জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের উপলব্ধি, বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ, বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামীলীগের গঠনতন্ত্রকে অনুধাবন করার সময় এসেছে। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের থাবা, দেশীয় যড়যন্ত্রের দাবানল থেকে জাতিকে মুক্তির লক্ষ্যে মহাপরিকল্পনা ছিলো বাকশাল। বাকশালকে রাজনৈতিক হাতিয়ার করা হয়েছে, যেনে না যেনে, বাকশালকে অনুধাবন করতে ব্যর্থ হওয়ার জন্যই আজকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবী নিয়ে দেশ ধ্বংসের কর্মসুচি পালন করা হচ্ছে।
বাকশালের গঠনতন্ত্র ছিলো নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক ও জাতীয় সরকারের ফর্মুলা। শিল্প ও কৃষি বিপ্লবের শ্রমিকের অংশিদায়ীত্ব। গনতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, বাঙালি জাতীয়তাবাদ, ধর্ম নিরপেক্ষতা। সরকারী খরচে নির্বাচন, নির্বাচিতদের জন্য বাকশালের সদস্য। সংখ্যাগুরুরা পাবে রাষ্ট্র ক্ষমতা। আওয়ামীলীগের সভা থেকে উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতিক নৌকা দেওয়া হবে না।
নির্বাচিতরা সরকারের অংশ হতে পারবে, বাকশালের মতো খরচ বহন করবে না সরকার। জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রমান করে দিবেন, গনতন্ত্র কারে কয়। সাড়া পৃথিবী গনতন্ত্রের ব্যবসায়ীরা হতাশ ছিলো বাকশালের গঠনতন্ত্রে।বঙ্গবন্ধু কে হত্যার মাধ্যমে, বিএনপি হয়েছিলো গনতন্ত্রের এজেন্ট। যেই নিরপেক্ষ সরকারকে পাগল বলেছিলো, সময়ের পরিবর্তনে সেই দাবী নিয়ে অগ্নি সন্ত্রাস বেছে নিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গনতন্ত্র নিয়ে, সয়ং যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের। বিশ্বের অধিকাংশ দেশে গনতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও রাজতন্ত্র নিয়ে জটিলতায়। প্রশ্ন উঠতেই পারে,বিশ্ব কোন তন্ত্র নিয়ে চলবে ? বাকশাল ছিলো বিশ্বের শোষণকারী তন্ত্রে জন্য ভংকর। নিপিড়ন,নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের নাম ছিল বাকশাল। আজকে ছলিমুদ্দিন, কলিমুদ্দিনরা সংসদ সদস্য হচ্ছেন, টাকার জোরে। ব্যবসায়ীরা সংসদে সংখ্যাগড়িষ্ঠ। বাকশালের গঠনতন্ত্রে জনগণের রায় ছাড়া, শিক্ষার আলো ছাড়া জনপ্রতিনিধির দরজা বন্ধ হয়েছিল।
বন্ধ করা হয়েছিল রাজনৈতিক ব্যবসার দোকানগুলো, সরকারের বিজ্ঞাপনের আশায় পত্রিকাগুলো। যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশকে গঠন করার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর সিদ্ধান্ত ছিলো যোগোপযোগী। বিশ্বের সবতন্ত্রের যবনীকা তন্ত্রের নাম বাকশার। যারা বুজেছে, তারাই বঙ্গবন্ধু হত্যার অংশ হয়েছে। যাদের জন্য বাকশাল গঠিত হয়েছি, সেই মেহনতী মানুষের অজ্ঞাতেই রয়ে গেলো বাকশাল। আমি বিশ্বাস করি, বিশ্বের শোষন কারীদের জন্য গনতন্ত্র রাজতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের যড়যন্ত্রকারীদের জন্য বাকশালতন্ত্রের বাস্তবায়ন করা যাবে না।
ওরা সুতা টানবেই,নিজ স্বার্থে। বিশ্বের মেহনতী মানুষের মুক্তির আর কোনো পথ আবিস্কার হবে না, বাকশাল ছাড়া। আমার বিশ্বাসের কিছু যায় আসে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বাস থেকে উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতিক নৌকা দেওয়া হয় নাই।
সিদ্ধান্তের জন্য খুশী হয়েছি।নির্বাচিত হওয়ার পরে, দলের সাথে সম্পর্ক। জনপ্রিয়তা ছাড়া জনপ্রতিনিধি হওয়ার দিনশেষ। বঙ্গবন্ধুর কোনো স্বপ্ন অপুর্ণ থাকবে না, বাঙালি জাতির অহংকারে প্রতিক পিতা মজিবের দিকনির্দেশনা। মার্কিনিদের মানবাধিকার অমানবিক ব্যবসায়ী দৃষ্টিকোন বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে, শেখ হাসিনার পক্ষেই সম্ভব তাদের চরিত্র জনসমুখ্যে জাহির করা। বাংলাদেশ বিশ্ব উন্নয়নের রোল মডেল, বাকশাল হবে সরকার গঠনের মডেল, যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা বন্ধের জন্য।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব, রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও খাস খবর বাংলাদেশ পত্রিকার সম্মানিত উপদেষ্টা মন্ডলী জনাব রবিউল আলম।