতি ও চুক্তি সমূহ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে তদুপরি স্বদেশী আন্দোলন, কংগ্রেস ও মুসলিম লিগের আন্দোলন, অপরদিকে নেতাজী সুবাস বসুর নেতৃত্বে স্বদেশী আন্দোলন ও স্বশস্ত্র সেনাবাহিনী গঠন, বার্মা ও পর্বাত্য এলাকা থেকে বৃটিশদের উপর গেরিলা, চোরাগোপ্তা হামলা, প্রত্যান্ত এলাকার উপর নিয়ন্ত্রণ হীনতা বৃটিশদের ভীত সন্ত্রস্থ করে তুলেছিল, তখন সেইফ এক্সিট ছাড়া তাদের আর কোনো পথ খোলা ছিলো না।
১৯৪৭ এ দেশ ভাগ ১৪ই আগষ্ট ২টি আলাদা ভূখন্ড নিয়ে পাকিস্তান যার পূর্বাঞ্চলের নাম পূর্ববাংলা ও ১৫ই আগষ্ট ভারত স্বাধীন হলো। দেশ হারালো অসংখ্য যুবক, যোদ্ধা, সংগ্রামী নেতা কর্মী, স্বাধীনতার সৈনিক, অনেক মায়ের কোল খালি হলো তার ভিতরে হিন্দু মুসলিম রায়ট, নিজ দেশে পরবাসী হলো অসংখ্য লোক বাস্তুচ্যুত হলো, বহু হিন্দু মুসলমান সরনার্থী হলো, সম্পদ, সন্তান, সম্ভ্রম হারালো, ভাইয়ে ভাইয়ে হানা হানি, কাটা কাটি, মারামারি। অনেক রক্ত অনেক জল গড়ীয়ে গেল বাংলা, বিহার, উরিষ্যায়, পাঞ্জাব, কাস্মীর, সিন্দের নদীতে। বাংলার নেতা এ কে ফজলুল হক, ভাষানী, সোহরাওয়ার্দী, পঃ পাকিস্তানের নেতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, লিয়াকত আলী খান, নবাব নসরউল্লাহ খান, বেলুচিস্তানে ওয়ালী খান। পাকিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলের নেতারা আবার নিরীহ বাংগালীর উপর নতুন করে শাসন শোষণ শুরু করলো আঘাত হানলো বাংগালীর ভাষা, সংস্কৃতির উপর। গর্জে উঠলো বাংলার নেতারা বুঝতে পরলো এ পাকিস্তান বাংলার মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষা হবে না, ভাষা, সংস্কৃতি রক্ষা হবে না, পাবেনা ন্যজ্য অধিকার।
ছাত্র যুবকের স্বার্থ রক্ষায় ১৯৪৮ সালে ঘঠিত হলো পাকিস্তান ছাত্র লীগ, ১৯৪৯ সালে ২৩শে জুন মুসলিম লীগের একাংশ ভেঙ্গে অপেক্ষাকৃত তরুন শ্রেনীর নেতৃত্বে গটিত হল আওয়ামী মুসলিম লীগ। সভাপতি মাওলানা ভাসানী আর সেক্রেটারী এডভোকেট সৈয়দ শামসুল হক সাহেব নীর্বাচিত হলেন।
বাদ সাধলো জিন্নার এক দেশ এক ভাষা নীতি, ৪৮ জিন্নাহ রেসকোর্সে ঘোষণা করলেন পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা হবে উর্দু, তখনই বাংলার নেতারা প্রতিবাদ করলো, পূর্ব পাকিস্তানের কৃষক শ্রমিক, মেহনতী মানুষের বঞ্চনার কথা তুলে ধরে লাহরে পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তানের নেতাদের গোল টেবিল বৈঠকে প্রদেশ সমূহের স্বায়ত্তশাসনের দাবী তুলে ধরা হলো, কিন্তু পাকিস্তানের শাসকরা তা মানতে রাজিনা। বৈঠকে কোনো কোনো বিষয় একমত হলেও তা বাস্তবায়ন হলো না। পাকিস্তানের শাসনতন্ত্র রচনা করার জন্য ৫৪ সালে গন পরিষদের নির্বাচন হলো পূর্ব বাংলা থেকে শেরে-বাংলার কৃষক শ্রমিক পার্টি, মাওলানা ভাসানীর ন্যাপ, সোহরাওয়ার্দীর আওয়ামী লীগ মিলে যুক্ত ফ্রন্ট গঠিত হলো। নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের কাছে মুসলিম লিগের পূর্ব বাংলায় ভরাডুবি হলো, যুক্তফ্রন্ট সংখ্যা গরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সরকার গঠন করলো কিন্তু পশ্চিমাদের সরজন্ত্র শেষ হলো না। যুক্ত ফ্রন্টের সরকার অনাস্থার মাধ্যমে ভেঙে গেলে মুসলিম লিগের সরকার গঠিত হল, সংখ্যা লঘু সরকার। এদিকে ভাষা সংস্কৃতির দাবী, পূর্ব বাংলার ন্যায্য হিস্যার দাবী, চাকুরী বাকরীতে সংখ্যার ভিত্তিতে নিয়োগের আন্দোলন চলতেই থাকলো। অবশেষে মুসলিম লীগের লিয়াকত আলীখানের সরকারের পতন ঘটিয়ে স্কানদার মীর্জার সামরিক শাসন জারী, একবছরের মধ্যে ইস্কান্দার মীর্জাকে হটিয়ে জেনারেল আইয়ূব খানের মার্শাল ল ও গদী দখল। সামরিক জান্তার নির্জাতন বারতে বারতে আন্দোলনে অতিষ্ঠ হয়ে ১৯৬৮ সালে আওয়ামী লীগ নেতাদের কারারুদ্ধ করে তাদের বিরুদ্ধে অগরতলা সরযন্ত্র মামল শুরু করলো আয়ূব খান। জেল খানায় হত্যা করা হলো সার্জেন্ট জহুরুল হককে।
পূর্ব পাকিস্তানের ছাত্র শিক্ষকরা ভাষা সংগ্রাম কমিটি করে রাষ্ট্র ভাষা, মাতৃ ভাষা বাংলার দাবিতে তুমুল আন্দোলন গড়ে তুললো, ৫২তে ভাষা আন্দোলনের মিছিল জরুরী অবস্থা ভেঙ্গে মিছিল বের করলে, ছাত্র মিছিলে গুলি চালালো, নিহত হলো রফিক, শফিউর, বরকত, জব্বার। নুরুল আমিনের প্রাদেশিক মুসলিম লীগ সরকার তখন ক্ষমতায়। রাস্তায় নামলো বাংলার কৃষক শ্রমিক, দীর্ঘদিন বঞ্চনা, শোষণ, বৈসম্য অতিষ্ঠ বাংলার ঘরে ঘরে মেহনতী মানুষের বঞ্চনার কথা তুলে ধরে লাহরে গোল টেবিল বৈঠকে পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসনের দাবী তুলে ধরা হলো, কিন্তু পাকিস্তানের শাসকরা তা মানতে রাজিনা। বৈঠকে কোনো কোনো বিশয় একমত হলে তা বাস্তবায়ন হলো না। পাকিস্তানের শাসনতন্ত্র রচনা করার জন্য ৫৪ নির্বাচন হলো পূর্ব বাংলা থেকে শেরে-বাংলার কৃষক শ্রমিক পার্টি, মাওলানা ভাসানীর ন্যাপ, সোহরাওয়ার্দীর আওয়ামী লীগ মিলে যুক্ত ফ্রন্ট গঠিত হলো। নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের কাছে মুসলিম লিগের পূর্ব বাংলায় ভরাডুবি হলো, যুক্তফ্রন্ট সংখ্যা গরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সরকার গঠন করলো কিন্তু পশ্চিমাদের সরজন্ত্র শেষ হলো না। যুক্ত ফ্রন্টের সরকার ভেঙে গেলে মুসলিম লিগের সরকার গঠিত হল, সংখ্যা লঘু সরকার। এদিকে ভাষা সংস্কৃতির দাবী, পূর্ব বাংলার ন্যায্য হিস্যার দাবীতে, মাতৃভাষার দাবীতে আন্দোলন চলতেই থাকলো। অবশেষে মুসলিম লিগের পতনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে শুরু হল আওয়ামী লীগের জয় জয়কার। ১৯৬৬ সালে ৬ দফার আন্দোলন সাথে যোগ হল ছাত্র লীগের ১১ দফা ক্রমান্বয়ে স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলন জোরদার হলো ১৯৬৮ তে আগরতলা সরযন্ত্র মামালা ফিল্ড মার্শাল আয়ূব খান বঙ্গবন্ধু সহ সাবেক ও বর্তমান বাঙ্গালী সেনা বিমান বাহিনীর অনেক অফিসার কে রাষ্টদ্রহ মামলায় গ্রেফতার করে কোর্ট মার্সালে বিচার শুরু করলো। এদিকে বঙ্গবন্ধু সহ সকল গ্রেফতার কৃত নেতাদের মুক্তির আন্দোলন সারা বাংলয় ছড়িয়ে গেলো, মহীলা আওয়ামী লীগ, কৃষক, শ্রমিক, মেহনতী মানুষ, বামপন্থী জোট সবাই দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুললো, আন্দোলন গ্রামে, গঞ্জে, ছড়িয়ে পরলো। এসময় জেল খানায় সার্জন্ট জহুরুল হক গুলিবদ্ধ হয়ে নিহত হয়, তেজগায়ে মিছিলে বেপরোয়া গুলি চালালে মনুমিয়া নামে এক শ্রমিক নেতা নিহত ও অনেকে আহত হয়। অবশেষে আয়ূব খান দুর্বার আন্দোলনের মূখে প্রাপ্ত বয়স্কদের সরাসরি ভোটাধিকার মেনে নিয়ে। আগর তলা মামলার সকল আসামীদের খালাস দিয়ে জেনারেল ইয়াহিয়া খানের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। ১৯৭০ এর ডিসেম্বরে নির্বাচনের দিন ঠিক হয়। কিন্তু নভেম্বরের ভয়াল ঘুর্নিঝরে ও বন্যায় দক্ষিণ অঞ্চলে ৫ থেকে ৬ লক্ষ মানুষ মারা যায় চট্টগ্রাম, বরিশাল খুলনা জেলার লক্ষ লক্ষ লোক গৃহহীন, সম্বলহীন হয়ে পরে। খাদ্য ও চিকিৎসার অভাবে লোক মারা যেতে লাগলো, তখন আওয়ামী লীগের মাধ্যমে একটি সেচ্ছাসেবী ত্রান কমিটি গঠিত হয়। কিন্তু পাকিস্তান সরকার তেমন কোনো সাহায্য সহযোগিতা না করায় মানুষ সরকারের উপর খেপে যায় এবং মাওলানা ভাসানীর ন্যাপ বন্যা ও ঘুর্নিঝরের কারনে নির্বাচনে বর্জন করায়। সারা বাংলার জনগন একচ্যাটিয়া আওয়ামী লীগে ভোট দেয় পশ্চিম পাকিস্তানে ওয়ালী খানের পুত্র গাফফার খানের ন্যাপ ৬ টি আসন পায়, পাকিস্তান পিপলস পার্টি পঃ পাকিস্তানে ৮০টি আসনে জয়ী হয়, শুরু হয় মুসলিম লীগের চুরান্ত ভরাডুবি। এহিয়া খান ক্ষমতা হস্তান্তর করার জন্য আলোচনা শুরু করলে ভুট্টো পূর্ব পাকিস্তানে আলোচনা বর্জন করে, পাঞ্জাব ও সিন্ধে তুমুল আন্দোলনের হুমকি দিয়ে আওয়ামীলীগের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর বিলম্বিত করে। চলতে থাকে আলোচনা অবশেষে ভুট্টো পূর্ব পাকিস্তানে এহিয়া খানের সাথে আলোচনায় বসে, ভুট্টো পাকিস্তানের প্রসিডেন্টের পদ দাবী করে বসেন, আওয়ামী লীগ আগে পূর্ব পাকিস্তানে প্রথম সংসদ অধিবেশন পরে প্রেসিডেন্ট প্রধান মন্ত্রী, মন্ত্রী পরিষদ ঠিক করার দাবী জানায়। যুগপৎ আওয়ামী লীগ, স্বতন্ত্র, পিপলস পার্টি, মুসলি লীগের সাথে আলোচনা দীর্ঘায়ীত করেন অপরদিকে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে পূর্ব পাকিস্তানে বিপুল পরিমান অস্ত্র সমাবেশ শুরু করে। শেষ পর্যন্ত আলোচনা ব্যার্থ হলে ভুট্টো ও ইয়াহিয়া খান রাতের অন্ধকারে ঢাকা থেকে পালিয়ে যায়। পশ্চিম পাকিস্তানে গিয়া আলোচনার ব্যার্থতার জন্য ইয়াহিয়া খান ও ভুট্টো উভয়ই আওয়ামী লীগকে দোষারোপ করে ভুট্টো বলেন পূর্ব পাকিস্তানে সংসদ বসলে সংসদ হবে কশাইখানা। এদিকে ছাত্র, জনতা, আওয়ামী লীগের আন্দোলন চলতে থাকে। আন্দোলনে ছাত্র, শিক্ষক, নারী, পুরুষ, কৃষক, শ্রমিক সব একাকার হয়ে যায়। ছাত্রলীগ, ডাকসুর নেতারা সকল দফা বাদ দিয়ে এক দফার আন্দোলন শুরু করে দেয়। ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু জন সমাবেস ডাকেন সেই সমাবেশ বঙ্গবন্ধু ১৮ মিনিটের ঐতিহাসিক ভাষনে সকল বিষয় উল্লেখ করে বাংগালীর মুক্তি সংগ্রামে ঝাপিয়ে পরার আহবান জানান। তিনি বলেন আমাদের সংগ্রাম বাঙ্গালীর মুক্তির সংগ্রাম, আমাদের সংগ্রাম স্বাধীনতা সংগ্রাম। আন্দোলনের এক পর্যায়ে ডাকসু ২২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনে ডাকসুর অফিসের সামনে বাংলাদেশের মানচিত্র সহ স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে। ২৩ সে মার্চ ছাত্র লীগ পল্টনের জন সভায়, স্বাধীন বাংলার রূপ রেখার ঘোষণা পাট করেন, বঙ্গবন্ধু সেই মিটিং এ উপস্থিত ছিলেন। মাওলানা ভাসানী তার পল্টনের জনসমাবেশে পঃ পাকিস্তানকে ওয়ালাইকুম আসসালাম বলে দেন।
চট্টগ্রামে বন্দরে সোয়াত জাহাজ থেকে অস্ত্র খালাস করতে নির্দেশ দিলে বাংগালী জিওসি ব্রিগেডিয়ার মজুমদার দেশে কোনো যুদ্ধ অবস্থা নাই বলে অস্ত্র খালাসে বিলম্ব করেন। ঢাকা থেকে তখন হেলিকপ্টারে করে ব্রিগেডির জানজুয়াকে নিয়া জিওসির দায়ীত্ব দিয়ে মজুমদারকে ঢাকায় আনা হয় ও পরে পঃ পাকিস্তানে কোর্টমার্শালে তাকে টরচার ও বিচার করা হয়। ২৬ তারিখ রাত্রে বেঙ্গল রেজিমেন্টকে আন আর্মড করার নির্দেশ দিলে তারা অস্ত্র সারেন্ডার্ড করতে অশ্বিকার করলে সেখানে অবাংগালীরা বাংগালী সৈনিকদের উপর গুলি চালায় ও বহু বাংগালী সৈনিক মারা যায় বাকিরা অস্ত্র সহ পালিয়ে ক্যাপ্টেন রফিকের নেতৃত্বে একত্র হয় শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ২৭ তারিখ ১১টার দিকে সকালে জিয়া উর রহমান কিছু অবাঙ্গালী সৈন্যদের নিয়ে পতেঙ্গার পথের বেরিকেট সরানোর সময় ডাঃ ক্যাপ্টন জাফর তাকে সাথে নিয়ে আওয়ামী লীগ, বিডিআর, বাংগালী সৈন্যদের সমন্বয়ে জিয়াউর রহমান সহ অন্যান্ন সৈনিক ও আওয়ামী লীগ নেতারা সবাই কালুর ঘাটে একত্র হয়ে বেতারে বঙ্গবন্ধুর ঘোষনা পাঠ করেন ও বেতার কেন্দ্রের একটি ছোট ট্রানসফরমার খুলে জীপ গাড়িতে করে নিয়ে নদীর অপর পারে অবস্থান গ্রহন করেন। তখনও ক্যাপ্টেন রফিকের নেতৃত্বে বিডিআর সৈনিকদের মাধ্যমে শহরের প্রতিরোধ যুদ্ধ অব্যাহত রাখেন।
বেলুচিস্তানের ন্যাপ ও আওয়ামী লীগের সাথে এক জোটে কাজ করার অঙ্গিকার করেন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ১৮৮ টি আসন পায়। সমগ্র পুর্ব পাকিস্তানে পিডিপির নুরুল আমিন ১টি এবং স্বতন্ত্র চাকমা রাজা ত্রীদেভ রায় ১ একটি আসনে জয়ী হয়।
পাকিস্তান পিপলস পার্টি পঃ পাকিস্তানে ৮০টি আসনে জয়ী হয়, শুরু হয় মুসলিম লীগের চুরান্ত ভরাডুবি। এহিয়া খান ক্ষমতা হস্তান্তর করার জন্য আলোচনা শুরু করলে ভুট্টো পূর্ব পাকিস্তানে আলোচনা বর্জন করে, পাঞ্জাব ও সিন্ধে তুমুল আন্দোলনের হুমকি দিয়ে আওয়ামীলীগের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর বিলম্বিত করে। চলতে থাকে আলোচনা অবশেষে ভুট্টো পূর্ব পাকিস্তানে এহিয়া খানের সাথে আলোচনায় বসে, ভুট্টো পাকিস্তানের প্রসিডেন্টের পদ দাবী করে বসেন, আওয়ামী লীগ আগে পূর্ব পাকিস্তানে প্রথম সংসদ অধিবেশন পরে প্রেসিডেন্ট প্রধান মন্ত্রী, মন্ত্রী পরিষদ ঠিক করার দাবী ও ৬ দফার ভিত্তিতে সংবিধান রচনার দাবীতে অনর থাকে। যুগপৎ আওয়ামী লীগ, স্বতন্ত্র, পিপলস পার্টি, ন্যাপ, মুসলি লীগের সাথে আলোচনা দীর্ঘায়ীত করেন অপরদিকে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে পূর্ব পাকিস্তানে বিপুল পরিমান অস্ত্র সমাবেশ শুরু করে ইয়াহিয়া সরকার। শেষ পর্যন্ত আলোচনা ব্যার্থ হলে ভুট্টো ও ইয়াহিয়া খান রাতের অন্ধকারে ঢাকা থেকে পালিয়ে যায়। পশ্চিম পাকিস্তানে গিয়া আলোচনার ব্যার্থতার জন্য ইয়াহিয়া খান ও ভুট্টো উভয়ই আওয়ামী লীগকে দোষারোপ করে ভুট্টো বলেন পূর্ব পাকিস্তানে সংসদ বসলে সংসদ হবে কশাইখানা। এদিকে ছাত্র, জনতা, আওয়ামী লীগের আন্দোলন চলতে থাকে। আন্দোলনে ছাত্র, শিক্ষক, নারী, পুরুষ, কৃষক, শ্রমিক সব একাকার হয়ে যায়। ছাত্রলীগ, ডাকসুর নেতারা সকল দফা বাদ দিয়ে এক দফার আন্দোলন শুরু করে দেয়। ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু জন সমাবেস ডাকেন সেই সমাবেশ বঙ্গবন্ধু ১৮ মিনিটের ঐতিহাসিক ভাষনে সকল বিষয় উল্লেখ করে বাংগালীর মুক্তি সংগ্রামে ঝাপিয়ে পরার আহবান জানান। তিনি বলেন এবারের সংগ্রাম আমার মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতা সংগ্রাম। মার্চের আন্দোলনের এক পর্যায়ে ডাকসু ২২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনে বাংলাদেশের মানচিত্র সহ স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে। ২৩ সে মার্চ ছাত্র লীগ পল্টনের জন সভায়, স্বাধীন বাংলার রূপ রেখার ঘোষণা পাট করেন, বঙ্গবন্ধু সেই মিটিং এ উপস্থিত ছিলেন। মাওলানা ভাসানী তার পল্টনের জনসমাবেশে পঃ পাকিস্তানকে বিদায়ী সালাম জানিয়ে দেন। এদিকে ইয়াহিয়া খান পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক আইন জারি, গভর্নর মোনেম খানের স্থানে টিক্কা খানকে প্রথমে পূর্বাঞ্চলের সামরিক কমান্ডার, পরে গভর্নর করেন। লেফটেন্যান্ট নিয়াজিকে পরে পূর্ব পাকিস্তানের কমান্ডার ও রাও ফরমান আলীকে গভর্নরের পিএসও নিযুক্ত করেন। ২৫শে মার্চ রাতে শুরু হয় অপারেশন সার্চলাইট, রাতের অন্ধকারে তেজগাঁও থেকে গ্যান্ডারিয়া রেললাইন বস্তিতে ঘুমন্ত নিরীহ মানুষের উপর গুলি, রাজারবাগ পুলিশ লাইন, পিলখানা বিডিআর ক্যাম্প, ইউনিভার্সিটির হল গুলোতে নির্বিচারে মেশিন গানের গুলি চালিয়ে হাজার হাজার মানুষ হত্যা করাহয়। ঢাকার বাহিরে সেনা ছাউনি ও ক্যাম্পগুলোতে বাংগালী সৈনিকদের আন আর্মড করা শুরু করে দেয় এরিমধ্য বিভাগীয় শহর গুলিতে রাতে কারফিউ দিয়ে শ্রমিক বস্তিতে আক্রমণ করে নেতাদের ধরপাকর ও হত্যা শুরু করে। ঐদিনই পূর্ব পাকিস্তানের অস্তিত্বে শেষ পেরেক ঠুকে টিক্কা, নিয়জি, রাও ফরমান আলী। বঙ্গবন্ধু রাত ১২.৩০ মিনিটে স্বাধীনতার ঘোষণা পিলখানা, ও চট্টগ্রাম বিডিআর হেড কোয়ার্টারে ওয়ারলেস ষ্টেশনে পাঠিয়ে দেন ও সকল টেলিগ্রাম অফিসে পাঠিয়ে দিতে নির্দেশ দেন সকল টেলিগ্রাম অফিসথেকে ২৬ মার্চ সকাল ১১ টার দিকে ঐ ম্যাসেজ আওয়ামী লীগ নেতারা নিয়ে তা এলাকায় এলাকায় প্রচার করতে থাকে। এরই মধ্যে মফস্বলের বিভিন্ন থানায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটি গঠিত হয়। পাকিস্তান সেনাবাহিনী রাত ১.৩০ মিঃ বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে।
বিদায়ী সালাম জানিয়ে দেন। এদিকে ইয়াহিয়া খান পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক আইন জারি, গভর্নর মোনেম খানের স্থানে টিক্কা খানকে প্রথমে পূর্বাঞ্চলের সামরিক কমান্ডার, পরে গভর্নর করেন। লেফটেন্যান্ট নিয়াজিকে পরে পূর্ব পাকিস্তানের কমানডার ও রাও ফরমান আলীকে গভর্নরের পিএসও নিযুক্ত করেন। ২৫শে মার্চ রাতে শুরু হয় অপারেশন সার্চলাইট, রাতের অন্ধকারে তেজগাঁও থেকে গ্যান্ডারিয়া রেললাইন বস্তিতে ঘুমন্ত নিরীহ মানুষের উপর গুলি, রাজারবাগ পুলিশ লাইন, পিলখানা বিডিআর ক্যাম্প, ইউনিভার্সিটির হল গুলোতে গুলি চালিয়ে হাজার হাজার মানুষ হত্যা করাহয়। ঢাকার বাহিরে সেনা ক্যাম্পগুলোতে বাংগালী সৈনিকদের আন আর্মড করা শুরু করে দেয় এরিমধ্য বিভাগীয় শহর গুলিতে রাতে কারফিউ দিয়ে শ্রমিক বস্তিতে আক্রমণ করে নেতাদের ধরপাকর ও হত্যা শুরু করে। ঐদিনই পূর্ব পাকিস্তানের অস্তিত্বে শেষ পেরেক ঠুকে টিক্কা, নিয়জি, রাও ফরমান আলী। বঙ্গবন্ধু রাত ১২.৩০ মিনিটে স্বাধীনতার ঘোষণা পিলখানা, ও চট্টগ্রাম বিডিআর হেড কোয়ার্টার ওয়ারলেস ষ্টেশনে ও সকল টেলিগ্রাম অফিসে পাঠিয়ে দেন সকল টেলিগ্রাম অফিথেকে ২৬ মার্চ সকাল ১২ টার আগে ঐ ম্যাসেজ আওয়ামী লীগ নেতার নিয়ে তা এলাকায় এলাকায় প্রচার করতে থাকে। এরই মধ্যে মফস্বলের বিভিন্ন থানায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটি গঠিত হয়। পাকিস্তান সেনাবাহিনী রাত ১.৩০ মিনিটে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে।
এদিকে খুলনা, রাজশাহী, জশোর, কুমিল্লায় সর্বত্র পুলিশ লাইন ও বিডিআর থেকে আসা এবং অবসর প্রাপ্ত ও ছুটিতে থাকা সৈনিকদের সমন্বয়ে প্রথমে রাস্তায় বেরি কেট ও প্রতিরোধ মূলক বন্ধুক যুদ্ধ শুরু হয়, পরে মুক্তি বাহিনীর সংখিপ্ত ট্রেনিং দিয়ে গেরিলা যুদ্ধ শুরু করে। অন্যদিকে ২৫ তারিখ অপরাহ্নে সকল আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্যগন ঢাকা ছাড়েন। বিভিন্ন পথে তারা ভারতে একত্রিত হয়ে যুদ্ধ পরিচালানার ও ভারতীয় সহযোগিতার জন্য ইন্দিরা গান্ধীর সাথে দেখা করেন। ভারতে স্বরনার্থী শিবির খোলা হয়, পালিয়ে যাওয়া বাংগালী ও আওয়ামী লীগ নেতাদের জন্য। শুরু হয় মুক্তি ফৌজ এর প্রশিক্ষন, বর্ডার যুদ্ধ, ভিতরে গেরিলা হামলা।
এভাবেই মুক্তি যুদ্ধ চলতে থাকলো। ১৭ই এপ্রিল কুষ্টিয়ার মেহের পুর বৈদ্যনাথতলায় গঠিত হয় স্বাধীন বাংলাদেশের প্রবাসি সরকার যা মুজিবনগর সরকার সাথে সকল সেক্টরে রাজনৈতিক কমান্ড এই সরকার মুজিব নগর সরকার নামে খ্যাত। তাজ উদ্দিনকে প্রধানমন্ত্রী ও সৈয়দ নজরুলল ইসলামকে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি করে ৭জ জন মন্ত্রী, জেনাররেল ওসমানীকে প্রধাম সেনাপতি, বিমান বাহীনির এ আর খন্দকার ও কর্নেল আঃ রবকে মুক্তি বাহিনীর ডেপুটি চিফ করে সারা দেশকে ৯টি সেকটরে ভাগ করে ৯ জন মেজরকে ৯ টি সেক্টরের দায়ীত্ব দেয়া হয়। ফ্রান্সে প্রশিক্ষন রত ৭ জন বাংগালী পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে বাংলাদেশের পক্ষে অপসন দিয়া জাহাজ ত্যাগ করে বাংলাদেশে আসলে নৌ কর্মকর্তা ও দেশের নৌ সেনা সহ ভালো সাতারুদের সমন্বয়ে একটি নৌ কামান্ডো গঠন করে ১০ নং সেক্টর ওপেন করে চট্টগ্রাম, চালনা সমুদ্র বন্দর ও নারায়ণগঞ্জে পাক বাহিনীর জাহাজের উপর আক্রমণ করার জন্য প্রেরন করা হয়। সেপ্টেম্বরের দিকে সেক্টর গুলি পুনর বিন্যাস করে ৩ জন সিনিয়র মেজরকে কর্নেল পদমর্যাদায় পদোন্নতি দিয়া ৩টি ব্রীগেড সৃষ্টি করে কর্নেল শফিউল্লাহ, কর্নেল জীয়া ও কর্নেল খালেদ মৌশারফ এর নেতৃত্বে এস ফোর্স, জেড ফোর্স, কে ফোর্স গঠন করে ময়মন সিংহ, কুমিল্ল, ঢাকার অদুরে মুন্সিগঞ্জ ও মনিক গঞ্জ থেকে রাজধানী ঢাকার দখলের ত্রীমূখী দায়িত্ব দেয়া হয় এবং ব্রম্মনবারিয়া ফিলড আর্টিলারির মেজর তাহেরের নেতৃত্বে ১১ নং সেক্টর খোলা হয়। প্রত্যেক সেক্টরে ২০০ থেকে ৩০০ নিয়মিত সৈন্য, সমান সংখক পুলিশ, বিডিআর, আনসার ও প্রশিক্ষন প্রাপ্ত মুক্তি যোদ্ধা ও গ্যারিলা সমন্বয়ে কমপক্ষে ১০ বারো হাজার মুক্তি বাহিনী নিয়ে এক একটি সেক্টর গঠন করে সম্মুখ সমরে জলে স্থলে যুদ্ধ চলতে থাকে শেশ দিকে রাশিয়া ও ভারতে উচ্চতর প্রশিক্ষন প্রাপ্ত ছাত্রলীগ, যুব লীগ, সেচ্ছাসবক লীগের নেতৃত্বে মুজিব বাহিনীর সদস্যরা গেরিলা যুদ্ধে বিভিন্ন সেক্টরে যোগ দেয়। দেশ বিদেশের এম্বাসি ও মিশন সমুহে কর্মরত বাংগালী অফিসার কর্মচারী, অধ্যায়ন রত, কর্মরত চাকুরী জীবিদের সমন্বয়ে বাংলাদেশ মিশন খোলা হয়৷ প্রবাসী সরকার ও মুক্তি যুদ্ধের খরচ বহন করা অস্ত্র, রসদ, খাদ্য সরবরাহ করার জন্য অর্থ সাহায্য, চেরিটি ফান্ড, মুক্তি যোদ্ধাদের সম্মানী, প্রবাসী সরকারের ব্যয় নির্বাহ, ভারত সরকারের সাহায্য, রাশিয়া ও ভারতের অস্ত্র ও আর্থিক সাহায্য, সরনার্থী ক্যাম্পে অন্য বস্ত্র, ভারি অস্ত্র, সেনা ও সরকারারের যুদ্ধ কালিন খরচের যোগান দেয়া হয়।
সরনারথী শিবিরগুলোতে জাতিসংঘের মানবিক সাহায্য, ইউনিসেফ, কিউসো, অক্সফ্যাম, ইউ এন এইচ সি আর, আই এম ও, সেভ দি চিল্ড্রেন সহ বিশ্বের নামি দামি এনজিও, চার্চ, চেরিটির সহায়তায় রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে এবং ভারত ও রাশিয়ার প্রত্যক্ষ সাহায্য আর দেশের ভিতরে বিত্যবান, কৃষক, সাধরন মানুষের সাহায্যে মুক্তি যুদ্ধ পরিচালিত হয়। ডিসেম্বরের ৬ তারিখ ভুটান ও ভারত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিলে বাংগালী ও ভারতীয় পাইলটদের সমন্বয়ে ঢাকা, নারায়ন গঞ্জ সহ পাকিস্তানি বিমান খাটি ও নৌ বন্দর অচল হয়ে যায়। সকল বর্ডারে ভারতীয় বাহিনীর হেভী অর্টিলারির কাভারিং ফায়ারের ভিতরে মুক্তি বাহিনীর সাথে পাক বাহিনীর সম্মুখ সমরে বিভিন্ন স্থানে পাক বাহিনীর পতন শুরু হয়। সীমান্ত এলাকা গুলি আগেই মুক্ত হয়। ডিসেম্বরে মুক্তি বাহিনী ও ভারতী বাহিনীর শারাশি আক্রমণে পাকিস্তানি সৈন্য ও তাদের দোশর রাজাকররা শেষ রক্ষায় ব্যার্থ হয়ে ১৪ তারিখে পরিকল্পিত বুদ্ধি জীবি হত্যা, বিভিন্ন স্থাপনা ধংশ, বাজার, ব্রীজ, কালভার্ট নষ্ট করা শুরু করে ১৫ তারিখ সকল সেনাদের ক্যান্টনমেন্টে ফেরত যাওয়ার নির্দেশ দেয় লেঃ জেনারেল নিয়াজি ১৬ তারিখে পাকবাহিনী মিত্রবাহীনির কাছে আত্মসমর্পণ করে। রেসকোর্স ময়দানে আত্মসমর্পণ দলিল স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশ সত্রু মুক্ত হয়। তাই ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় দিবস। এই যুদ্ধে মুক্তি যোদ্ধা সহ ৩০ লক্ষ্য লোক শহিদ হয় বহু মায়ের কোল খালি হয়, সন্তান পিতৃহারা হয়, মা স্বামী হার হয়,২ লক্ষাধিক মা বোন ইজ্জত সম্ভ্রম হারায়, দের কোটি লোক সরনার্থী হয়, ২ কোটি লোক গৃহ, সম্পদ হারায়। বহু মা সন্তান হরা হয়, মা বোনরা স্বামী হারা হয়। পিতা পুত্র হারায়। পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, গৌরী, ব্রম্মপুত্র বুড়ীগঙ্গা সহ সকল নদী দিয়া রক্ত আর লাশের শ্রত বয়ে যায়।
এক সাগর রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জীত হলেও স্বাধীনতা বিরোধীরা লুকিয়ে লুকিয়ে সরযন্ত্র শুর করলো। বঙ্গবন্ধুর সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারকে অজনপ্রিয় করার জন্য কিছু বামপন্থী আন্ডারগ্রাউন্ড পার্টি ও স্বাধীনতা বিরোধী দলগুলো নানা রকম সরযন্ত্র, প্রচার, প্রপাগান্ডা, লিফলেট পোষ্টার গোপনে বিলি করতে ও প্রচার করতে শুরু করলো। সিরাজ সিকদারের আওয়ামী লীগ নেতা কর্মী, এমপি হত্য এর সাথে আত্মগোপনে থাকা স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিরও যোগ সাজোস ছিলো। স্বাধীনতা যুদ্ধের পক্ষের জাসদও কম গেলোনা। তারা নানা ভাবে নানা আন্দোলন সংগ্রামে, প্রচারনায় অতিষ্ঠ করে তুললো সদ্য স্বাধীন, পোরা মাটি পোরা ভিটার দেশ পুনর্গঠন করার পূর্বেই সরকার উৎখাতের সরযন্ত্র শুরু হয়ে গেলো। এরই মধ্যে সমাজতান্ত্রিক ভাবধারায় বঙ্গবন্ধু বাকসাল গঠন করলেন এবং তিনি বাকসালের চেয়ারম্যান হলেন।এসময় জাসদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ক্যাপটেন মনসুর আলী সাহেবের বাড়ি ঘেরাও একটি উল্লেখ যোগ্য হটকারী অরাজকতা। দেশে মার্কিন সরযন্ত্রে কৃত্রিম খাদ্যাভাব, দুর্ভিক্ষ সামাল দিত হিমসিম অবস্থার ভিতরে পাকিস্তানি আইএসআই, বিদেশে স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার, জামতের সংঘবদ্ধ নেতারা এবং দেশের ভিতরে নিষিদ্ধ মুসলিম লীগ, পিস কমিটি, রাজাকর, আলবদর বাহিনীর গোপনে ঐক্যবদ্ধ হওয়া তার সাথে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ, আরব দেশ সমুহের বাংলাদেশকে শিকৃতি না দিয়া বরং পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটির জাতীয়, আন্তর্জাতিক সরযন্ত্র মিলে ১৯৭৫ এর ১৫ই আগষ্ট মোস্তাক গং এবং পদচ্যুত ও বিপথগামী কিছু সেনা সদস্যের সামরিক কু এবং বঙ্গবন্ধুর হত্যা সহ মন্ত্রী পরিষদ সদস্য, তার পিরবারবর্গের হত্যার মাধ্যমে পুনরায় জান্তা সরকর প্রতিষ্ঠা ও পাকিস্তানি ভাব ধারায় দেশ পরিচালনা শুরু হয়। জেলখানায় ৪ জাতীয় নেতাদের হত্যা কু পাল্টা কু, মুক্তি যোদ্ধা সেনা হত্যার মাধ্যমে মোস্তকের ৩ মাসের সরকারের পতন, জিয়াউর রহমানের উত্থান, আবারও কু পাল্টা কু মুক্তি যোদ্ধা হত্যা গ্রেফতার, স্বাধীনতার নেতাদের উপর নির্যাতন, জেল, জুলুম, অবৈধ মামলা হামলা, গ্রেফতার, হাঁ না ভোট, জিয়ার রাজনৈতিক ফ্রন্ট ও পরে বিএনপি গঠন, প্রহোসনের নির্বাচন চললো ৮২ সন পর্যন্ত। ৮২ তে চট্টগ্রামে সেনা বিদ্রহে জেনারেল জিয়ার হত্যা, তারপর বিচার পতি সাত্তারের বিএনপি সরকারের পতন ঘটিয়ে১৯৮৩তে জেনারেল এরসাদের সামরিক আইন জারি ও পরে জাতীয় পার্টি গঠন এবং লোক দেখানো নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা ১৯৯১ পর্যন্ত সামরিক শাসন। অতঃপর সৈরাচার পতন আন্দোলনে ১৯৯১ এ এরসাদ সরকারের পতন এবং খালেদাজিয়ার নেতৃত্বে বিএনপির পুনরুত্থানের মাধ্যমে জান্তা সরকারের অবসান। ১৯৯৬ সনে বঙ্গবন্ধু কন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব আওয়ামীলীগ দীর্ঘ ২১ বৎসর পর ক্ষমতায় এলো আওয়ামী লীগ। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার শুরু করলে নতুন করে আবার সরযন্ত্র শুরু হলো। এ সময় জামাতের ও বঙ্গবন্ধুর হত্যাকরীদের গোপন তত্বাবধানে কাওমি, দেওবন্দ, বানিজ্যিক পির, মাদ্রাসা শিক্ষদের একাংশ, মসজিদের ইমাম ও ৩১৩ জন আলবদর ও অপেক্ষাকৃত কম পরিচিতি মাওলানাকে নিয়ে জামাতের বিপদে আপদে হেফাজত, আশ্রয়, সহযোগিতার জন্য হেফাজতে ইসলাম গঠিত হয়। ২০০১ সালে তত্বাবধায়ক সরকার ও সামরিক তত্বাবধানে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আবার বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলো এ নির্বাচনের এক সপ্তাহ পূর্বে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের ধরপাকর নির্যাত শুরু করে গৃহ ছাড়া করে। ক্ষমতা এসেই বিএনপি প্রথম ৩ মাসে আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা, হামলা, সংখ্যা লঘু ও আওয়ামী কর্মীদের ঘরবাড়ি লুট, অগ্নি সংযোগ, খুন হত্যা, পোরানো,৩০ হাজার রেপ, সংখ্যা লঘু নির্যাতন, পরের ৯০ দিনও একইভাবে চলতে লাগলো। এর পর ২০০২ সালে আওয়ামী নিধনের প্রকৃয়া শুরু করে ২০০৪ এর ২১সে আগষ্টের গ্রনেড হামালার মাধ্যমে ক্রাস আওয়ামী লীগ প্রগ্রাম বাস্তবায়নের চেষ্টা। এই গ্রেনেড হামালায় মহীলা আওয়ামী লীগের নেতৃ আই ভি রহমান সহ বহু নেতাকর্মী মারা যায় এবং ৫ শতাধিক লোক আহত হয়। এ সময় হাওয়া ভবনে প্যারালাল সরকার গঠন করে শাসন, শোষণ, নির্যাতন, কমিশনের বিনিময় রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুন্ঠনের এক বিরল রাজনীতির প্রচলন করা হয়।
আন্দোলন সংগ্রাম করে আবার ২০০৮ এ আওয়ামী লীগ পুনরায় রাষ্ট্র ক্ষমতায় এলে প্রথমেই সরযন্ত্র শুর হয় বিডিআর হত্যার মাধ্যমে যার নেপথ্যে একটি সামরিক কু এর সরযন্ত্র লুকিয়ে ছিলো। ২০১৩-১৪ তে আবার শুরু হলে বিএনপি জামাত জোটের ইলেকসন বয়কট, জ্বালাও পোরাও, সরকার উৎখাত আন্দোলন।
এরই মধ্যে একটি সাধারণ নির্বাচন, এ নির্বাচনে বিএনপি জামাত জোট অংশ গ্রহন না করায় আওয়ামী লীগ সংখ্যা গরিষ্ঠ দল এবং জাতীয় পার্টি বিরোধী দল হিসেবে জোটের অংশ হয়ে যৌথ সরকার গটিত হয়। ২০১৮ র নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলেও তাদের সরিক দল জামাতের রেজিষ্ট্রেশন বাতিল হওয়ায় সাধারণ নির্বাচনে অংশ গ্রহন করতে পারে নাই। এবারও বঙ্গবন্ধু কন্যা, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে, জাতীয় পার্টি বিরোধী দল ও বিএনপি ৫ আসন পেয়ে ২য় বিরোধী দল হয়। এত গেলো নির্বাচন আর সরকারের কথা শত বিরোধিতা সত্বেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার সম্পন্ন করেন। জেল হত্যার বিচার, ২১ আগষ্টের গ্রনেড হামলার বিচার সম্পন্ন করেন। কিবরিয়া হত্যার বিচার চলছে। বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুড়িথেকে উন্নয়ন শীল দেশ হয়েছে, খাদ্য, কৃষিতে সয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার কাজ ৮০% সম্পন্ন হয়েছে, ২০২৩ এর মধ্যে ১০০% সম্পন্ন হবে, মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল অর্জন, ভোটার আইডি ও ডিজিটাল ডাটাবেইজ তৈরী, ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের মাধ্যমে সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন। বটমলেস বাস্কেট এখন উন্নত দেশের পথে এগিয়ে চলছে। জলসীমা, স্থলসীমানা বিরোধ মিটিয়ে বিরাট সাফল্য, পার্বাত্য সান্তি চুক্তি, সামরিক খাত, শিক্ষা খাতে ব্যাপক অর্জন ও উন্নয়ন, ভূ উপগ্রহ উন্নয়ন, মহাশূন্যে উপগ্রহ প্রেরন, তথ্য ও যোগাযোগ খাতের উন্নয়ন, সাবমেরিন ক্যাবল, বস্ত্র খাতে উন্নয়ন, সড়ক যোগাযোগ ব্যাপক পরিকল্পনা ও উন্নয়ন, ফ্লাইওভার, আন্ডার পাস, ওভার পাস, এক্সপ্রেস ওয়ে, মেট্রো রেল, নদী শাসন, নদী খনন, কর্নফুলী ট্যানেল, পদ্মা নদীর নিচে দিয়ে ট্যানেল পরিকল্পনা, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প, গ্রামে শহরের সুবিধা সৃষ্টি করে পুরো বাংলাদেশকে একটি আধুনিক উন্নত নেটওয়ার্কের আওতায় আনা, গ্রামের সকল সুযোগ সুবিধা সম্প্রসারন। দেশে বিমান তৈরী, একাধিক নতুন সেনানিবাস তৈরী, পরিবেশ ও বন্য প্রানি রক্ষা প্রকল্প, সাফারি পার্ক নির্মান, নদী ও খাল উদ্ধার, রেল ও নৌ পথের উন্নয়ন, মৎস ও খনিজ সম্পদ উন্নয়ন সংরক্ষন, কোষ্ট গার্ড, বিজিবির উন্নয়ন ও জল ও স্থল সীমানা সুরক্ষা, জঙ্গী, আতঙ্কবাদি দমন, সামরিক সরঞ্জাম তৈরী, বানিজ্যিক জাহাজ নির্মান শিল্প, গড়ী তৈরীর মত পরিকল্পনায় এগিয়ে চলছে দেশ। আধুনিক পঞ্চ বার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, ৫০ বার্ষিক ভিশনারী পরিকল্পনার প্লানে এগি চলছে দেশ। ২০৪০ সালের মধ্যে উন্নয়ন শীল দেশ থেকে উন্নত দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্তর ভিশনারী পরিকল্পনার পথে এগিয়ে যাচ্ছে। নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতু নির্মান, পায়রা বন্দর, পায়রা সেতু, চট্টগ্রাম ও মঙ্গলা পোর্টের উন্নয়ন, আধুনিকায়ন, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মান, ত্রীমাতৃক নৌবাহিনীর গঠন, সাবমেরিন ও যুদ্ধ জাহাজ সংগ্রহ, ২য় মহাশূন্য উপগ্রহ প্রেরন পরিকল্পনা, রাস্তা ঘাট, নৌপথের, আন্তর্জাতিক বানিজ্য, আভ্যান্তরিন শিল্প খাতের উন্নয়ন, মানুষের জীবন যাত্রার মনোন্নয়ন, বেসরকরী খাতে মিডিয়া ও টেলিফোন, টেলিভিশন উন্মুক্ত করন। সামাজিক সুরক্ষা ভাতা প্রদান, গৃহীনদের গৃহ নির্মান, বিনামূল্য বই ও শিক্ষা উপকরণ প্রদান, বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ বৃদ্ধি, বাংলাদেশ ব্যাংকে ফরেন কারেন্সি রিজার্ভ সংরক্ষণ হিসাব খোলা ও একাধিক দেশকে আপত কালিন ঋণ দান, কি নেই বাংলায়, বাঙ্গালীর এখন শুধু সততার সাথে এগিয়ে যাওয়া দুর্নীতি দুর করা, মাদক নিধন, জঙ্গী মাফিয়া দমন করার মধ্যমে বাংগালী বিশ্বে মাথা উচু করে প্রেষ্টিজিয়াস জাতি হিসেবে সামনে এগিয়ে যাওয়া। জয় হোক মানবতার, জয় হোক বাংলার মেহনতী মানুষের, বাংলাদেশ চীর জীবি হোক।জয় বঙ্গবন্ধু।
লেখকঃ রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আঃ রহমান শাহ্।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

Dairy and pen distribution

ডিজাইনঃ নাগরিক আইটি ডটকম
themesba-lates1749691102